রিমেক
ঝিম্টি তুই যেদিন বৃষ্টি হলি না, সেদিন আমার হঠাৎই ইচ্ছে হলো ট্রাম লাইন সাজার। কথামতো চৌরাস্তার পুলিশটাকেও বলে রেখেছিলাম ঘুষ না খাওয়ার জন্য, কারণ আমি জানতাম চাকরিটা তোর কনফার্ম হতে এখনও তিনমাস বাকি। এদিকে নেপালী ছেলেটাও গীটার হাতে আসেনি... যদিও কলকাতা কলকাতাতেই আমার শহর। হাজরার মোড় থেকে ম্যানহোল সাজাতে সাজাতে যখন কলেজ স্ট্র্রীট পৌছলাম, তখন দেখলাম এসপ্ল্যানেডেরও ঘুম ভেঙে গেছে।
তুই তো জানিসই, ওড়নার পাশে সেফটিপিন আমার পোশাক বিরুদ্ধ... তাই জিন্সটা ছেঁড়া হলেও আগলে রাখি। আমি জানি, তোর হৃদয় পরিস্হিতির চাপে এখনও ভাইব্রেট করে, তবুও আরও
একবার যদি ফিরতে পারতাম, তবে সেদিন শুধু তোমাকেই
চাইতাম...
বিকেলবেলা গান শোনাবো বলে, Mr. Hallএর কাছে তালিমও নিয়েছিলাম...
কিন্তু শুধু তুমি এলে না...
মেঘ পিওনের ব্যাগের ভেতর মন
খারাপের দিস্তাও তাই এখন খাতা হয়ে গেছে।
যদিও সে সব কথা এখন বলা বারণ। খাদের
ধারের রেলিং বেয়ে, মেঘলা আকাশ, বৃষ্টি সব তোরই জন্য রেখেছিলাম।
আসলে মুক্তার বুকে সুক্তি যেমন, তেমনি আমাতেও তো তুমি...
তাই
আর কী...
স্বপ্ন
দেখব বলে বাড়ি ফেরা হলো না যখন, তখন তোমার একুশ বছর বোধহয়। পড়াশোনায় জলাঞ্জলি দিয়ে যেদিন প্রথম সব
কিছু বললাম, সেদিন
মনে হলো পৃথিবীর
চাবিটা সত্যি সত্যিই খুলে গেছে।
কিন্তু
তারপর থেকেই চিঠিরা এলোমেলো হতে শুরু করল।
কফি হাউসের আড্ডাটাও তখনও জমেনি...
কিন্তু
তাও...
মেঘলা
দিনে একলা হয়েও বোবা টানেলটা ঠিক কথা বলিয়েছিল...
হাজার
কবিতাও যখন ব্যর্থ হয়ে গেল, তখন
ভাবলাম, আসব আরেক দিন, আজ যাই...
কিন্তু
ফিরব কী করে?
আফটার
অল... পথ
হারাবো বলেই তো এবার পথে নেমেছি।! তাই তোমায় নতুন করে পাব বলে কবিদের অসুখে আবার পড়লাম। যদিও... যদিও... আমার চোখে তো সকলই শোভন...
তবুও
কথায় কথায় তো রাত চলেই যায়! তাই
পথ শেষ হয়ে গেলেও তবু মনে রেখো প্লিজ।
জানি
না এ তুমি কেমন তুমি...
মাঝে
মাঝে মনে হয় মরীচিকানা ধ্রবতারা, আবার মাঝে মাঝে মনে
হয় ফেরারী মন। সে
তুমি যেই হও না কেন... আমি
কিন্তু আমার মতোই আছি। যদিও
রাত এখনও অনেকটাই বাকি, কিন্তু
সে রাত কি সত্যিই তোমার-আমার?
অতশত
বুঝি না, শুধু এইটুকুন বুঝেছি, ও প্রেম যে করে সে জানে...
তাই, খবর দিও হঠাৎ কান্না
পেলে...
কারণ, এটা তোমারই গান!
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন