নিয়ন আলোয় স্নান
আমি একগ্লাস নিয়নের আলো খেতে চাই
এখানে প্রতিটি রাস্তার মলাট
নিয়নের ভালোবাসায় মুগ্ধ
ঝলসিত হয়ে যায় প্রতিটি
রাতবিরেতে হাঁটা-
অগুনতি পথিক আর স্থির ঝাউগাছগুলো
বেশ ভালো অতি মনোরম এই দৃশ্যে সব
ঢাকা পড়ে।
নিজেকে বড়ই অচেনা লাগে এই
এখানে প্রতিটি রাস্তার মলাট
নিয়নের ভালোবাসায় মুগ্ধ
ঝলসিত হয়ে যায় প্রতিটি
রাতবিরেতে হাঁটা-
অগুনতি পথিক আর স্থির ঝাউগাছগুলো
বেশ ভালো অতি মনোরম এই দৃশ্যে সব
ঢাকা পড়ে।
নিজেকে বড়ই অচেনা লাগে এই
নিয়ন আলোয় স্নান করে।
সবার লাগে কি!
এখানে সুপ্ত মনগুলো
লুপ্ত হয়ে থাকে
এখানে সেখানে
কালিঝুলি মাখা কোনো
আস্তিন আদলে ফুটপাতে
রাস্তাবাসী, পঙ্গপাল, বাউন্ডুলেদের।
রাত্রিবেলা নিয়নের ধোঁয়ার কাছে হেঁটে গেলে
বেসুরো গলায় গীটারের গান আসে
জীবনমুখী মনোরম!
আর ঘরমুখো মানুষের পায়ের শব্দ নিতে নিতে
সবার লাগে কি!
এখানে সুপ্ত মনগুলো
লুপ্ত হয়ে থাকে
এখানে সেখানে
কালিঝুলি মাখা কোনো
আস্তিন আদলে ফুটপাতে
রাস্তাবাসী, পঙ্গপাল, বাউন্ডুলেদের।
রাত্রিবেলা নিয়নের ধোঁয়ার কাছে হেঁটে গেলে
বেসুরো গলায় গীটারের গান আসে
জীবনমুখী মনোরম!
আর ঘরমুখো মানুষের পায়ের শব্দ নিতে নিতে
আমার ভেতরে কত স্বপ্ন উঁকি দেয়!
স্বপ্ন দেখে যাই আমি একা একা
এই পথিক নীরবে
তিনশ বছরের ধূলি ধূসরিত এই
সিমেন্টের জঙ্গলে।
স্বপ্ন দেখে যাই আমি একা একা
এই পথিক নীরবে
তিনশ বছরের ধূলি ধূসরিত এই
সিমেন্টের জঙ্গলে।
হাসি কান্নার আসর
গভীর রাত্রে ঘুম ভেঙে যায়
ট্রেনের হুইসেলে
স্টেশনটা বড্ড কাছে, তাই।
আকাশ হাসছে চাঁদের বুড়ির
মিষ্টি ভালোবাসা
উঠোন জুড়ে প্রেমের উপাখ্যান।
একলা জাগরণে ঘরের বাইরে পায়ের ধ্বনি
সিগ্রেটটাই সঙ্গী হলো বেশ
নস্টালজিয়া ভালোবাসায়
পাতার ফাঁকে
চাঁদের বুড়ির ঝলমলে আলো।
মেঘের সাথে হাইড এন্ড সিক গেম
বুকের মধ্যে যেমনটা মোর সূর
হয়েছিল চড়ুই পাখির সাথে
পারদচড়া দুপুরবেলায় বুঝি!
মেঘের সাথে গেমটা চলে
ফ্ল্যাশব্যাকটা খুলে
মগজ থেকে ধোলাই করি
হাসি কান্নার আসর।
কিছু সময়ে কিছু ভাবনার স্কেচ
সময় পেলেই খাতায় আঁকিবুঁকি করি
ইঁট কাঠ কংক্রিটের এই সবুজবিহীন
পান্ডুর শহরে।
দু’চারটে ঘাস লতাপাতার প্রকাশ রাখি-
বেমানান হয়ে যায় ছবিগুলো।
স্কেচগুলোতে প্রাণের সঞ্চার করতে
পারি না।
কেননা আমি তো শিল্পী নই যে
স্কেচে ফুটিয়ে তুলব জুতসই রঙের বাহার
তবে মনের স্কেচে থাকে কিছু ছবি
নিয়ন আলোর নিচ-
শুকনো থালায় ঝনঝন পয়সার করুণ বাণী
কোনো এক উলঙ্গ শিশুর এঁটোহাত
পচা খাবারের গন্ধময় সে হাত।
কোনো এক পতিতার করুণ চাহনি
আড়ালে আবডালে পার্কে কিংবা
গাছের ছায়ায় ছায়াসঙ্গী হয়ে থাকা
খদ্দেরের আশায় বাঁচার তাগিদে।
মনের স্কেচগুলো মনের ভেতর থেকে
উঁকি মারে মধ্যরাতে।
চোখের সামনে সাদাকালো তার রূপ
খাতায় দিতে পারি না
কেননা আমি তো জুতসই শিল্পী নই
সভ্যতার ভেতর সভ্যতার পূঁজ খুঁজতে গিয়ে
নিজেকে অসহায় মনে হয়।
পূঁজগুলো তো আমাদেরই সৃষ্টি
আমাদেরই মতো কিছু মানুষ
কারিগর হয় পূঁজ তৈরিতে।
সভ্যতার এই দৃষ্টিগুলো বড়ই অসভ্য!
সভ্যতার এই দৃষ্টিগুলো বড়ই অসভ্য!
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন