কবিতার কালিমাটি ১২৯ |
যখন শরীরে সবুজ
যেন কেউ কখনো
থুতনির আকন্ঠ ধরে বলেনি
এদিক ফেরো
সবুজে ফেরো
যেন বনদেবী
দুপুরের ঝড় বৃষ্টি রাগ অভিমান পেরিয়ে
সন্ধের আদরে
আঙুলে মমতায়
ভেজা রাস্তায়
সোঁদাল
শরীরে এক পশলা
শরীর
বাইরে বিদ্যুতের
তুমুল সফেদ
আর মাথা মুছিয়ে
হাঁটুর বাঁয়
যত্নআত্তি
আশ্চর্য মলমের পাতায় ডালে
তোমার গায়ে
সবুজ মেরুন রোদ
বনদেবী ব্যথা
শুষছে
আমি বুক ঠোঁট সবুজ আঁধার জড়িয়ে
অল্টো মসৃণ ছুটন্ত
পরশুর ভাঙাগাছ
চেরাপথ ও রোশনি
আটকাবে না
যত খড়কুটো ফার্ন
রাস্তাশোয়া ভেজা প্রদীপ
নরম বাঁ জুড়ে
শরীর বুলোচ্ছি
আর উল্টোদিক
থেকে আসা ট্রাকের আলো বাঁচিয়ে
দু’আঁজলা চোখ
ঢেকে ফিসোচ্ছি --
এমন ভাল আর কেউ বাসবে?
শান্তিনি
এরাস্তায় এপ্রিলখোলা
নির্মম হাওয়া
মাঝে আমি তুমি
শান্তনিকেত বরাবর
তুমি কয়েক কুচি
পাথরে
উজ্জ্বল গ্রীবায়
যখন মোলায়েম
আমি তোমার উর্ণ
দুহাতের আগল দিয়ে ঘিরে
তালুতে সুধীন্দ্রনাথ
ঠোঁটে উটপাখী
শরীরে শরীরের
নরম একতারা
তুমি শান্ত
চেয়ে আছ এঠোঁটে
নাকে নাক আঁচিল নাশুরু সংসারের সোঁদাগন্ধ
হাঁ করলে গলায়
দু’ঢোঁক জল আদরে ঢালছ
ধ্বনির ব্যঞ্জনে
তুমি মুগ্ধ শ্রোতা
তোমায় ফোকসুরে
বাঁধব
যেরাতে তুমি
মাধবীলতায় খোলা চাঁদে টগরে
ঢেউ উপচে পড়ছে
বুকের হাপরে
শোনো, আমার
কবিতা নাছোড় আছড়াচ্ছে
মল্লারে ভেঙে পড়ছে তুমিচাই টপাস্ ফোঁটারা
সাতফেরা
ঠোঁট হেসেছে
তুমি আমারি
তোমার পাপড়ি
মৃগনা এদিক ফেরাও
সাতবার
জনমানবহীন কিছু
জ্যামিতি
বাসের মত
রাস্তায় প্যান্ডেল
হচ্ছে আলো ছুটবে
রুলটানা দুপাড়
তোমায় আমার
মত করে জড়িয়ে
সাতবার
কপালে তর্জনী
ছুঁয়ে তৎসবিতুর ফিসফিস
ত্রয়ম্বকম থেকে
অমৃত অব্ধি
অঙ্গ আগলে রাখা বেদ
তুমি রাজরানী
ফিরে এসেছ ফিরছ প্রতি ফেরায়
কাগজেরা উড়ে
বহুদূর
আমি হৃদমানব তোমায় চাই
সাতবার
বাহ্, প্রতিটি কবিতাই চমৎকার!
উত্তরমুছুন