কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

সোমবার, ১৯ জুন, ২০২৩

নিমাই জানা

 

কবিতার কালিমাটি ১২৯


স্পার্মাটিক কর্ডের মৎস্যজীবী ও চতুর্দশ বাগানের সুশীলা নারী

স্পার্মাটিক কর্ডের যে পুরুষ মৌমাছিরা ফেরোমেন অধ্যুষিত মালভূমির জান্তব রেশম রঙের পালকগুলোকে নিয়ে আমার বাবার শরীরে তৃতীয় জরায়ুতন্ত্র রোপন করে যায়, আমি তাদের কাছে নীল ঝিনুকের অক্ষিগোলক রেখে আসি রাতের অ্যালকোহলিক বিছানার চতুর্পাশে গজিয়ে ওঠা প্রহরারত শিশুদের গর্ভপাত কঙ্কালের মতো

কালো রঙের গলা পচা মাছের দেহ কেটে দেওয়ার পর তলপেটে আড়াআড়ি শুয়ে থাকা রক্তাক্ত ত্রিশূলের মুখে লেগে থাকে ১৩টি পূর্ব জন্মের শুক্র বীজের রসের ফোয়ারা, চুইয়ে পড়ছে গলিত পারদমাখা মৃৎশিল্পীর পচে যাওয়া পাকস্থলীর পুঞ্জ পুঞ্জ রক্ত রস, মৎস্যজীবিটি আঁশফলের ভেতরে চতুর্দশী বাগানের কিছু রক্তস্নাত আঙুলগুলোকে খন্ডন করে নারীটির পোশাকের ভেতর ২ এম এল রগরগে আখরোট গর্তের ভিতর পাগুলোকে ঢুকিয়ে দেয় ভদ্রাসন ময়ূরীটির মতো,

আরো একবার উষ্ণতর গর্তে নোঙ্গরহীন জমাট মাখন নাভির ভেতরে শুঁয়োপোকাগুলো পালক নিয়ে ভাঙ্গা কাঁচের দোকানে নীল রঙের মেথিলেটেড স্পিরিট খাচ্ছে, সুশীলা নারীরা গোপন বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে নর্মদা নদীর তীরে ক্রিয়াযোগে বসে আছেন

প্রবৃদ্ধ বসে থাকা সব জ্যামিতিক পুরুষেরা মোমবাতির মতো কাছে নিয়ে যায় পশ্চিমবাড় থেকে নেমে আসা একটি জলজ আবহবিকারের শ্মশানের তৃতীয় ছাই মুখে মেখে নেওয়ার পর এই জলপথে এক একদিন চন্দ্রগুপ্ত এসেছিল নিঝুম রাতের পদাতিক সৈনিকের মতো,

নিউক্লিওপ্লাজমিক পদ্মপুরাণের পিশাচ পুরুষেরা একটি আশ্রমিক পুরুষ সেজে নীলাভ শুক্র দেশে কালো কালো কালপুরুষদের আবছায়া নিয়ে জটিল অভয়ারণ্যে নিজের বিষাক্ত আঙুলগুলোকে কেটে ফেলছে গোখরো দাঁত দিয়ে

 

বারুদের নিকোটিন ও নীলাভ ক্লেটোরিয়া ফুলের ভঙ্গিল পর্বত

২৬ মিলিয়ন ঘনত্বের গ্র্যানুউলার ফলিকল সিমুলেটিং এর মতই যে পাখিরা রাতের সাইট্রিক অন্ধ্রপ্রদেশে গিয়ে চন্দ্রগ্রহণ পরবর্তী শক্ত তীরন্দাজদের নিয়ে পাতাল প্রদেশে এসে অশ্বমেধ কাহিনী রোপন করে যায় তারা জানে প্রতিটি মৃত্যুর পর আরও একটা বানপ্রস্থ ঈশ্বরের তৃতীয় ভঙ্গিল পর্বতদেশ  রাখা আছে

একটা দীর্ঘ বিস্ফোরণের পর যে মানুষদের বুকের পাঁজর, চোখের উপপল্লব, মাথার খুলি, তলপেট, জননতন্ত্র, ডানবাহু আর রক্ত তঞ্চনের নৌকা উড়ে যায়, তারা জানে প্রতিটি অক্ষরেখার ভেতর যে কক্ষপথের নৌকাগুলো মধ্যরাতে বাড়ি ফেরার নাম করে অসুস্থ রণভূমি পাহারা দেয় তাদের শরীরে আর কোন উভয় লিঙ্গ পরকীয়া নেই, জলের ভিতরে বারুদের নিকোটিন জ্বলে উঠছে তীব্র আর্তনাদের জন্য

সকলের হাত থেকে ঝুলে আছে ঝিনুকের মতো এক ধারালো অস্ত্র পায়ে সকলের চক্রাকার ফলকগুলো গুছিয়ে উঠলে আগ্নেয়গিরির মুখমন্ডল থেকে নেমে যাচ্ছে একটি জিতেন্দ্র শরীরের নীলাভ ক্লিটোরিয়া ফুল, শুঁয়োপোকার মত পিচ্ছিল উপজীবী ত্রিভুজের দল নেহাই খন্ডকের ওপরে নিজের মাথা টিকে রেখে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দিচ্ছে, গোলাপি রঙের জলজ শরীরের পাশে সোনালী মাছেরা স্বর্ণালঙ্কারের গোপন বাক্সটি আলগা করে দিচ্ছে সিন্ধু প্রদেশে যাওয়ার আগে

শৌলা ব্রিজের নিচে যে মহাপাললিক জলজযানগুলো নদীর মোহনায় কাছে এসে একটি গোপন আত্মরক্ষার ঔষধি আবিষ্কার করে তারা জানে বালিয়াড়ির তলায় সব গন্ধর্ব কুমারীরা রাত্রি তিনটে বেজে ৪৫ মিনিটের পর নিজের খোলস হালকা করে ডটেড দ্রাঘিমায় ডুবে যায়, আঙ্গুলের ভেতর এক একটা ব্রহ্মা নাচছেন

 

নিষিদ্ধ জানালা ও সিন্থেটিক গণিতজ্ঞদের শ্মশানতন্ত্র

ঠিক আমাদের মতো নীলাম্বর হৃদপিন্ড, ঝুলে থাকা ডিম্বাশয়ের পেঁচানো সুতোর মতো আঁশটে গন্ধওয়ালা পাখির স্নায়ুতন্ত্র থেকে নির্যাস বের করা আপেল ফলের মৃত সর্বনাম পদেরা কাঁচের পাত্রের ভেতর দুটো নিষিদ্ধ জানালায় ১১ টি জেব্রা ক্রসিং রেখে দিয়ে কোশল মহানগরী আবিষ্কার করছে,

জানালার বাইরে ক্লোরোফরম মেয়ের মত সাদা, চুপচাপ সিনথেটিক কাঁকড়া বিছারা বুকের প্রহর খুঁজছে লাল জরায়ু ভেদ করে আসা গণিতজ্ঞদের মতো

কতজন অধাতব পুরুষ মানুষকে মধ্যরাতে পুড়িয়ে একা ফিরে এসেছি স্বর্ণভস্ম, শিলাজিত আর মুসলিম পাওয়ারের টেন এম এল দুধ গোলা জলে আখরোট মেশানো পদ্ম রস খেয়ে, আমি শুধু অতিপৃক্ত দ্রাঘিমার সাথে ঈশ্বরের নীল কৃষ্ণনগরে আমাদের ক্ষার সূত্র রেখে আসি

ঈশ্বরের পায়ের মতো একদাহ পত্রে নীল বেদানা ফল রেখে দিচ্ছেন অসুস্থ স্নায়ুতন্ত্রে ঢেলে দেওয়ার জন্য, সাপেরা এখনই ট্যানজেন্ট দৈর্ঘ্যের ধ্বজভঙ্গ হয়ে উঠবে, রবীন্দ্র পুরুষটি ১০ ঘনত্বের গ্লোবিউলিনটিকে কাঁকড়া বিছাগুলোর সাথে নিয়ে তরুক্ষীর বাগানের কাঁচের গুঁড়ো দিয়ে স্ট্রবেরি মেখে খাচ্ছে,

গোপনে ঋষি জটা ফুলের দারুচিনিরা একটা প্যারেনকাইমাহীন শল্কমোচন থেকে রক্তভূমির দিকে উড়িয়ে দেওয়া রক্তাক্ত খাদকদের ঝুলিয়ে দিচ্ছে একটা রেল লাইনের হুক থেকে,  আমাদের মাথার ভেতর থেকে এক মুঠো ধূসর আগ্নেয় ফলক ঝরিয়ে দিচ্ছে ঋতুমতি মা ও ছেলের তলপেট

হেমোরয়েডস শ্বেতপ্র‌দর বলে আর কোন অসুখ নেই, আম্লিক অসুখে ভোগা রক্ত তঞ্চনের লোহিত সাগরময় শীততাপ নিয়ন্ত্রিত শ্রেণিকক্ষে ভূগোল বিষয়ক অন্ধকারের সুদীপ মান্না লীলাবত রক্তাক্ত যৌগের মকরামিচকের নীলাভ কংক্রিট রাস্তার ধারে ক্রিয়াযোগীর অসুখে নীল সাপেদের চাষাবাদ করছে উপপাতালিক গহ্বরের কাছে এসে, আমি দুই হাতে শ্মশানের উনুন খুঁড়ে ফেলছি

 

 


1 কমেন্টস্: