কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

সোমবার, ১৯ জুন, ২০২৩

মোনালিসা চট্টোপাধ্যায়

 

কবিতার কালিমাটি ১২৯


ভালোবাসা ভালোবাসা ১

 

পাখির পায়ের দাগে ফুলঝুরি খেলি; ঘাসের আয়ুতে রাখি নাম

অব্যবহৃত কথা জমে আছে

এসো --

এই দুর্গম পথেই একা পাহাড়ের ঢালে বন্দি

রশ্মি নামে রঙচঙে এক পোশাকের মত ফাঁক

চোখে উত্তরের সব ঠান্ডা ছায়া ডেকে যায় আমাকেই --

হাত কাটে মাথা কেটে বলি নিয়ে যেও

এই ভালোবাসা উপবনে নিঃশব্দে গড়িয়ে যায় রক্ত!

 

চুম্বন যেভাবে ঘোরে তার বিপরীতে ধারালো শরীর

দৃশ্য থেকে দৃশ্যান্তর ঝকঝক করে ওঠা তালু

তোমাকেই দিই বাকী সব।

 

ভালোবাসা ভালোবাসা ২৬ 

 

সরিষার নিদ্রাতুর ফুলে

চোখে মুখে ভুল গিলে ফেলি;

পরে শুনি -- মেঘের পিছনে বাণ!

 

গন্ধতেল – মখমল - পাখিরালয়-- মুনিয়া?

 

এসব বোঝার নয় বলে বুঝবে না জানি --

 

বামে গুরু দক্ষিণে গণেশ

উর্দ্ধে  ব্রহ্মা অধঃ অনন্তকে ছুঁয়ে তরঙ্গে জাহ্নবী হব; এইসব আশা করে যদি নদী যায়

সূর্যাভিমুখে --

 

কর্ম আর অপকর্ম ধর্ম ও অধর্ম;

মানুষের প্রেমে ঘুরপাক খেয়ে মরে,

তবু মানুষের ভালোবাসা সত্য ছুঁয়ে এখনো ঈশ্বর।

 

বাজনা বাজাও --

শস্য এক এক অঞ্জলির করপুটে

অনন্তর পথে যায় শেষ অব্দি।

 

ভালোবাসা ভালোবাসা ২৭

 

মেয়েকে আদর দিও,

অনিন্দ্য সাগরে খুঁজি --

ক্যাডবেরি চশমা ও ঘোড়া,

পাথরের পেনসিল।

 

সব মায়া ধারাজল,

চলমান সিঁড়িতে চলেছি

ছাদে চলো --।

আহির শুনেছি -- বাঁশিনী বাঁশের জাত বাঁশি।

 

ভাত বেড়েই সমুদ্র খাই

কফিতে স্যাম্পান ভুখা শিরে বীর্য ধরি

জীবন কন্ঠের নালি পেলে তুমি পাও

জরায়ূর ওম; রঙিন গ্লাসের ফুলে

তার অভিযোজন কেবল লক্ষ করি।

 

স্ফুটনাঙ্কে শব্দ হয় তুমি  আগাই-পিছাই হয়ে

গোলার্ধ ছুঁলেই আমি সুনীলে আলোক।

 

তোমাকে ভালোবেসেছি কোনো প্রত্যাশায় নয়

আমাকে কাঙাল করে যখন লেখাও

আমি না-খেলা দাবার ছকে 

সীমান্তের প্রহর বিন্যাস।


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন