কবিতার কালিমাটি ১২৯ |
নির্বিকার আগন্তুক
কে যেন পা টেনে
আসে
রাত্রি শেষ
হলে
একদম পাঁজরে
আমার
এবং উঠোনে,
যেখানে
আমার কবর শুয়ে
থাকে অনাদরে
ভাগাড়ের অতিবর্জ্য
হয়ে
নীরবে বিরক্ত
হয়ে
বসে থাকি রিক্তপেটে
পিশাচের মতো
রক্তস্বাদ জিভে
আসে
মেদমজ্জাবীর্যঘাম
আর কিছু অপাচ্য
গলিত ভ্রূণের
আবছায়া সাগরের
কাছে গিয়ে দেখি
কোথাকার কান্না
এসে মিশে গেছে স্রোতে
আর আমি পরাজিত
সৈনিকের মতো
রাতদিন ভাবি
ঘোলা জলে এত
বিষ কেনো!
আঁশটে সময় আসে দেখি
প্রচ্ছন্ন শ্বাপদগুলো
আসে
গ্রামেগঞ্জে,
গণকোলাহলে
দিনে ও অন্ধকারে
মাতাল প্রলয়ে
এরা দেহবীর্যকামী
এবং পরাশ্রয়ী
ঘনরক্তপায়ী
আমি দূরে দূরে
থাকি
তবুও হাওয়ার
সাথে লাশবাহী গন্ধগুলো আসে
গন্ধগুলো মনে
হয় চিরপরিচিত
এবং চিরস্থায়ী,
বহমান সহস্র বছর
নিকটে আমার
গন্ধ ঘোরাঘুরি করে
তার সাথে পূর্বপুরুষের
তোমার আঁশটে
নাড়ী বাসি হয়ে গেল
এবং পড়শীর
নাভি আমার নখর হাতে শেষরাতে এল।
তিথি অতিথি
মুক্ত অতিথিরা
আসে, স্থির হয়ে বসে থাকে
দুপুরের ভোজের
আশায়
আমি ডাল হরিতকি
নিয়ে
সমগ্র নগর ঘুরি
আমলকী পাওয়ার
জন্য
কেননা শবের
ঝোলে অম্লতার কিছু প্রয়োজন
তোমাকেও হঠাৎ
দেখি এমন সব খাদকদের মাঝে
দাঁতগুলো অদৃশ্য
হয়েছে কবে
তবু কেন ঝিকিমিকি
করে উঠে মাংসের লোভ
মুখে তার লেগে
আছে পায়ুমূত্র সব, অতএব
খানিকটা ভীতভ্রান্তি
নিয়ে
ঘোড়সওয়ার
হই, ফেলে যাই অতিথির শান্ত নদীকূল।
kubh bhalo laaglo
উত্তরমুছুন