কবিতার কালিমাটি ১২১ |
তৃষ্ণার তৎসম
কৃষ্ণচূড়া ঝরলেই আমি পর্ণমোচী হয়ে যাই আর কতকগুলো দাঁড়কাক দুপুর পার করে দেয় সুর রিয়্যালিজমে, মাটির ফাটলে সেই সরস দাগের উপর একটি উলঙ্গ মানুষ শুয়ে থাকে – তার মাথা শূন্য, তার শরীর শূন্য – উত্তাল বাতাসে দাগহীন হয়ে যাওয়ার ভয়ে ডিভাইন করতে থাকে নীল রং
সে কোনো মৃত্যু নয়, বলি – এর পরও দেখা হবে, দুটি পাখিতে হাসবে বটবৃক্ষ, পিঙ্গল প্রান্ত থেকে মুক্ত বর্ণমালা হাতে নিয়ে আসবে পৃথিবীর আকার
এরপর হন্যে হয়ে খুঁজে যাওয়া তৃষ্ণার তৎসম – দেয়ালবিহীন আর্তনাদ ডুবসাঁতার দিতে দিতে আণবিক হয়ে যায়
ঋতুর পীঠে ভগীরথ
এ যেন একাগ্র দৃষ্টিতে নিজের কপালের দিকে তাকিয়ে থাকা, কোনো আলো নেই শিরা-উপশিরায় – তবু কেউ কারও নাম দেয় উৎসর্গ, সাদা পৃষ্ঠায় কয়েকটি রঙিন বিন্দুর গ্লোবিউলস মিশে যায় দলমণ্ডলে
আয়নার ভিতর নেমে আসছে দূরের কার্নিশ – প্রবল ঋতুর পীঠে ভগীরথের ভারহীন জীবন নিয়ে উলম্ব রাতটি দুলছে তো দুলছেই – গঁদ পাতার মুকুট আর কুর্চি ফুলের পায়েল নিয়ে ঢুকে যাচ্ছে শেষ ফাল্গুনের পাঁজরে
তুমিই একমাত্র নাব্যতা, দাঁড়িয়ে থাকা আকাশ ও দিগন্তের নীলে ছড়িয়ে যেতে যেতে গা ছমছমে মিউজিয়াম – আস্ত জীবনের গঙ্গাজল মানতের পর কোথাও না কোথাও ফুটিয়ে তোলো রুদ্র পলাশ
স্বমেহনে বেদুইন বাজে
স্বীকার করছি গ্রীষ্মের ঝাঁঝালো গন্ধের সাথে কিছু ডালপালা ছেঁটে দেওয়ার জন্য দায়ী আমি, যদিও নিভৃত ছিলাম – ভুল বানানের দিকে যেতে যেতে নার্ভের ব্যথার উপর বিষ আঙুল চেপে তাকিয়ে ছিলাম রাধাচূড়ার দিকে, তবু প্রতিটি সন্ধিক্ষণে অস্থি আর লিগামেন্ট স্বমেহনে বেদুইন বাজে –
তুমি কী চেয়েছিলে – উঁকি দেওয়া দিবাকরের রং মিশে যাক অপেক্ষারত পাখিটির বুকে – অন্ধ করো নীহারের নিঃশব্দ পতন – ময়নাতদন্ত নিয়ে অদূর অন্দরে শেয়াল ডাকে
চমৎকার লেখা। আচ্ছন্ন করে রাখে। 🌷🙏
উত্তরমুছুনভীষণ ভালো।মুগ্ধ হই!
উত্তরমুছুন