কবিতার কালিমাটি ১০৫ |
আপেক্ষিকতা
সবুজ পাতার
ওপরে কালো মেঘের মাশকারা
সকালে উঠে দেখি কিচিরমিচিরেরা আজ ঠোঁট তোলেনি,
এমনদিনে বনমোরগ
ডাকে, নীলপাহাড়ে -
এমনদিনে বিছানা
বালিশে সমুদ্র কাঁকড়া ঘুরে বেড়ায়
মাঝেমধ্যে কাগজের
অ আ ক খ-গুলো ঘাঁটতে ঘাঁটতে,
চমকপ্রদ রেসিপি
হয়ে আছি নিঃসাড়ে -
তুলতুলে পাখির
ছানার ঠোঁটে চামচে তুলে খাওয়াচ্ছে মা'পাখি -
এটাই খুব সত্যি
- আপেক্ষিকতায় বেঁচে আছি বেশ…
কাঠের মতো,
লোহার পাল্লায়, কড়িবরগায় -
পেরেকের গা
চুঁইয়ে রক্ত ঝরলে - পৃথিবীতে বিস্তর সবুজ বিপ্লব হবে -
গাছেরা ঘরে
যাবে, নদী জল কুড়াবে, মেঘ সেচে সেচে আমি
আকাশের উঠানে
ঝাউতারা হয়ে যাব -
আরো কিছুক্ষণ
এইভাবে থাকো
আরো কিছুক্ষণ,
আমার নদীর কাছে
বসে থাকো জলবিম্ব হয়ে,
তোমার ভেতরে
গাছ হয়ে আছি -
একটা নৌকা বহুদূরগামী...
এর থেকে দীর্ঘ
চিঠি কেউ লেখেনি -
ভেতরে বাইরে
যেসব ছবি ঘুমিয়ে আছে,
মাছের ঘরে পাখিদের
ডাকাডাকি-
তুমি শোনোনি,
আমিও শুনতে চেয়েছি!
এভাবে জেগে
থাকো কিছু রাত,
সবাই ঘুমিয়ে
গেলে আলোও শিশুর আদর পেতে চায় -
সন্তানের জন্মদিন
জেনে, চাঁদতারা চুম্বন করে যায়,
আরো কিছুক্ষণ
একা থাকি-
ওই পাড়ও দূরগামী,
এই পাড়ের অপেক্ষায়...
ঘাট
বাড়ি বদলানোর
গোপন সূত্র খুললেই
সিঁড়ি ঘাটের
দুপাশের পৃথিবীতে দাঁড় করায় -
শুকনো পৃথিবীর
দাঁত চোখ নিয়ে তাকিয়ে চাঁদ সুখ!
ভাঙা মালসা
থেকে আতপের গন্ধ যাচ্ছে ভেসে-
কালো মাটিতে
জট পড়া জটিল খতিয়ান
কাকেরা বারবার
ফিরে আসে
ঠুকরে ঠুকরে
অন্ধের লাঠির যন্ত্রণা -
বহমান চিবুকে
লেগে থাকে হাসি -
ওপার থেকে এপার
- যাত্রী বোঝাই -
মাঝির কখনও
নেই বিশ্রাম!
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন