কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

বুধবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২১

সুবল দত্ত

 

কালিমাটির ঝুরোগল্প ৯৫


কির্কল্যান্ড ১৪৫ লেআউট এন ই                  

সারিবদ্ধ পিঙ্ক চেরী ব্লোসম গাছের নিচে কয়েকটা গোলাপী গার্ডেন কুর্সি। একটা গোল টি টেবিলে রাখা কয়েকরকম ড্রিংক্স ও স্ন্যাক্স। অদূরে লম্বা পাইন গাছের সারিতে ঢাকা সূর্য এখন ওঠেনি। পাশে ছাই রঙের মনোহারি বাংলোবাড়ির সিঁড়ি থেকে বৈঠক অব্দি পিঙ্ক রঙের কার্পেট পথ। বাড়ির মালকিনের গায়ের রঙ দুধিয়া গোলাপী। পরিবেশ গোলাপীময়। বয়েস সত্তর কিন্তু যৌবন শরীর ছাড়েনি। অসাধারণ সুন্দর স্তনযুগল, লম্বা পা, সরু কোমর। নাম ডায়নি। তার দেহ সৌষ্ঠবের বর্ণনা আমি করছি না, যারা আমন্ত্রিত তাদেরই এতক্ষণ ধরে চর্চার বিষয়। অতিথিরা প্রত্যেকে ষাঠোর্দ্ধের লেডি। ভিয়েনার ন্যান্সি, ফরিস্তা আফগানি, অষ্ট্রেলিয়ান ডরোথি, ব্রাজিলিয়ন সুশি। একা আমি ষাঠের ভারতীয় পুরুষ। একটি কুর্সি খালি। ডায়নির ম্যাকরণির মত নরম স্তনের বিষয়ে অবাধে আলোচনা শুনছি। এমনসময় স্থিমিত ঘোড়ার খুরের শব্দ। পাইনের বাঁক থেকে সাদা ঘোড়ায় চেপে যিনি এলেন তিনি য়ায়া। বিরাশী পার সুঠাম দেহতনু, রূপোলি চুল, চোখে সোনালী পলক লাগানো। নীল চোখ। তিনি গ্রীক মহিলা। তাঁর নামের মানে হলো ঠাকুমা। 

-হ্যালো এভরিবাডি। খালিই মেরাআ। (গ্রীক ভাষায় সুপ্রভাত)

-হ্যালো য়ায়া স্যুইট হার্ট, লাভ ইউ।

-সেয়াগাপো মুহ মুহ (সবাইকে আমার ভালোবাসা) সরি আমার দেরীর জন্য। চলো আমরা সবাই ড্রিংক্স নিই। এই সুন্দর সকাল এনজয় করি। হাই ডায়নি, তোমাকে তো পরীর মতো দেখাচ্ছে।

-বিকজ অফ হার পাওয়ারড বুবস (ঠোঁটকাটা ন্যান্সির জবাব)। আমার তো এখন ফ্ল্যাট পাস্তা।

-খাণ্ডম, মেরি জানম (আফগানি ফরিস্তা বলে ওঠে )ইউ আর সো সুইট। মাশাল্লাহ।

আমার সাথে পরিচয়পর্ব শেষ হতে উত্সুক ডায়নি জানতে চায় ভারতীয় যুবতীদের বক্ষরহস্য। ইতিমধ্যে এক লেসবিয়ান প্রত্যেকের হাতে পানপাত্র ধরিয়ে দিয়ে যার যেমন ইচ্ছে সুরা ঢেলে দেয়। প্রতিটি গেলাস নারীর উন্মুক্ত বক্ষ। কাচের স্তনাগ্রে ঠোঁট রেখে আমাকে পান করতে হলো ভার্জিন ব্লাড মেরী। অন্যেরা ক্যাচ ফায়ার ইতালীয় হুইস্কি ক্যারামেল টারটল। ট্রে ভর্তি নানান ডিজাইনের স্তন। এতো সুন্দর পানপাত্রের কালেকশন আমি ভাবতেই পারছি না।

-আমার কাছে তিন হাজারেরো বেশি সংগ্রহ। তিরিশ বছর ধরে পৃথিবীর প্রতিটি প্রান্ত থেকে খুঁজে এনেছি। ওয়ান্ট টু নো হোয়াই?

উত্তরের অপেক্ষা না করে ডায়নি উঠে দাঁড়ায়। খুব ধীরে ধীরে স্ট্রিপটিজ নাচের ভঙ্গিতে পিঙ্ক গাউন খুলে ফেলে। পিঙ্ক রঙের ব্রা খুলে ফেলতেই আর্তনাদ করে ওঠে সবাই। ও মাই গড! দে আর মিসিং! দেখলাম, বুকের উপর প্রায় স্বচ্ছ সপাট চামড়া। হৃৎস্পন্দনের তালে তালে নড়ছে।          

 

         

 


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন