কবিতার কালিমাটি ১০৩ |
চোখজোড়া ও আমি : চারটি কবিতা (১) সারারাত ধরে শুধু যাওয়া আর আসা গান গাইতে গাইতে বৃষ্টির ফোঁটাগুলো যখন ঝিমোয় টাপুর টুপুর শব্দগুলো তখন ঘাসের আগায় মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়ে (২) অতঃপর মান ভাঙানোর পালা মেঘের কাছ থেকে একটু বৃষ্টি চেয়ে পিয়ন ডাক পাঠায় (৩) বাল্ব জ্বলে ও নেভে বারংবার আলো-আঁধারের আনাগোনা (৪) নিয়ন আলোয় যতদূর চোখ যায় বিঘার পর বিঘা জমি জুড়ে স্যাঁতস্যাঁতে রোঁয়ায় ঘেমে ঘ্রাণ উড়ছে। সুতো শানার ভেতর দিয়ে সুতো গড়িয়ে যায় মাকু কুণ্ডলিকৃত অতীত বর্তমান ভেদ করে এক নিমেষে আমি সময় বুনি টুকরো টুকরো করে মাংসপেশি খুলে ফেলি শরীর থেকে তারপর জুড়ে দিই। |
ঘরবাড়ি ও
আমরা চারটে দেওয়াল পাশাপাশি দাঁড়িয়ে লাফিয়ে ছোঁয় শূন্যতা একটু একটু করে সযত্নে বেড়ে ওঠা কুমড়োগাছ রোদ পোহায় না বলা কথারা রাত্রি নামলে তুমি আর আমি চুপি চুপি চলে যাই কবরে শুয়ে থাকি পাশাপাশি। ঘুমহীন
দুপুরগুলি চিৎ হয়ে শুয়ে থাকা বালিশে প্রশ্ন রেখে আমি বেরিয়ে পড়ি ওপর থেকে তাকিয়ে দেখে ঘুলঘুলি লম্বা লম্বা আঁশটে হাঁ মুখ নিয়ে ঝোলে বাড়ির ছাতাওয়ালা অ্যান্টেনা ঘেমো গন্ধ হাতের চেটোয় মেখে আঁকতে বসে কবিতার দল রোদ পেরিয়ে যায় মাইলের পর মাইল জিভ ভুসা কালি-ঝুলি মেখে চেয়ে দেখে জল কতদূর। |
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন