প্রতিবেশী সাহিত্য
লেওপোলদো কাস্তিইয়া’র কবিতা
(অনুবাদ : জয়া চৌধুরী )
কবি
পরিচিতি :
১৯৪৭
সালে উত্তর-পশ্চিম আর্জেন্টিনার সালতা শহরে জন্মগ্রহণ করেন লেওপোলদো কাস্তিইয়া।
১৯৬৮ সালে প্রথম কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়। ১৯৭৬ সালে সে দেশের ডিক্টেটরশিপ চলা
সরকারের হাত থেকে বাঁচতে স্পেনে পালিয়ে যান। তিনি মোট তিরিশটি কাব্যগ্রন্থের
প্রণেতা। চীনা, ফরাসী, ম্যাসিডোনিয়ান, ইংরিজি, রাশিয়ান, সুইডিশ
ও তুর্কী ভাষায় তাঁর কবিতা অনূদিত হয়। তাঁর লেখা গল্প নিয়ে রোনালদো পারদো চলচ্চিত্র পরিচালনা
করেন ‘লা রেদাদা’ বা ‘রেইড’। ভেনেজুয়েলা, আর্জেন্টিনা
ইত্যাদি দেশ বিদেশে বেশ ক’টি পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন এখনো পর্যন্ত।
Baniano, Sudeste (পুব দখিনের বটগাছ)
পাথরে
(সে
যেমন মিলিয়ে যাবার আগে
ঘুমিয়ে পড়ে)
বুদ্ধ আশ্রয় নিতে পারতেন।
ওরা তাঁর পা আঁকড়ে ধরেছিল
পৃথিবীর উল্টোপ্রান্তে,
পুরো ইতিহাস কেবল একটি পায়ের ছাপে –
কেবল সেই মুহূর্তের অগ্রগমনে
এক ঈশ্বরের জন্ম হতে পারে,
পাথরটি এখনও পুরুষ
তাঁর আকারকে শান্ত করে সে পোষ
মানায়
স্মৃতি
কখনও ধুলো হতে পারেন নি তিনি
ঈশ্বরের দিকে পালাতে পারবেন তিনি।
তাঁর কোন নিজের এলাকা নেই
দূরত্বেরাও নয়,
ওরা যে প্রার্থনা গীত গায়
তা হল ভবিষ্যৎহীন এই জীবের
ত্বকের প্রতিধ্বনি
ওরা যাকে এগিয়ে আসতে শোনে
নিজের পায়ের ছাপের ওপর সে ফিরে
ফিরে আসে।
সেখানে কোন প্রসার নেই
অসীম শেষ হয় মূর্তির সেই রশ্মিরেখায়
যেটি সে হারিয়ে ফেলেছিল ।
Baniano, India (বটগাছ, ভারত)
চাঁদের ভেতর আলো কীভাবে
তার কালো হাড় দিয়ে তৈরী খাটের ওপর
ঘুমন্ত
প্রবেশ করে গিয়ে থাকবে,
সেই আত্মবিশ্বাসী অবিনশ্বরতায়
যে খাটের পায়ার নিচেকার
ফুটপাথের গতিবেগ
অনুভব করতে পারে না
কিংবা তার চারপাশে ঘূর্ণায়মান
শহরটাকেও
যেন সে ধরে রেখেছে
দিনের পয়োঃনির্গমন।
নতুন দিল্লীর গোল মার্কেটের
কেন্দ্রে
জ্যান্ত পোকার মত
সাদা কম্বলের ওপর
হাঁটতে থাকা।
আমাদের সে ছুঁড়ে ফেলে দেয় বাইরে
সেই ফাঁকে তার মাথা চাড়া দেয়
একা
অন্য সাগরে।
আলোর কোন পুনরুত্থান
ধরে রাখে
মুক্ত করাকে?
আর আমরা, ভোর
হবার আগেই সবকিছু থেকে বহিষ্কৃত
অন্ধের লাঠি ভর করে ঘুরতে থাকা
লাইটহাউসের মত
ঝলসানো চোখদুটো নিয়ে কী করব?
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন