কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০১৬

রাজিয়া সুলতানা

সন্দর্ভ

ধূলোর মাটিতে শরীর, জন্মান্ধ শুয়ে আছি।
রক্তজবার মতো প্রাণ। পাই না দেখতে।
পথিক হাঁটে। পথ চেয়ে থাকে
কায়া মায়ার ব্যথায় জরজর।
নিকট হতে হতে আপন হারায় নিজ
শীত চায় গ্রীষ্ম কাছাকাছি।
এক এক করে
সমস্তই ঝরে পড়ে।
বিরহ বিভ্রমে দূর ভাসায় জীবন
কাছে এসে দেখি পুরোটাই ফাঁকি।


চিরায়ত

আজ বিকেলে মেঘের ঘুড়ি সিঁদুর রাঙা
সকালবেলা ছিল কিছু ইলশেগুঁড়ি
তোমার আসার কথা ছিল গেছ ভুলে
এপাশ ওপাশ রাতের বেলা, ঘুম আসে না।
ভুলো মনের দোহাই দিয়ে আর কতদিন?
বললে পারো, ঘুচিয়ে দেব সকল ঋণ।


পড়াশোনা আর হবে না, যাচ্ছে তাই
দুমাস বাদেই বিয়ের পিঁড়ি, উপায় নাই--
মা বলেছে, শুনে তোমায় দিলেম ফোন
কোথায় তুমি, নষ্ট নাকি ডায়াল টোন?

মেয়েজন্ম, যন্ত্রণা তো এমনি ম্যালা
তোমায় এসব বলার চেয়ে মাটির ঢ্যালা
ভাঙ্গা ভালো, সারাবেলা বেগার খেটে
আগুন বুকে কষ্ট কী যে রাতের ঠোঁটে।
শ্বশুরবাড়ি গেলেই হলো
আইবুড়ো মেয়ে বর তো পেলো।


নিবিড় সুখটুকু থাক না আড়াল

বাইরে শ্রাবণ আঁধার
কুপি নিভু নিভু
আমাদের কুঁড়েঘর।
মাটির সানকিতে ভাত। আলুভর্তা, ডাল।
তোমার গামছা, আমার আঁচল
তাকালো পরস্পর।
তোমার চোখে পানপাতা মুখ অভিলাষ
তাকালাম যেই -
আমার হঠাৎ ঘন নিঃশ্বাস।
তারপর --
পৃথিবীর পুরনো কাহিনী
জমি
বীজ
শস্য
বৃষ্টি
কিষাণি-কিষাণ।
ঘন তমসায়
এমন বরষায়
নিবিড় সুখটুকু থাক না আড়াল।









1 কমেন্টস্: