কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০১৬

উমাপদ কর

মাধুকরীর কড়ি-১


অসুখের লিরিক ঘুমের মধ্যে এসে মেশে
           ঘুম আশাবরি খেলতে খেলতে
                  পুরো জ্যোৎস্না শরৎকাল
      স্বপ্নের গেরস্থপনায় কেবলই নীল

ফাঁকা ঘরের দস্যিপনায় দেয়ালে ছোপ ছোপ ভয়
            আসবাবগুলো আদৌ কখনও কি ছিল
                      ফুলদানি ঘুমোলে
       চিরিক আতরের গোসলে ভুরভুরে সন্ধেবেলা

কোথাও কি শঙ্খের দানা দানা ধ্বনি পড়ে আছে
             নাচের মুদ্রায় বুঝি লেগে আছে পায়রার বক বকম
                      অচেতনও উঠে বসে
       ওদের নাচের আসরে আজ সবার নিমন্ত্রন

রাতের একবাটি জ্যোৎস্নাই এখন সকালের সা-রে-গা-মা-পা



মাধুকরীর কড়ি-২

রাস্তা কুড়িয়েছে পথের ধুলো
        ভুলগুলো আর নিরাপদ নয় ব্যারাক স্কয়ারে
কোথাও ড্যাগারের বর্ষাবিনোদনে
                কাঁপা কাঁপা রাতের নিকেল

এখানে এখন আটপহরের সাবানসংকীর্তন
         দূরেলা ছবির ভোজে
               সারমেয় সোহরত
অন্ধচোখের মণি ঘোরানো অলীক ফটক

আশ্বাসগুলোর রোঁয়া ওঠা ডুরে শাড়ি
            পরবে কি পরবে না
     ভাবতে থাকা অরণ্য নিষাদিনী
ফেলে গেছে শুশ্রুষার বিধি বনাম অমিতাচার

ভাসতে ভাসতে প্রকৃত ফেরার তার কিস্যা বলতে থাকে...



মাধুকরীর কড়ি—৩

বেদনাকে ছুটি দিলে কবিতা কল-পুতুলের
            চোখে জল, ছল
স্কিপিং কিশোরী আটান্ন উনষাট ষাট একষট্টি
                গুনছে, বয়স

হাতের স্বভাব হতাশাকে তুড়িয়ে ওড়ানো
            গুনে গুনে প্রেমপত্র লেখা
        অগুন্তি প্রেমিকে
                   প্ররোচনাও

দহনের শেষ পাতে দই
         জেল্লায় সুন্দরি গাল
     মুখশুদ্ধির নানা বাহানায়
              আরেকটু থেকে যাওয়া সিগারেট

দহনে হতাশ বেদনা জলপিপিদের সঙ্গে খেলছে...



মাধুকরীর কড়ি-৪

ফিরে আসার সেতুতে ধরা যাক
            দেখা হবে, কথা হবে না
                      প্রথমবার

ধরা যাক নেশা হয়েছে রাতখানা
             করাৎ কাটায় দু-ভাগ
                     দুটো সাইকেলের চাকায়
          স্পোকেদের ব্যাসার্ধ জীবন
                    ঘুরতে ঘুরতে ফিরে দেখা
               ফেলে আসা স্নান

ধরা হয়ে গেছে শিশু নিকেতনের হাসির স্তবক
            তারাও জেনেছে চাঁদের গপ্পোটা
                       নিটোলের পূর্ণিমা
       সুবিধের সেতু কত পথ যে কমিয়ে দেয়
                   ফিরে যাওয়ার সময়
              বুঝে যায় দিনের ভোর কুসুম

ফিরে আসায় অনেকটা লবণ
           ফিরে যাওয়ায় কোনও স্ফটিকের স্বাদ
                          প্রথমবার...




0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন