সূর্যলগ্না সমাচার
আনত দৃষ্টি জানে, কী ভীষণ ব্যর্থতা
মেখে থাকে শূন্য চোখ; আর
শরবিদ্ধ পাখির বুকে কতখানি
রক্তারক্তি কান্ড।
আমলকী পাতার ফাঁক গলে অস্ফূট
অভিশাপ উঁকি দেয়
ইতিউতি ছুঁয়ে যাওয়া হাত জুড়ে ক্লেদ,
অমানিশা-
মুখে তবে কালিমা মেখে রাখি!
পুড়িয়ে দিই আগুনে নিবিষ্ট চর্মরেণু...
বিনম্র পাতা গো, তোমার সারা শরীরে
এই যে এত উপাসনা লিখে রাখি-
কবিতা সদৃশ;
তবুও জোর হাওয়ায় সেসব চিঠিগুলি
কাঁপে, উড়ে
যায় মোটিফের মতো!
দেখে দেখে অবাক নিঃশ্বাস থমকে
শ্বাসকষ্ট ব্যাপক, হৃদশুমারীর পাশেই-
ভাঙ্গা ক্যানেস্তারা বাজে এক!
গোথিক গীর্জার পাদ্রী, চুমুকে চুমুকে
শুষে নিও বিষ,
ওইখানে, অসমাপ্ত
প্রেমের পাশে শুয়ে
থাকে মৃত শ্বাস ও আহাজারি।
আহা! কবিতারা উড়ছে, ছেঁড়া
ডায়েরীর পাতা
যারা ভাবে বিচ্ছেদ ভালো, আকন্ঠ প্রেম
তাদের নয়।
পাললিক হৃদপিণ্ডে টেরাকোটা আঁকো,
ডুবিয়ে দাও প্রিজার্ভ তরলে, আর-
সংস্কৃত শ্লোকের মতো দুর্বোধ্য আয়াত
পড় দুলে দুলে;
এইখানে প্রস্থানের তুমুল আয়োজন।
গুণী হে, ভালোবেসে
দেখি হেথায়,
প্রতিদিন সহস্র কথার মরণ,
বধ্যভূমে জীবন যাপন!
তাই কার্যত ও বাহ্যতই মৃত্যু সে
সাবলীল সমাধান;
মুখর করে যাই কূলবর্তী নোঙর
তোমার।
লার্ভা
বজ্রের মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে কীট, খেয়ে
নিচ্ছে ক্রমাগত ফেমিনিন চোখ।
বিদ্যুৎপৃষ্টের ন্যায় স্তব্ধ দৃষ্টি। সে
সংখ্যাতীত শূন্যতা, যেন এক উভলিঙ্গ
ঘোড়া অহরহ টমটম করে চলছে
আততায়ীর মতো। প্রজ্ঞার কাঁধ ঝরে
পড়ে অশ্রুর মতো, ঝুঁকে থাকে মস্তক।
এই অন্ধকূপে একটি-মাত্র একটি
জানালায় ঢাকা পড়ে থাকে অসংখ্য
সিল্কের কংকাল। প্রাচীন সূর্যও চলে
গেছে স্বায়ত্বশাসিত আঁধারে, আর চলার
চেষ্টায় বিভোর যুবতী এক দৃষ্টিতে চেয়ে
থাকে খোঁড়া পায়ের নূপুরের ভাঁজে।
প্রিয়জন ছেড়ে চলে যায়, রক্তের
ভেতরে ঘাই মারে বিষধর শিং। অথচ
কায়া নিঃসৃত ছায়াও লোপাট দেখে নাই
কুমারী, জাতিকা
মীন। আহ বল্লম
চৌচির করো বুকখানি।
এখানে নন্দনকাল নাই, শৌণ্ডিক
অন্ধকার ছাওয়া তর্জনী জানে কতটুকু
পরিহাস করে যায় জুতোর ডান পাটি,
যদিও সে পাশেই আজীবন এক ক্রুশ
আঁকা ছিল।
বাহ...............।।
উত্তরমুছুন