কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০১৬

অনির্বাণ দত্ত

মা

আয়তাকার প্রান্তরে অন্তরীণ
ঘাসের আগায় কোনো ল্যাপ্টানো বৃষ্টির মতো
থেকে যেত হয়তো, শুধুই একরাশ
সান্ধ্য আর্দ্র্যতা।
কিম্বা, মরিয়া অন্বেষণ সারারাত
সব নক্ষত্র সরিয়ে বারবার।

হয়তো বা, স্তব্ধ হাহাকার ঘেঁষে
ঘুরে যেত নির্বিকার,
সবগুলো বাস-অটো-ট্যাক্সির
সবকটা চাকা।
ভীড়াক্রান্ত সৈকতজুরে নিঃসঙ্গ সমুদ্রমাফিক
পাথর হয়েই যেত হয়তো একদিন ঠিক
কত কথা, কত সংবাদ
নিস্ফল ঠিকানা খুঁজে খুঁজে।

কিন্তু তুমি তো, সেই সব মেঘ
সব ছায়া একে একে মুছে
উচ্চ থেকে উচ্চতর আরো
অনন্ত স্নেহজাত সে অসীম স্পন্দনে,
মরণের দেশ থেকে আলোক পাঠিয়ে
আমাকে অমর ক’রে গেলে।


তোমাকে দেখে না

দুরন্ত ইলেকট্রন আর স্থিতধী প্রোটোন
নিরুত্তাপ নিউট্রন কিম্বা মেসন, বোসন
পজিট্রন বা ফার্মিয়ন ইত্যাদি ইত্যাদি
অথবা এক অনাদি তরঙ্গের উল্লাস
শুধু এপার থেকে ওপারে আসে যায়,
যুগ থেকে যুগান্তরে, সময় থেকে সময়হীনতায়...

অথচ কীভাবে যেন ওদের
হাড়-মজ্জা-মাংস মনে করি,
কাউকে বলি সুন্দর, কাউকে কুৎসিত
কেউ ফর্সা, কেউ কালো...
কারো নাকি টিকোলো নাক, চোখ টানা টানা
কারো থ্যাবড়ানো, কুতকুতে...

নিয়ত এক আজব রসায়ন কিম্বা ধারণার জটিল গণিতে
কখন কীভাবে যেন কেউ রূপসী হ’য়ে ওঠে
আর সেই চুল নাক ঠোঁট বা হাসির বর্ণনা গানে বা কবিতায়
তুলিতে, কলমে...
কোনো এক বিশেষ হরমোন জাত সংকেত
কিম্বা ক্রোমোজোমে গাঁথা কোনো সঞ্চিত সংস্কারে
প্রচ্ছন্ন আদিম যৌনতা
অথবা প্রেমের নামে উদ্বায়ী কিছু খুচরো আবেগ
পাতায় পাতায়, পর্দা, ক্যানভাসে

ওরা ওদের মতো ক’রে তোমাকে দেখে।
ওরা কেউ তোমাকে দেখে না।  






0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন