সূর্যসেনা
[ চরিত্র : সুতপা (প্রতিবেশী),
সন্ধ্যা (শুভর মা, বিধবা), গুরুদেব (সন্ধ্যার গুরুদেব), শুভ (সন্ধ্যার ছোটছেলে) ]
প্রথম দৃশ্য
(সকালবেলা। সন্ধ্যার বাড়ি।)
(সুতপার প্রবেশ)
সুতপা – দিদি! ও দিদি!
সন্ধ্যা – কে, সুতপা! কী বলছিস্?
সুতপা – তোমার ভাই বাজারে
যাবে। কিছু আনতে হবে?
সন্ধ্যা – হ্যাঁ আনতে হবে।
সুতপা – বলো কী আনতে হবে, আর
ব্যাগটা দাও।
সন্ধ্যা – শোন্, ২ কিলো বাসমতি
চাল, ভালো ঘি আধা কিলো, ২টি ফুলকপি, ১ কিলো বেগুন...
সুতপা – ও মা! গুরুদেব আসছেন?
কবে গো দিদি?
সন্ধ্যা -( হেসে) বাবা আজ রাতের
ট্রেনে আসছেন। হ্যাঁ ভালো করে শোন্, আরও আনতে
হবে ১ কিলো মাটন, ২ কিলো আলু, পেঁয়াজ আধা কিলো, আদা, রসুন...
সুতপা – ও মা! শুভও আসছে?
সন্ধ্যা – আজ রাতে কোনো এক সময়ে
আসার কথা। লোক মারফৎ খবর পাঠিয়েছে।
সুতপা – ও মা! একই দিনে
দুজনে!
সন্ধ্যা – খুব ভালো হয়েছে,
একসঙ্গে আসছে। দুজনের দেখা হয়ে যাবে।
সুতপা – আরও ভালো হতো, যদি
অনিও আসতে পারতো। বলো?
সন্ধ্যা – (দীর্ঘশ্বাস ফেলে) সে
আর কী করা যাবে! গুরুদেব বললেন, ও এখন গেছে উত্তর প্রদেশের এক আশ্রমে। কিছুদিন আগে
ওখানে যে দাঙ্গা হয়েছে, সেখানে গেছে রিলিফের কাজ করতে।
সুতপা – এই যাঃ, দেরি হয়ে
গেল। তাড়াতাড়ি বাজারে না গেলে ওর আবার অফিসের দেরি হয়ে যাবে। আর শোনো, তোমাকে কাল
মাংস রান্না করতে হবে না, আমি এসে রান্না করে দেব খন।
দ্বিতীয় দৃশ্য
(পরদিন সকালবেলা।
গুরুদেব চেয়ারে বসে আছেন। সন্ধ্যা একটা টুলে বসে আছে।)
সন্ধ্যা – বাবা, অনি
উত্তরপ্রদেশ থেকে কবে ফিরবে?
গুরুদেব – এখনও অন্তত দিন পনেরো
থাকবে। তারপর অবস্থা বুঝে চিন্তা করা যাবে। ওখানে দাঙ্গায় দু’পক্ষেরই বিস্তর
ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দু’তরফের ক্যাম্পে গিয়ে সেবা করতে হচ্ছে।
সন্ধ্যা – সে কী! দু’তরফে?
গুরুদেব – (হেসে) গরীবদের একটাই
জাত, বুঝলি! এটা যেদিন ওরা বুঝবে, সেদিন ওদের আর কেউ ঘাঁটাবে না। থাক ও কথা, শুভ
কখন উঠবে?
সন্ধ্যা – দেখি, কখন ওঠে! আসলে
কাল রাতে দু’টোর সময় বাড়ি এসেছে। শুতে শুতে রাত তিনটে।
(নেপথ্যে)
শুভ – মা, ওমা! রান্না
হয়েছে? আমার কিন্তু খুব খিদে পেয়েছে।
(শুভর প্রবেশ)
গুরুদেব – শুভ, কেমন আছিস্?
শুভ – (হেসে প্রণাম করে) এই
তো দেখছো।
গুরুদেব – তাই তো জানতে চাইছি।
দেখে তো মনে হচ্ছে, শরীর ভালো নেই। বেশ রোগা হয়েছিস। চুল কাটা হয়নি অনেকদিন। মাথায়
তেলও দিস না বোধহয় আজকাল। মুখে একগাল দাড়ি।
শুভ – (হেসে) যতটা ভাবছ
ততটা নয়। এতটা পথ এসেছি তো, তাই এমন দেখাচ্ছে। (মা’কে উদ্দেশ্য করে) মা, আজ
স্পেশ্যাল আইটেম কি? আমি কিন্তু দাদুর জন্য বানানো পদও খাব বলে দিচ্ছি।
গুরুদেব – তুই আগে সব তৃপ্তি
করে খাবি। আমি দেখব। তারপর আমি খাব।
শুভ – না, না, আমরা দুজনে
একসঙ্গে খেতে বসব।
গুরুদেব – (হেসে) দূর বোকা!
সেটা কেমন করে হবে। তুই খাবি মাংস।
শুভ – তাতে কী হয়েছে? তুমি
তো এত জ্ঞানী, তবু তুমি এসব কুসংস্কার মেনে চলো? স্বামীজী এসব খাবার কথা তো জোর
দিয়ে বলেছেন। আর তুমি পাশে বসেও খাবে না?
গুরুদেব – (হাসতে হাসতে) ‘কাহার
সাথে কার তুলনা কর হায় ভূপ / গোমুখী উৎসের মন্দাকিনী কোথা / রুদ্ধ বারি কোথা কূপ!’
আসলে কী জানিস, ছোটবেলার অভ্যেস তো, যেতে চায় না। তাছাড়া যে অভ্যেস কারোর ক্ষতি
করে না, তা থাকলে দোষ কি?
(সন্ধ্যার প্রবেশ)
সন্ধ্যা – শুভ, যা তাড়াতাড়ি
স্নানটা সেরে আয়, রান্না হয়ে এসেছে।
শুভ – হ্যাঁ যাই, স্নানটা
সেরেই আসি। দাদু, তোমার তো সকালেই স্নান হয়ে গেছে, তাই না!
গুরুদেব – হ্যাঁ, আমি ভোরবেলায়
স্নান সেরে ফেলেছি।
(শুভর প্রস্থান)
সন্ধ্যা – বাবা, কেমন দেখছ
শুভকে? সব ঠিক আছে তো?
গুরুদেব – সব ঠিক আছে। চিন্তা
করিস না। ওপরওয়ালা কাউকে কাউকে কিছু বিশেষ দায়-দায়িত্ব দিয়ে এই সংসারে পাঠায়। তাদের
সেই কাজ করতে কষ্ট হলেও, এমন কী প্রাণ সংশয় হলেও তাদের বাধা দেওয়া উচিৎ নয়। (হেসে)
বোধহয় চাইলেও সম্ভব নয়। একটা কথা মনে
রাখবি, এই ধরনের কিছু লোকের জন্য এই পৃথিবী এখনও বাসযোগ্য আছে, থাকবে।
সন্ধ্যা – বড়টি সাধু হয়ে তোমার
সঙ্গে সংসার ত্যাগ করে চলে গেছে। আমি অন্তত এটুকু ভেবে নিশ্চিন্ত, ও সুস্থ শরীরে
বেঁচে আছে। তাছাড়া তুমি ওর সঙ্গে আছ। কিন্তু শুভর কথা ভেবে আমার তো সারারাত ঘুমই হয় না।
সারাক্ষণ ভাবি, আর বোধহয় কোনোদিন ওকে দেখতে পাব না। (কান্নায় গলা বুজে আসে)
গুরুদেব – ওরে, অত দুশ্চিন্তা
করিস না। তুই কি জানিস তুই ভগবানের কত প্রিয়। মানুষের এরকম একটা ছেলে হয় না, আর
তোর দু দুটো ছেলে এরকম। একটা কথা শুনে রাখ, এই দুনিয়াতে যে যত বড় তার তত বেশি কষ্ট।
বিদ্যাসাগর, রামমোহন, রবীন্দ্রনাথ, স্বামীজী – এদের জীবনের দিকে তাকালে বুঝতে
পারবি, এঁরা জীবনে কত কষ্ট পেয়েছেন। এরকম আরও অনেক উদাহরণ আছে। এত বড় বড় মানুষ,
তবু কত অবহেলা, কত চক্রান্তের শিকার। দেখ্ বড় মানুষের
মা হওয়া অনেক যন্ত্রণার। তোকে এর যোগ্য হয়ে
উঠতে হবে। তুই ভেঙে পড়লে চলবে না।
সন্ধ্যা – সেই ওদের ছোটবেলায়
যখন ওদের বাবা মারা গেলেন, তারপর তুমি একদিন আমাকে বলেছিলে, তোর দুই ছেলেই সাধু
হবে। প্রথম প্রথম খুব মন খারাপ হয়েছিল। তারপর ভাবলাম ঈশ্বরের যা ইচ্ছে, তাই হবে।
আর তুমি যখন বলেছ, তার অন্যথা তো হবে না। কিন্তু কই, ছোটটা তো সাধু হলো না!
গুরুদেব – সাধু হয়নি তো কী
হয়েছে! গেরুয়া পড়লেই কি সাধু হয় নাকি? তাহলে তো রামকৃষ্ণদেবও তো সাধু নন। শোন্
যার নিজের কোনো সাধ নেই, সেই হলো সাধু। শুভ তো সবচেয়ে বড় সাধু।
শুভ – (নেপথ্যে) মা, খেতে
দাও!
সন্ধ্যা – এখুনি দিচ্ছি বাবা,
বোস্। বাবা, তুমিও এসো। দুজনকেই একসঙ্গে দিই।
তৃতীয় দৃশ্য
(শুভ ও গুরুদেব চেয়ারে
বসে গল্প করছে।)
গুরুদেব – কী রে, দু’দিন থাকবি
তো মায়ের কাছে?
শুভ – কাল খুব ভোরেই আমাকে
যেতে হবে দাদু। আর ক’দিন পরেই সংক্রান্তি। এই সময় আদিবাসীদের খুব বড় পরব। প্রতি বছর এই সময়
জঙ্গলের মধ্যে যে ছোট ছোট গ্রাম আছে, সেই সব গ্রামের মানুষদের জন্য আমরা সারা বছর
ধরে জামা কাপড় জোগাড় করে এই সময় নিয়ে যাই। তাই কাল যেতেই হবে।
গুরুদেব – ব্যাস, শুধু এই, না
আরও কিছু করতে হয়?
শুভ – না না, এটা তো শুরু
মাত্র, আরও অনেক কিছু করতে হয়। আরও অনেক কিছু করার পরিকল্পনাও আছে। কিন্তু না
গুছিয়ে কিছু করতে চাই না।
গুরুদেব – তোরা ক’জন এটাকে
‘লীড’ করছিস?
শুভ – আই আই টি-তে পড়ার সময়
প্রথম আমার মাথায় এই ইচ্ছেটা জাগে। আমার কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে আলোচনা করে আগামী
পাঁচ বছরের কাজের একটা নক্সা তৈরি করি। দেখা যাক কী হয়।
গুরুদেব – কাজটা তো অনেক বড় আর
ব্যয় সাপেক্ষ। একটা ‘এন জি ও’ করে কাজটা
করা যায় না?
শুভ – আমরা কোনো রাজনৈতিক
দলের খপ্পরে পড়তে চাই না। ওদের সংশ্রবে না যাবার শপথ আমরা আগেই নিয়েছি।
গুরুদেব – তোদের কাজের জন্য যে
বিপুল অর্থ, পরিশ্রম আর পরিকল্পনা দরকার, সেটা কীভাবে ব্যবস্থা করবি?
শুভ – দাদু, এটা একটা বড়
সমস্যা বটে, কিন্তু আস্তে আস্তে সব ব্যবস্থা হয়ে যাবে। আর এই কাজ করতে যাওয়ার অনেক
ঝুঁকিও আছে।
গুরুদেব – বুঝতে পারছি, মানে
তোদের ‘এক্সট্রিমিস্ট’ বলে শেষ করে দিতেও পারে বলছিস?
শুভ – হ্যাঁ তাই। তবে আমরা
মোট পাঁচজন বন্ধু মিলে অনেক পরিকল্পনা করে এই কাজে নেমেছি। এর মধ্যে আমরা দুজন ‘আই
আই টি’র ইঞ্জিনীয়ার, দুজন ‘এ আই আই এম এস’এর ডাক্তার, আর একজন ‘আই আই এম’ বাঙ্গালোর
থেকে এম. বি. এ। আমরা সবাই অনেকদিনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
গুরুদেব – সমস্যা তো তোদের
নিজেদের মধ্যেও হতে পারে!
শুভ – যেমন?
গুরুদেব – যেমন ক্ষমতার জন্য
সংঘাত। ব্যক্তিত্বের সংঘাত।
শুভ – (হেসে) এটা অবশ্য
দারুণ বলেছো। এই ক্ষমতার লোভই যত নষ্টের গোড়া। তারপর আরও আছে, যেমন ‘আমিই একা সব করছি, বাকিরা
কেউ কিছু করছে না’। আর তখনই মনের মিল নষ্ট
হয়ে যায়, সব কিছু শেষও হয়ে যায়।
গুরুদেব – এত বড় একটা উদ্যোগ
নিয়েছিস্, দেখিস্ ‘রোমান্টিসিজমে’ই যেন শেষ না হয়ে যায়।
শুভ – দেখ দাদু, ভবিষ্যতে
কী হবে কেউ বলতে পারে না। হয়তো পুলিশের গুলি খেয়ে মরব। হয়তো রাজনৈতিক নেতারা
মিথ্যা চক্রান্ত করে আমাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবে। কিন্তু আমরা মাঝপথে শহিদ
হতে চাই না। তাই যথেষ্ঠ আটঘাট বেঁধে আমরা
কাজে নেমেছি।
গুরুদেব – আমার মনে হচ্ছে,
তোদের অত্যন্ত সাবধান হওয়া জরুরি।
শুভ – দাদু, দিনকাল
পাল্টেছে। এখন আর আগের মতো শুধু বন্দুক ধরে লড়াই করলে চলবে না। বরং এতে হিতে
বিপরীতও হতে পারে। বহু অসহায় আর নির্দোষ মানুষের অহেতুক মৃত্যু হতে পারে।
গুরুদেব – তুই তাহলে
‘এক্সট্রিমিস্ট’ না!
শুভ – না, আমি ‘এক্সট্রিমিজম’এ
বিশ্বাস করি না। আমাদের কিন্তু সারা পৃথিবীর অনেক শিক্ষিত, সাধারণ ও বিত্তবান
মানুষেরাও সমর্থন করে।
গুরুদেব – শুভ, তোরা যে লড়াই
করছিস, তা কিন্তু নতুন কিছু নয়। যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। শুধু ‘ফর্ম’টা পালটে গেছে।
শুভ – ঠিকই বলেছো তুমি। আর্যরা যখন আমাদের দেশে অনুপ্রবেশ করে এখানকার আদিম আদিবাসীদের লড়াইয়ে হারিয়ে দিয়ে ক্ষমতা দখল করে, তখন
সেই আদিম আদিবাসীদের এক অংশ আত্মসমর্পণ করে, আর্যদের দাস হয়, তাদের সেবা করতে
বাধ্য হয়। আর এক অংশ জঙ্গলে আত্মগোপন করে, এবং এদেরকেই আদিবাসী বলা হয়। যতদূর জানি, শিক্ষায় দীক্ষায় অনার্যরা
আর্যদের থেকেও উন্নত ছিল। এর প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণও পাওয়া গেছে।
গুরুদেব – আমার মনে হয়,
ব্যাপারটা এত সরল নয়! তবে হ্যাঁ, অনার্যরা যে আর্যদের থেকে কোনো অংশে কম ছিল না, তার প্রমাণ
স্বয়ং ব্যাসদেব। ব্যাসদেব অনার্য ছিলেন। তাঁর পিতৃপরিচয়ের যে গল্পটা প্রচলিত আছে,
তা বিশ্বাসযোগ্য নয়। আর তোরা আজ যে কাজটা করতে চাইছিস, তা বুদ্ধদেব বা চৈতন্যদেব
বা বিদ্যাসাগর সবাই অনেক আগেই করতে চেয়েছিলেন। অবশ্যই আলাদা আলাদা ভাবনায়।
শুভ – তা ঠিক বলেছো। কিন্তু
মজাটা কী জানো, চালাকি করেই হোক বা চক্রান্ত করেই হোক বুদ্ধদেব ও চৈতন্যদেবকে
একেবারে সাধু-সন্ত বানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর তাই তাঁদের লড়াইটা কারোর খুব একটা চোখে
পড়ে না। তবে বিদ্যাসাগরের লড়াইটা খুবই কার্যকরী হয়েছে, সন্দেহ নেই। অন্তত মেয়েদের
বন্ধনমুক্তি কেউ আর আটকাতে পারবে না।
গুরুদেব – (একটু চুপ করে থেকে)
দেখ শুভ, তুই অনেক পড়াশোনা করে, চিন্তাভাবনা করে যা সত্য বলে মনে করেছিস, তার জন্য
জীবন পণ করে, অত্যন্ত সন্তর্পণে, বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে এগিয়ে যা। অন্তহীন লড়াইয়ের
জন্য মনে মনে প্রস্তুত থাকিস্।
শুভ – দাদু, অনেক রাত হলো,
একটু শুয়ে নিই। কাল অনেক ভোরে বের হতে হবে।
(উঠে দাঁড়িয়ে গুরুদেবকে প্রণাম করে) আমার শুধু একটাই চিন্তা, মা’কে নিয়ে। আমি
জানি, মা আমার জন্য সব সময় উৎকন্ঠায় থাকে। তুমি বরং দাদাকে বলবে, মা’কে প্রতি রাতে
একবার যেন ফোন করে। আমার মনে হয়, তাতে মায়ের মন শান্ত থাকবে।
গুরুদেব – (শুভর মাথায় হাত
রেখে) ওরে, তুইও তো সর্বত্যাগী সন্ন্যাসী! তাই পেছন ফিরে তাকাস না। যা, সামনে
এগিয়ে যা! আমি, তোর দাদা, সবাই তো রইলাম তোর মাকে দেখার জন্য।
(নেপথ্যে কবিতাপাঠ শোনা
যায়)
“এখনও ফেরারী কেন? ফেরো
সব
পলাতক সেনা, সাত সাগরের
তীরে
ফৌজদার হেঁকে যায় শোনো,
আনো সব
সূর্যকণা রাত্রি মোছা
চক্রান্তের প্রকাশ্য প্রান্তরে।
এবার অজ্ঞাতবাস
শেষ হলো ফেরারী ফৌজের”।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন