লুডো রুট
উল্কা
(১)
রেস্তোরাঁটি মিনল্যাণ্ড রোডের সিলিম ব্রিজের বাঁ দিকে ন্যারো লেনে। নাম লুডো রুট। পথ নির্দেশিকা ছাড়া যারা এখানে পৌঁছাতে পারেন, তাঁরাই মূলত ভাগ্যবানের তালিকায় নাম লেখান। নাম লেখানোর প্রক্রিয়াটা যদিও সম্পূর্ণ ভার্চুয়াল। তবুও এলাডিঙ বেলাডিঙ করে কিছু হারানো, লুট হওয়া বা দেউলিয়াদের পায়ের তলার মাটি সরতেই কোথা থেকে টুক করে ঢুকে পড়ে লুডো রুটের মেঝে। আর তার পরেই দু ছক্কা পাঁচ!
(২)
ভারতীয় ভদ্রলোকটি এই মাল্টি ক্যুইজিন রেস্তোরাঁর প্রফেশনাল সেফ। সেই সুবাদে তাঁর টয়লেট কিটে সব সময় মজুত থাকে একটি নেলকাটার, শেভিংসেট ও টুইজার। তিনিও একদিন অজান্তে এসে হাজির হয়েছিলেন বেকারবাড়ির মতো। কেউ চিনতে পারেনি তাঁকে, এমনকি ভদ্রলোক নিজেও। হাতে ছিল ভারতীয় চৌষট্টি রুপিয়া। তা থেকেই অনুমান ভদ্রলোকটি ভারতীয়। কেউ তাঁকে কোনও দিন কথা বলতে শোনেনি। এমন কী দেবতা স্মরণে মগ্ন থাকতেও না। শুধু কোনও কোনও দিন সন্ধ্যেবেলা কিচেনের বাইরে তাঁকে বিড়ি টানতে দেখা গেছে মাত্র।
(৩)
আগের অর্ডার ছিল তিন প্লেট মোমো আর পরেরটা দু প্লেট পাস্তা। স্ট্যান্ডে দুজন মাঝবয়সি, একজন গ্রিন টি আরেকজন রেড। ক্যাশ-এর সামনে দাঁড়িয়ে ভেবে চলেছেন। তাঁরা এসেছেন সুদূর... না, সেটা কাউকেই জানাননি। তবে এসে পড়েছেন ঠিক যেভাবে সবাই এসে পড়ে... কিচেনে ষ্টীম চড়ছে। ভাপে ভাপে সুসিদ্ধ তৃপ্তি সেঁটে যাচ্ছে হোম স্যুইট হোম ছবিতে। e-তালি! nay-পালি! খোঁজ... খোঁজ... খাম খেয়ালি! অর্ডার সার্ভ হলো। কিন্তু...
(৪)
মুখে তুলতে বোঝা গেল স্বাদটা বদলে গেছে। ভারতীয় সেফ বসে আছেন ওভেনের পাশে। রোষ্ট হচ্ছে একটা আস্ত মুরগী। তন্দুরি নাইটস-এ বদলে যাচ্ছে আরাবিয়ান রাতগুলো। পালটে যাওয়া সময়ে দানের দানে চলছে লুডো রুটের রুট কিপাররা। একটু আগেই অর্ডার এসেছে সিজ্লার! বছর দুয়েক আগে একবার শুনে ছিল নামটা। আজ তার হঠাৎ পুনরুত্থান লুডো রুটে। বানাচ্ছেন সেফ রুফিয়ো সেড্রিক। তাঁর হাতের কড়ে আঙুলে নখটা বাড়তেই থাকে। বদলানো স্বাদটা আজ থেকে মিনিট দশেক আগের। তাঁরা খুশি... অ বিবা(দ) হিতা(কাঙ্ক্ষি) নারীরা পুটপর্বে প্রবল।
(৫)
তবে লিস্টটা দাঁড়ালো এইরকম-
ভারতীয় সেফ
দেউলিয়া
অজ্ঞাত লোকজন
গ্রিন টি ও রেড
সেফ রুফিয়ো সেড্রিক
অ বিবা(দ) হিতা(কাঙ্ক্ষি) নারী
আমি
আর
আপনি
এক ছক্কা... দু ছক্কা... তিন ছক্কা...!
(১)
রেস্তোরাঁটি মিনল্যাণ্ড রোডের সিলিম ব্রিজের বাঁ দিকে ন্যারো লেনে। নাম লুডো রুট। পথ নির্দেশিকা ছাড়া যারা এখানে পৌঁছাতে পারেন, তাঁরাই মূলত ভাগ্যবানের তালিকায় নাম লেখান। নাম লেখানোর প্রক্রিয়াটা যদিও সম্পূর্ণ ভার্চুয়াল। তবুও এলাডিঙ বেলাডিঙ করে কিছু হারানো, লুট হওয়া বা দেউলিয়াদের পায়ের তলার মাটি সরতেই কোথা থেকে টুক করে ঢুকে পড়ে লুডো রুটের মেঝে। আর তার পরেই দু ছক্কা পাঁচ!
(২)
ভারতীয় ভদ্রলোকটি এই মাল্টি ক্যুইজিন রেস্তোরাঁর প্রফেশনাল সেফ। সেই সুবাদে তাঁর টয়লেট কিটে সব সময় মজুত থাকে একটি নেলকাটার, শেভিংসেট ও টুইজার। তিনিও একদিন অজান্তে এসে হাজির হয়েছিলেন বেকারবাড়ির মতো। কেউ চিনতে পারেনি তাঁকে, এমনকি ভদ্রলোক নিজেও। হাতে ছিল ভারতীয় চৌষট্টি রুপিয়া। তা থেকেই অনুমান ভদ্রলোকটি ভারতীয়। কেউ তাঁকে কোনও দিন কথা বলতে শোনেনি। এমন কী দেবতা স্মরণে মগ্ন থাকতেও না। শুধু কোনও কোনও দিন সন্ধ্যেবেলা কিচেনের বাইরে তাঁকে বিড়ি টানতে দেখা গেছে মাত্র।
(৩)
আগের অর্ডার ছিল তিন প্লেট মোমো আর পরেরটা দু প্লেট পাস্তা। স্ট্যান্ডে দুজন মাঝবয়সি, একজন গ্রিন টি আরেকজন রেড। ক্যাশ-এর সামনে দাঁড়িয়ে ভেবে চলেছেন। তাঁরা এসেছেন সুদূর... না, সেটা কাউকেই জানাননি। তবে এসে পড়েছেন ঠিক যেভাবে সবাই এসে পড়ে... কিচেনে ষ্টীম চড়ছে। ভাপে ভাপে সুসিদ্ধ তৃপ্তি সেঁটে যাচ্ছে হোম স্যুইট হোম ছবিতে। e-তালি! nay-পালি! খোঁজ... খোঁজ... খাম খেয়ালি! অর্ডার সার্ভ হলো। কিন্তু...
(৪)
মুখে তুলতে বোঝা গেল স্বাদটা বদলে গেছে। ভারতীয় সেফ বসে আছেন ওভেনের পাশে। রোষ্ট হচ্ছে একটা আস্ত মুরগী। তন্দুরি নাইটস-এ বদলে যাচ্ছে আরাবিয়ান রাতগুলো। পালটে যাওয়া সময়ে দানের দানে চলছে লুডো রুটের রুট কিপাররা। একটু আগেই অর্ডার এসেছে সিজ্লার! বছর দুয়েক আগে একবার শুনে ছিল নামটা। আজ তার হঠাৎ পুনরুত্থান লুডো রুটে। বানাচ্ছেন সেফ রুফিয়ো সেড্রিক। তাঁর হাতের কড়ে আঙুলে নখটা বাড়তেই থাকে। বদলানো স্বাদটা আজ থেকে মিনিট দশেক আগের। তাঁরা খুশি... অ বিবা(দ) হিতা(কাঙ্ক্ষি) নারীরা পুটপর্বে প্রবল।
(৫)
তবে লিস্টটা দাঁড়ালো এইরকম-
ভারতীয় সেফ
দেউলিয়া
অজ্ঞাত লোকজন
গ্রিন টি ও রেড
সেফ রুফিয়ো সেড্রিক
অ বিবা(দ) হিতা(কাঙ্ক্ষি) নারী
আমি
আর
আপনি
এক ছক্কা... দু ছক্কা... তিন ছক্কা...!
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন