কার্মা ইস অ্যা বিচ্।
সাঁঝবাতি
জ্যোতিষি বলেছিলেন, হাতের দোষ আছে। ভূল দিকে যাবে, ভূল হাতে। ধুর বানানটাই ভুল হয়ে গ্যালো। আর এখান থেকেই আমার ভাগ্য শুরু। এবং...? এবং ‘জল ও কুকুর হইতে সাবধান’ থাকবেন।
আমার সাঁতার শেখা হলো না। তুমি বললে হাতে চাঁদ এনে দেবে। হাইট সম্পর্কে ইন্সিকিওরিটি ছিল। চাঁদ দেখার আছিলায় তুমি আমায় জলের দিকে তাকাতে বললে। সাদা বাথটব, তার চেয়েও দুর্বোধ্য সাদা ফেনা। খুশবুদার মোমের খেয়ালই থাকে না, গলে গলে পড়ে যায় জল হয়ে। চাঁদ ধরবো বলে আমি জলে হাত ডোবাই। চাঁদ ঘেঁটে যায়। ছায়া? ছায়া! হাত তুলে দেখি সবুজ শ্যাওলায় জড়িয়ে গ্যাছে হাত।
রুপোলি একটা মৎসকন্যা আমায় কাছে যেতে বলে। পায়ে ফুটসি খেলতে খেলতে বলে ‘কবিতা লিখতে পারো?’ আমি তার বুকের বাঁ দিকে তর্জনী রাখি। লেখার জন্যে। ক এ লিখতে যাই কাম, হয়ে যায় ঁ থেকে শুরু। বোধহয় ঈশ্বরপ্রাপ্তি। বোধহয় এরই নাম প্রেমে পড়া।
মৎসকন্যা আমায় বলে, ‘বিয়ে করবে আমায়?’ ভুলে যাই আমি ডাঙার সিকিওরিটি। ডাঙার কথা দিয়ে আসা ছাপোষা গাংচিল। অনামিকা তুলতে গিয়ে আমি ভূল করে মধ্যমা তুলে ফেলি সিঁদুরের সাথে। ‘খুন ভরি মাঙ্গ’... অমনি গান শুরু হয়। বাসরশয্যা হবে বলে জল ফুলে ওঠে। ভয়ে ডাঙায় উঠতে যাই। মাথার ওপর উড়ে এসে ঠোক্কর দ্যায় ছাপোষা গাংচিল। হায়নার মতো হি হি করে হাসতে হাসতে হয়ে ওঠে রয়েল বেঙ্গল বিবাহ প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করা বাঘিনী। এরপর সাধারণ ছেলেরা যা করে... অভিয়াসলি আমি জলের দিকেই যাব। (আসলে পালাবো!)। আমি তো ভুলেই গেছিলাম, মৎসকন্যার দুটো প্রশ্নের উত্তর দেওয়া বাকি ছিল। ভাবতে না ভাবতে তৃতীয় প্রশ্ন ভেসে আসে,- ‘সাঁতার জানো তো তুমি, ছেলে?’। ঠিক সেই মুহূর্তে মনে পড়ে, আমি সাঁতার জানি না। ঠিক সেই মুহূর্তে মনে পড়ে, আমার কোনো সিকিওরিটি নেই। ঠিক সেই মুহূর্তে মনে পড়ে আমার কোনো লাইফ গার্ড নেই। তলিয়ে যাই। ঠিক সেই মুহূর্তে মৎসকন্যা কুমীর হয়ে যায়। এবং... তলিয়ে যাওয়ার আগে গাঁক গাঁক করে গিলে ফ্যালে আমায়। শালী কুত্তী!
(ঋণ- মন্দাক্রান্তা সেন)
জ্যোতিষি বলেছিলেন, হাতের দোষ আছে। ভূল দিকে যাবে, ভূল হাতে। ধুর বানানটাই ভুল হয়ে গ্যালো। আর এখান থেকেই আমার ভাগ্য শুরু। এবং...? এবং ‘জল ও কুকুর হইতে সাবধান’ থাকবেন।
আমার সাঁতার শেখা হলো না। তুমি বললে হাতে চাঁদ এনে দেবে। হাইট সম্পর্কে ইন্সিকিওরিটি ছিল। চাঁদ দেখার আছিলায় তুমি আমায় জলের দিকে তাকাতে বললে। সাদা বাথটব, তার চেয়েও দুর্বোধ্য সাদা ফেনা। খুশবুদার মোমের খেয়ালই থাকে না, গলে গলে পড়ে যায় জল হয়ে। চাঁদ ধরবো বলে আমি জলে হাত ডোবাই। চাঁদ ঘেঁটে যায়। ছায়া? ছায়া! হাত তুলে দেখি সবুজ শ্যাওলায় জড়িয়ে গ্যাছে হাত।
রুপোলি একটা মৎসকন্যা আমায় কাছে যেতে বলে। পায়ে ফুটসি খেলতে খেলতে বলে ‘কবিতা লিখতে পারো?’ আমি তার বুকের বাঁ দিকে তর্জনী রাখি। লেখার জন্যে। ক এ লিখতে যাই কাম, হয়ে যায় ঁ থেকে শুরু। বোধহয় ঈশ্বরপ্রাপ্তি। বোধহয় এরই নাম প্রেমে পড়া।
মৎসকন্যা আমায় বলে, ‘বিয়ে করবে আমায়?’ ভুলে যাই আমি ডাঙার সিকিওরিটি। ডাঙার কথা দিয়ে আসা ছাপোষা গাংচিল। অনামিকা তুলতে গিয়ে আমি ভূল করে মধ্যমা তুলে ফেলি সিঁদুরের সাথে। ‘খুন ভরি মাঙ্গ’... অমনি গান শুরু হয়। বাসরশয্যা হবে বলে জল ফুলে ওঠে। ভয়ে ডাঙায় উঠতে যাই। মাথার ওপর উড়ে এসে ঠোক্কর দ্যায় ছাপোষা গাংচিল। হায়নার মতো হি হি করে হাসতে হাসতে হয়ে ওঠে রয়েল বেঙ্গল বিবাহ প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করা বাঘিনী। এরপর সাধারণ ছেলেরা যা করে... অভিয়াসলি আমি জলের দিকেই যাব। (আসলে পালাবো!)। আমি তো ভুলেই গেছিলাম, মৎসকন্যার দুটো প্রশ্নের উত্তর দেওয়া বাকি ছিল। ভাবতে না ভাবতে তৃতীয় প্রশ্ন ভেসে আসে,- ‘সাঁতার জানো তো তুমি, ছেলে?’। ঠিক সেই মুহূর্তে মনে পড়ে, আমি সাঁতার জানি না। ঠিক সেই মুহূর্তে মনে পড়ে, আমার কোনো সিকিওরিটি নেই। ঠিক সেই মুহূর্তে মনে পড়ে আমার কোনো লাইফ গার্ড নেই। তলিয়ে যাই। ঠিক সেই মুহূর্তে মৎসকন্যা কুমীর হয়ে যায়। এবং... তলিয়ে যাওয়ার আগে গাঁক গাঁক করে গিলে ফ্যালে আমায়। শালী কুত্তী!
(ঋণ- মন্দাক্রান্তা সেন)
Tor lekha din protidin osadharon hoye uthche. Tor bhabna chintagulo marcello mastroini theke suru hoye Kieślowski hoye Bergman chunye soja Rituporno ke prodokkhin kore ese porche. Tor lekhar theme e te eder probhabgulo sposto.
উত্তরমুছুন