তিনটি কবিতা
উমাপদ কর
(ক)
ধরাযাক তোমার কাছ থেকে নিলাম খোঁপার কাঁটা... বিঁধতে জানে। তুমি নিলে আমার জামার বোতাম আর বললে –- চলো ফুল হই। বাজনা বাজছে, ধামসা... এবং বাঁশি... আমাদের কোমর দুলতে লাগলো সাগরঢেউ... আরও কয়েকজন পা মেলাচ্ছে... কয়েকজন প্রস্তুত...
শাড়ির পাড় লাল... ব্লাউজের রঙ লাল... শিমূল লালে লাল... পলাশ... এবং বুকের ভেতরটা... দেখতে পাচ্ছি বেশ... তুমি আর লাল না হলেও চলবে... বাদামি হাতে এই তোমার খোঁপায় লাল কাগজফুল গুঁজে দিলাম... পা চালাচ্ছে মহুয়া...
অন্ধকারের ভেতর থেকে দুজনে ছিটকে আলাদা হলাম... অন্ধকারের ভেতরেও এত লাল... বললে –- চলো, আরও লাল হই...
(খ)
কতই বা আকাশি বয়স তখন কত নীল উড়ু উড়ু। কতক প্রাচীন নবীন কাক একটুকরোয় ‘মধুর ধ্বনি বাজে’ –- শেষ হতে চেয়ে একসময় ভীষণ মৃদু... গন্ধ লুকোতেও জানে না...
হাইজাম্পের সুতোয় সবাই আটকে যাচ্ছে পায়ে পিঠে... দৌড় শুরু করার আগেই ভাবনা কাম বাসনা সেলফোন মোড়া ভাসছে... আগুন লাফিয়ে লাফিয়ে চলে আসছে দোরগোড়ায়... আগলের পাশে সামগান আর সমিধের সূত্র ধরে তদন্তে আসে বিপন্ন কাক... কিছুতেই যে অবসাদ মোছে না তার গালে মেচেতার দাগ...
কোনো কুহু নেই, ডাহুক নেই, কিন্তু সময়টা সমলয়ে... কিছু ফিসফাসের ছায়া। কিছুতেই ছুঁতে দিচ্ছ না তোমার শরীরের আমচুর আর স্তনভার জনিত ব্রীহা... সময়ের মধ্যে সময়হীনতার ব্ল্যাকহোল...
(গ)
গামছার বদলে পরানকে রোপওয়েতে বাঁধি। মুক্তি মুক্তি খেলা। আড়ালকে বললাম ন্যাংটো হও... নাঙ্গাকে বলব আরও খোলো অধরিমা...। অপ্রকাশের সামনে হুমড়ি পড়া কৌতূহল... ভালো থেকো শবনম্... ও হো পরান...
তিরি উড়লে পরী। ওর উড়ো নীল গাউনের ঢল প্যারাসুট হয়ে যায়। তিরি আকাশের নীল থেকে নামতে থাকে... শুধুই নামে... আজ তাকে অমরতা দেওয়ার চাঁদ-রোদ কাকাতুয়াদের শরম...
গাছতলায় ম্যাজিক বাবার রিয়েলিজম... সরলার জন্য সার সার মানুষের উদ্ গ্রীবা... আলো উৎসর্গ করো অহংকার... যা দেবী সর্বভূতেষু... মোচাফুল ফুটে ওঠো না-পলাশ পাগল বিদ্যাস্থানেভ্য এবচঃ...
(ক)
ধরাযাক তোমার কাছ থেকে নিলাম খোঁপার কাঁটা... বিঁধতে জানে। তুমি নিলে আমার জামার বোতাম আর বললে –- চলো ফুল হই। বাজনা বাজছে, ধামসা... এবং বাঁশি... আমাদের কোমর দুলতে লাগলো সাগরঢেউ... আরও কয়েকজন পা মেলাচ্ছে... কয়েকজন প্রস্তুত...
শাড়ির পাড় লাল... ব্লাউজের রঙ লাল... শিমূল লালে লাল... পলাশ... এবং বুকের ভেতরটা... দেখতে পাচ্ছি বেশ... তুমি আর লাল না হলেও চলবে... বাদামি হাতে এই তোমার খোঁপায় লাল কাগজফুল গুঁজে দিলাম... পা চালাচ্ছে মহুয়া...
অন্ধকারের ভেতর থেকে দুজনে ছিটকে আলাদা হলাম... অন্ধকারের ভেতরেও এত লাল... বললে –- চলো, আরও লাল হই...
(খ)
কতই বা আকাশি বয়স তখন কত নীল উড়ু উড়ু। কতক প্রাচীন নবীন কাক একটুকরোয় ‘মধুর ধ্বনি বাজে’ –- শেষ হতে চেয়ে একসময় ভীষণ মৃদু... গন্ধ লুকোতেও জানে না...
হাইজাম্পের সুতোয় সবাই আটকে যাচ্ছে পায়ে পিঠে... দৌড় শুরু করার আগেই ভাবনা কাম বাসনা সেলফোন মোড়া ভাসছে... আগুন লাফিয়ে লাফিয়ে চলে আসছে দোরগোড়ায়... আগলের পাশে সামগান আর সমিধের সূত্র ধরে তদন্তে আসে বিপন্ন কাক... কিছুতেই যে অবসাদ মোছে না তার গালে মেচেতার দাগ...
কোনো কুহু নেই, ডাহুক নেই, কিন্তু সময়টা সমলয়ে... কিছু ফিসফাসের ছায়া। কিছুতেই ছুঁতে দিচ্ছ না তোমার শরীরের আমচুর আর স্তনভার জনিত ব্রীহা... সময়ের মধ্যে সময়হীনতার ব্ল্যাকহোল...
(গ)
গামছার বদলে পরানকে রোপওয়েতে বাঁধি। মুক্তি মুক্তি খেলা। আড়ালকে বললাম ন্যাংটো হও... নাঙ্গাকে বলব আরও খোলো অধরিমা...। অপ্রকাশের সামনে হুমড়ি পড়া কৌতূহল... ভালো থেকো শবনম্... ও হো পরান...
তিরি উড়লে পরী। ওর উড়ো নীল গাউনের ঢল প্যারাসুট হয়ে যায়। তিরি আকাশের নীল থেকে নামতে থাকে... শুধুই নামে... আজ তাকে অমরতা দেওয়ার চাঁদ-রোদ কাকাতুয়াদের শরম...
গাছতলায় ম্যাজিক বাবার রিয়েলিজম... সরলার জন্য সার সার মানুষের উদ্ গ্রীবা... আলো উৎসর্গ করো অহংকার... যা দেবী সর্বভূতেষু... মোচাফুল ফুটে ওঠো না-পলাশ পাগল বিদ্যাস্থানেভ্য এবচঃ...
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন