কালিমাটি অনলাইন

ত্রয়োদশ বর্ষ / সপ্তম সংখ্যা / ১৩৪

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

ত্রয়োদশ বর্ষ / সপ্তম সংখ্যা / ১৩৪

শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

স্বপন রায়

 

কবিতার কালিমাটি ১৪৯


জীবনের একটি প্রতিজীবন আছে, হরিণ আছে

 

(২১)

হরিণ বলে কী বারান্দায় বসবে না!

বারান্দা, ঘরের বাঁধ।

টপকে গেলেই, বসে থাকা ভাষাপূর্ণা একটি চোখের মন্তর

গেলেই হল, ছু বলবে না

বলবে না, এই ঘর আর ওই জঙ্গল, একটা বাঁধ আর দুটো বারান্দা

কাফি হ্যায়

 

দুনিয়া, যাকে বলি। আদর সহসা হয় আঙুলে সথর

থর-থর বেটার না?

নতুশ শব্দে নতুন হরিণা

পূর্ণা

ভাষা, বাঁধ আর বারান্দা পেরল, ঠাট হল চোখের

আমি আর একটা হরিণ

হরিণ ও একটি আমি

ভেতরে আর বাইরে ক্রমশই মুছে ফেলছি

জুড়ে দিচ্ছি

ভাগাড়বিরহী সন্ধ্যায় ডানানাচারানার কোণগুলো

শকুনের…

 

(২২)

প্রতিটি হরিণের আছে

বিকল্প একটা

একটাই

 

বর্ণচোরা-রোদ

রোদ-চান করা

ম্যাচো-লৌণ্ডা

He-বিকিরিত তেজ

হি-বার্মিওক নামের জায়গাটা

অনেক অনেক হরিণ পেরিয়ে এলেও

আর লিখবো না

হি-হি

আমি তো আজ হরিণ আর হরিণ এভাবে হাসে না

 

আমি তেজী-মাংস ঝলসাতে দেখি

টানা-চোখে

কফিমোহন সন্ধ্যা নেমে আসার সময়

He lost his mind

She-তে এমন হয়

রিণে আছি হরিণে নেই এরকম আবহাওয়া

দৃশ্যগুলো

আমার চোখে, আমি তো আজ হরিণ

 

বন

জ্যোৎস্না হবে আজ

এই বিকল্পে যে ‘He’ or ‘She’

দৌড়োবার আগে

মুছে নিচ্ছে

মন

 

ঈশারাময় এই জঙ্গল

‘ডাম্পিং-গ্রাউন্ড’ তারাদের

বেজন্মা-হরিণদের

দিকে দিকে প্রতি-হরিণ বানাবার হিড়িক

শাখা টের পায়

প্রশাখা পাতায় পাতায়

কাঁদে

 

বিকল্প একটাই

আজ আবার হরিণের দিকে বাঁক নিয়ে

পা-ফেলা

বাঁক পেরলেই

জীবনের একটা প্রতিজীবন, একটা হরিণও

 

বিকল্প আর চাপা-হিম, পাশাপাশি

 

(২৩)

নির্জন। দ্রুত-মেল। সামনেই আকাশ-লন্ড্রি। পাক একটু চালশে, যখন আবছা ‘টেরাকোটা’।

বিষ্ণুপুর ধরল। পেড়ে ফেলল। ঘরানা হে, বালুচরি। না, হরিণ দেখিনি। না-হরিণ, একটা লোক, আয়ত লোক। সূর্য যখন পড়ছে, অস্তকাচে ধারাবাহিক ডাউনলোড।

বিষ্ণুপুর। দুপুর দিয়ে মেলানোই যায়, অমিয়?

 

কুচুটে মেঘ। একটা ছবি।

হরিণ চরে বেড়াবে বলে খুরের ধুলো, হ্রেষায় কিঞ্চিৎ।

কামান। মন্দির। জলাশয়।

একটা ছবি।

দূরে জীবনবিরোধী-মেঘ। প্রজানুগত-কৃষি। লুঠ।

 

বিষ্ণুপুর, ধারাবাহিক উপন্যাস হতে পারত…

 

(২৪)

শিং ঝরে গেল, হরিণ ফিরে যাবে। টেস্টোজটেরন জাগলে, আরেক-জোড়া শিং,চেম্বার-মিউজিক, এমন কি কিশোরকুমারও হবে, হরিণের। আমি পা ফেললে তেমন কিছুই হয় না, রাস্তা রাস্তাই থাকে, টাটানগর থাকে অবিকল টাটানগরেই, ‘রাখা হয়েছে কমলালেবু’র ছিন্ন পাতায় একফোঁটা স্বদেশ টলটল, হরিণও দেখল

লং-ড্রাইভ। হরিণ ছুটছে। টাটানগরে কিছু না হলেও সন্ধ্যা হয়। আলো ফোটে। চামড়া মানুষের। হরিণেরও তো চামড়াই। ফোটা-আলোর ছাপ, বুটিদার নকশা আর ঝলক, আমি এক ছায়াদুর্বল হরিণের, আমিই এক প্রতি-জীবনের, তুলনামূলক মিথ্যে, মিথ্যে কথা

হরিণ জড়িয়ে যায় বা এক গভীরতা হরিণের যায় ওঁত পেতে থাকা লেন্সে, একটা গিনিপিগও আচমকা, লেন্স ধরল, একটি তথ্যচিত্র আর একটা মানুষ যে শুধু লিখতে চেয়েছিল

 


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন