![]() |
সমকালীন ছোটগল্প |
থ্রি মাস্কেটিয়ার্স বা রত্নাকরের রামায়ণ
অর্কর আজকে জ্বর। সৌমিত্র ও অত্রি তবুও মা তুলে খিস্তি দিল। জ্বর বলে বেরোবি না? তো মালের পয়সা কী করে জোগাড় হবে?
আসুন আপনাদের সাথে গল্পের চরিত্রদের আলাপ করিয়ে দিই। সৌমিত্র আইন
পাশ করেছে, অত্রি এমসিএ ও অর্ক
বি.টেক। এরা বাল্যবন্ধু। যেহেতু বেড়ে ওঠা একসাথে,
তাই রুচিও অনুরূপ, জগৎ পরস্পর ওভারল্যাপ করে যায়। এরা যথেষ্ট মেধাবী ইন্টেলেকচুয়াল।
বিস্তর দেশী বিদেশী গ্রন্থ থেকে ফিল্ম, ধর্ম থেকে পর্ণোগ্রাফিতে অনায়াস সাবলীল বিচরণ,
নখদর্পণ তত্ত্ব।
কেন লেখালেখি করে ওরা, এ বিষয়ে গল্পের উত্তমপুরুষ অর্ক বলে, বাই
অ্যাক্সিডেন্ট। ছোঁয়াচে রোগও বলা চলে। খানিকটা সেরকম হলেও কিছু সচেতন প্রবৃত্তি ছিল
সৌমিত্রের। ডিকশন দেয় অত্রি। তিনজনের পা একতালে ফেলার, একই স্টেপজাম্পের অভ্যাসের কনডাক্টর।
সৌমিত্র ওদের মধ্যে ইংরাজিতে সবচে তুখোড় আর বিদেশী সাহিত্য ও কনটেম্পারারি
সাহিত্যিকদের সাথে স্বচ্ছন্দ। অত্রির মেধা আবার সবচেয়ে বেশী। বহুল পরিমাণ কমনসেন্সই
জ্ঞানীর পূর্বশর্ত। চারপাশে কি ঘটছে তা রিড করা, গভীরে প্রবেশ ও তার বিশ্লেষণে অত্রিই
সর্বাপেক্ষা ম্যাচিওর ও দলের স্বাভাবিক পান্ডা। সময় তাহার কড়া নেড়ে গেছে মাথার ভিতর
হৃদয়ের জানলায় / নিশ্চিন্তিতে থাকবে কি করে চারিপাশে শুধুই অবক্ষয়। অর্ক অবশ্য
মাতাল ও খানিক সরল, তৃতীয় পন্থা দুর্বল, ডিসিপ্লিন মকারি, বিকৃতকামীও বটে, কিন্তু ডেসপারেট
সবচে বেশী।
পরিচয় পর্ব শেষ হয়ে এলো। এখন এই তিন অন্তরঙ্গ বন্ধু কোনো কাজ করে
না, অথবা সব কাজ তারা একইসাথে করে। সৌমিত্রের ব্যাঙ্কশাল কোর্টের আয়ু ২ মাস, অর্কের
ব্রডকাষ্ট ইঞ্জিনিয়ারের ৫ মাস, আর অত্রি লিডার, কোনো কাজ কোনদিনও করেইনি।
তবুও বয়স ২৪ টু ২৬। নিজেদের আর্থিক ব্যবস্থা নিজেদেরই না করে নিলে
চলে না। অর্ককে তার বাবা প্রায়ই যখন বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে বলে, অর্ক তখন সত্যজিতের
ডুয়ার ও থিঙ্কার আউড়ে নির্লজ্জ হাসে, তার বাবা মা হবার বোঝা অ্যাটলাসের থেকে কিছু কম
নয়। সৌমিত্র আরো বেশি ডেসপারেট, এই দৈনন্দিন খিটিমিটির পর্ব তার ওভারকাম করা হয়ে গেছে।
হাওড়া শিয়ালদা, বন্ধুদের মেস, ইয়ুথ হস্টেল এভাবেই কাটায়। ওকে নিয়ে চিন্তা থাকে সবসময়।
অত্রি এখনো বাড়িতে থাকে। ওর বাড়ি রাজপ্রাসাদ। রাজপুত্তুর নিজের ঘরের দরজায় সোনাকাঠি
রূপোকাঠি এঁটে সারাদিন গিটার বাজায় ও ফিল্ম দেখে। সাত আটদিন কেটে যায়, বাবা মার সাথে
‘খেতে দাও’ ইত্যাদি ছাড়া কোন কথা হয় না। তবুও অত্রি, এহেন অত্রি হয় দলের মেরুদন্ড।
অনিন্দ্যসুন্দর, মেয়েরা, ওই রাবীন্দ্রিক মেয়েরা বলে ‘সো কিউট’; সারারাত ফোনে ডিস্টার্ব
করে আর অত্রিও কোন দ্বিধা না রেখে সুবিধা নেওয়াতে কোনো কার্পণ্য করে না। ওর সানগ্লাস
থেকে আইপড, ঘড়ি থেকে মোবাইল সবই তার সখ্যতা ও সময় দেওয়ার মেয়েলিয়া বিনিময়। ওর জন্যই
তো ওরা বেঁচে আছে। চলুক।
এখন এই তো পরিস্থিতি। টাকা নেই, মাল্লু জোগাড় কর ওস্তাদ। ওরা সব
সুখের পায়রা, নিঝুমগড়ে ইস্পাত কারখানা খুলবে! অর্ক সৌমিত্র প্রায়ই ইন্টারভিউ কল পায়,
কললেটার পায়, নক্ষত্র জমায়। আর অত্রি দলের পান্ডা, সাতদিন অন্তর মোবাইল নাম্বার বদল
করে, উইথ আউট ডকুমেন্ট সিম তোলে, এর কারণ ক্রমশঃ প্রকাশিতব্য। তার মুখ, প্রিন্স চার্মিং,
তার অস্তিত্ব, কেউ কোনদিন ট্রেস করতে পারেনি। হি ইজ এ ইনভিসিবল ম্যান যেমন রূপকথায়
থাকে, স্ট্যাটিটিক্স আর ইকনমিক্স এতো ভালো জানে যে, যে কাউকে ব্যাঙ্কের পিও
বা ক্লার্ক তিনমাসে বানাতে পারে … কিন্তু
ওরা সুখের পালক, নিঝুমগড়ে পরমাণু কারখানা বসাবে।
সোদপুর, খড়দা, ডানলপ, নিউটাউন –
শহর কলকেতায় রাতে খুব নিঃঝুম পথে কত ভয় কিছু অলিগলি পাকস্থলী আছে, হয়তো একটা মেয়ে বেশ্যাপল্লীর
পাশ দিয়ে ব্ল্যাকবেরী কানে রেখে প্রেমিকের সাথে গল্প করতে করতে যাচ্ছে, ব্ল্যাঙ্ক।
স্নিফার ডগরা বহু আগে থেকে লক্ষ্য রাখে, নির্বাক যুগ। হঠাৎ অর্ক মেয়েটাকে সজোরে এক
থাপ্পড় মারে, সৌমিত্র মোবাইলটা কেড়ে নেয়, অর্ক সজোরে এক ধাক্কা দিয়ে ভোজালিটা বের করে
দেখায়, সৌমিত্র বলে যা রেন্ডি ভাগ। অপারেশন শেষ। দুর্বলতম শিকার নির্বাচন একটা আর্ট।
ইটস্ এ হার্ড ডেইজ ওয়ার্ক, আই শুড বি স্লিপিং লাইক এ ডগ।
অত্রি অটো সিগন্যালিং মোডে উল্টোফুট থেকে অবজারভ করে পুরো ব্যাপারটা।
ওর পুলিশ পাররটি ও বেশ্যাপল্লী সংযোগ প্রবল। তারপর মোবাইলটা চেনা দোকানে যথোচিত দামে
বিক্রি হয়। ওটি চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত।অত্রি, নার্সিসাস অত্রি, উতুমকুমার অত্রি খানিক
পরে মেয়েটির পরিত্রাতা হিসাবে রঙ্গ মঞ্চে প্রবেশ করে। এও হয়েছে উষ্ণতা মেয়েটিকে অত্রির হাত ধরে অঝোরে কাঁদিয়েছে, সুনিপুণ অভিনেতা
বুঝে নিতে চেয়েছে মেয়েটির সোশ্যাল স্টেটাস, ইনফ্লুয়েন্স ও যাবতীয় কোশেন্ট। অত্রিই অতঃপর
তাকে ট্রান্সপোর্টে তুলে দিয়ে এসেছে। ট্রমা শুষে নিয়ে ছড়িয়ে দিয়েছে কিছু ঠান্ডা ঠান্ডা,
কুল, কুল। মাঝখান থেকে একটু বুকে পিঠে হাতও বুলিয়ে নিয়েছে। তারপর কিছু দিন গ্যাপ, অন্যপ্রান্তে
শহর দেখছে আরও এক নির্বাচিত অপরাধ, হিসাব মেলে না, ফুটপাত বদল আবশ্যক হয়ে পড়ে।
ওরা এভাবেই রেনেসাঁসের তাঁত বোনে আর রত্নাকরবাজি করে যায়। খালাসীটোলায়
যায়, পুরানিয়া গোমুখে যায় – প্রয়োগ
মিলন, গাঁজাপার্কে ঢুকে খানিকক্ষণ ওয়াচ করে, কুকুরের ইন্দ্রিয় সতেজ, তারপর তিনজনে মাত্র
এক পাঁইট বাংলা নিয়ে দু একজন নির্বাচিত দ এর পাশে বসে। যখন ওঠে তখন দাঁড়াতে পারছে না,
প্রত্যেকে এক দেড় বোতল করে খেয়ে ফেলেছে। ওই বোকাচোদাগুলোই খাইয়েছে, মান্না দের গান
শুনিয়েছে, পুরোটাই পরস্মৈপদী, এসব ভাট অর্থাৎ সুন্দর করে পটাতে ওরা খুউব পারে। শিকারীর
প্রাথমিক শর্তই হলো সফ্ট টার্গেট নির্বাচন, এ সব সফল গল্পে অত্রিই তো ফিলিং লাকি গুগল
সার্চ। উত্তমকুমার অত্রি তিনদিনের আলাপে মেয়েদের থেকে ম্যাগাজিন বাবদ ৩০০ টাকা চাঁদা
ও একটি হাসির কবিতা তুলে নেয়।
অত্রির বাড়ি, রাত যখন সনেট –
অত্রিঃ লেখালেখি নিয়ে, মানে গদ্যভাষা নিয়ে কিছু প্রস্তাবনা রাখছি – যখন ল্যাঙ্গুয়েজই এখনকার প্রধান কনসার্ন – লেখাকে অনেক ডিসইন্টিগ্রেটেড হতে হবে, প্যরাগ্রাফ – প্যারাগ্রাফের লিনিয়ার ফ্লোটা অদলবদল করে দেওয়া যায়, প্রতিটি প্যারাগ্রাফ বা স্পেস নতুন এন্ট্রি বা এক্সিট পয়েন্ট হতে পারে, ধরা যাক একটি উপন্যাসের ১২ টি চ্যাপ্টার, চ্যাপ্টারগুলো র্যান্ডমলি পড়া যেতে পারে, লেখক নির্দেশিত অর্ডারে বা প্রথম থেকে শেষ লিনিয়ারভাবে, যেভাবেই হোক মিনিং ফুলনেস যেন থাকে, বন্ডিং এর ফোর্স যত দুর্বল করা যায় ততই উত্তম ...
সৌমিত্রঃ আমিও কিছু কিছু ভাবছি –
ডামি ফ্রেজ এর কথা, অ্যাবসার্ড সেন্টেন্সের কথা –
সেন্টেন্স কনসট্রাকশন ঠিক হলো না ভুল হলো –
এ নিয়ে কথা ওঠারই কথা নয় – সেন্টেন্সে
গড়পড়তা দুটো ব্ল্যাঙ্ক ওয়ার্ড –
যার শুধু ধ্বনিভিত্তিক অস্তিত্ব আছে, অর্থ নেই কোনো, এরকম প্রয়োগ। প্যারালাল ফ্রেজ
চেইন, অ্যাবসার্ড ওপেন এন্ডিং এসবও ভাবছি।
আর ভাবছি শব্দের কথা, ক্রিয়াভিত্তিক নতুন নতুন শব্দ গঠনের পাশাপাশি
মিউজিক্যাল কিছু ধ্বনি – যা
সেন্টেন্সের পুরো গানটাকে ধরে রাখে, এই ননসেন্স শব্দরা –
এসব ভাবছি আর কি ...
অর্কঃ আমি কিন্তু গদ্য লেখার সময় যে থিম এ বাক্য বা প্যারাগ্রাফ
বানাবো, গল্প লেখার সময় তা বানাই না। তাছাড়া বাক্যের গঠন প্রসঙ্গে বলি, যেহেতু অতিতরল
গদ্যভাষা আমাদের নয় – সুতরাং
চলতি গল্প গদ্যে আমরা পুরো একটা বাক্যই পড়তে অভ্যস্ত, সেখানে আমাদের অলটারনেটিভ বাক্য
যথেষ্ট ভারী, পাঠক সাধারণভাবেই তাকে ভেঙ্গে ভেঙ্গে পড়ে, সুতরাং রিডেবিলিটির কথা মাথায়
রেখে বাক্যাংশ বানিয়ে কবিতার পংক্তির মতো করে অগ্রসর হলে বেশ চোখকে আরাম দেওয়া যায়।
অত্রিঃ অবশ্য পাঠক ও লেখক –
কবিতার পাঠক ও কবিতার লেখক এক ও অভিন্ন। লেখার প্রথম, প্রধান অবজারভার লেখক ও একমাত্র
পাঠক ও তিনিই। বিনয়ের এই যুক্তি সাপেক্ষে বলতে হয়, লেখাকে যতক্ষণ পর্যন্ত না অবজারভ
করা হচ্ছে, একটা পয়েন্ট বা নির্দিষ্ট বৈজ্ঞানিক প্রণালীতে ব্যবচ্ছেদ করা হচ্ছে বা সেই
হচপচটায় নিজেকে জড়ানো হচ্ছে ততক্ষণ কিন্তু এই গোটা ব্যাপারটাই আনআইডেন্টিফায়েড থেকে
যায়।
সৌমিত্রঃ দ্যাখ, এছাড়াও অর্থের সংকোচন প্রসারণ ব্যাপারটাও দেখতে
হবে। যে লেখক তারই দায় লেখাটিকে এমন ট্রিটমেন্ট দেওয়া যাতে সাধারণ বাস্তবধর্মী ইন্টারপ্রিটেশন
অতিক্রম করে বাক্যটি তাকে অ্যাবস্ট্রাক্ট ভাবতে বাধ্য করে। একটি লেখার সংকুচিত বা গড়পড়তা,
চিন্তা উস্কে না দেওয়া অর্থ এবং বৃহত্তর দার্শনিক অর্থ দুইই থাকতে পারে। নির্ভর করে
লেখক বহুল ব্যবহৃত প্রতীক বা উপমা ছাঁচ ভেঙ্গে কতটা দর্শনকে ধারণ করতে পারছে আপাত শব্দবিন্যাসকে
বজায় রেখে। এক্ষেত্রে n সংখ্যক
শব্দ বিন্যাস n সংখ্যক
অর্থ দাঁড় করাতে পারে কি না দেখতে হবে।
অত্রিঃ আমার অবশ্য একটু আপত্তি আছে। আর্কিটাইপ বা সমধর্মী চিন্তন
কাজ করে, সুতরাং কিছু সংখ্যক সিগনি ফায়েড যার n
সংখ্যক সিগনিফায়ার। ভাষাকে অতিক্রম করে ভাষার উপর প্রভুত্ব কায়েম করে তাকে হত্যা করাই
লক্ষ্য।
যথেষ্ট হাবিজাবি কথপোকথন শেষে আবার ও আমরা ফিরে যাবো ন্যারেটিভে যদিও তাকে বহু ধিক্কার দেওয়া হয়, তথাপি কাম্যু মার্কেস পামুকের ন্যারেটিভ লেখার দক্ষতা ও রিডেবিলিটি, আমাদের কাছে ঈর্ষণীয় –
ওদের একটি প্রোডাকশান হাউসও রয়েছে। ফিল্ম করে পয়সা উসুল। অত্রি জীবনানন্দের আটবছর আগেকার একদিনের একটি ইন্টারপ্রিটেটিভ ফিল্ম বানিয়েছে। অর্ক অযান্ত্রিককে সাবজেক্ট করে একটি শর্ট রিমেক ও সৌমিত্র অবলোকিতেশ্বর ও বৌদ্ধধর্মের সংস্কৃতি নিয়ে একটি ডকু। বড় কথা কী, বড় কথা নয়, ওরা ওদের প্রোডাকশান হাউসের কিছু কার্ড, লিফলেট বানিয়েছে, ইউটিউবে তুলেছে ট্রেলার – দেখাচ্ছো বড়লোক তন্বী ও সুগার মামাদের, বলেছ তোমাকেই নিচ্ছে পরের কাষ্টিং। ১০০০ টাকা দাও আপাতত। তারপর ওই যে বলা হল অত্রি, প্রিন্স চার্মিং, ইনভিসিবল ম্যাজিশিয়ান। মোবাইল নং ও নেট অ্যাকাউন্ট বদল যা সিম সিম। জাষ্ট লাইক এ সুইট শর্ট ড্রিম, অত্রিকুমার, প্রমীলামহলে দ্রুততম ডুবসাঁতারু ও তার সঙ্গে সঙ্গে ওর বাবার বিরাট বড়ো পুলিশ অফিসার হবার আত্মবিশ্বাস ওদের এখনও হরিণবাড়িতে নিমন্ত্রণ করেনি।
ভারতবর্ষে এখন সবচে বড়ো ইস্যু করাপশান ও রেপ। কিন্তু এ আর নতুন কী? ভারত তো দুর্নীতিতে বিশ্বে চতুর্থ। যারা বলে ভারত গণতান্ত্রিক বাক্ স্বাধীনতায় খুল্লমখুল্লা, তাদের জানাই ইন্টারন্যাশনাল সার্ভেতে ভারত ইন্টারনেট বাক্ স্বাধীনতায় বিশ্বে ১৪তম, অর্থাৎ একেবারে মধ্যবর্তী স্থানে, যতই পিঙ্ক চাড্ডি ক্যাম্পেন বা শহবাগ আন্দোলন ব্লগ ট্যুইটারের ফসল হোক। ভারতে এমনকি নেট স্পাইংও বৈধ করেছে কেন্দ্র। স্নোডেনমূলক চক্ষুলজ্জাও তাতে নেই।
হ্যাঁ, অত্রি বলে ঘুষ নাও, ওটা বার্থ রাইট, লুটে নাও চারপাশের পাথরকুচি জলপিপি কাকভিজে বায়স গল্পের বোকাচোদাচুদিদের, শুধু ৩০০ টাকা পেলেও আর যতই সুন্দরী হোক না কেন হাসির কবিতা ম্যাগে ছাপিও না। আর লুঠ করো নাদির, শ্লীলতা দাও গল্পে, এটা লুটো না। বাকিটা আমি বুঝে নেব। যত পারো পিটারামো কর, কিন্তু কাজের জায়গায় নির্বাচনের সময় সম্পূর্ণ উদাসীন নিরপেক্ষ গীতার অমুক অধ্যায় তমুক নং শ্লোক। এটা বুঝলে 2G এর মাথাদের আর তিহার জেলে পচতে হত না।
দলের মেরুদন্ড অত্রি এভাবেই একটা ম্যাগাজিন
চালাতে থাকে দুর্নীতি ও নোংরামির পয়সায়, যার উৎসমুখ হলো সেই ছোট্ট পত্রিকার সাথে যুক্ত
থাকার অভিজ্ঞতাঃ প্রোলংড হার্ডমেটাল ও তার অ্যালকামিটদের একমাত্র জুজু – মুদ্রারাক্ষস, যা অতিক্রম করেই বানিয়ে
নিতে হবে প্রতিমহাকাব্য, নিরজনে প্রভু নিরজনে ...
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন