কালিমাটি অনলাইন

ত্রয়োদশ বর্ষ / সপ্তম সংখ্যা / ১৩৪

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

ত্রয়োদশ বর্ষ / সপ্তম সংখ্যা / ১৩৪

শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

অর্পিতা সরকার

 

কবিতার কালিমাটি ১৪৯


উপহারে হাত আর

আমরণ শ্বাসে ডুব দাও আর উঠে আসো ঝলমলে

মাছের শরীরখানা হাতে নিয়ে, তখনও জলের তড়পানি দগদগে কানকোয়

বিগত জ্যোৎস্নার গন্ধে তখনও

কাঁপতে থাকে স্পর্শের সীমারেখা, মাছেদের ঘুমে জানো নদী লেগে থাকে

ভাঁটা লেগে থাকে জোয়ারের শেষে খানিকটা মোহ লেগে থাকে

মৃণালের, তুমি সেই ঘুম মাখো হাতময় কতবার  দিয়েছো উপহারে

আমি জেগে থাকি আবারও অপেক্ষায়

 

আর আমি অনিবার

নাভী নদী নয়নতারা  চিবোতে চিবোতে নখ গেঁথে দিলে কোমল গান্ধারে

রক্তে ভেসে যাচ্ছে ষড়জ সুখ আমার ধৈবত নিভিয়ে দিয়ে সেই কবে উল্লাসে

তুমি আরোহী আলপনা ছিঁড়ে খেতে চেয়েছো নিষাদ ননীর মতো আমার চাঁদ

চৈতন্য আর আউশ বোনার মাস এখনও লেগে আছে তোমার জিভে তুমি অক্লান্ত

আর আমি অনিবার অভিসারী

 

আষাঢ়

যুদ্ধ ভর্তি মাথাটা পেতে দিই মেঘে খাওয়া গাছটার

হাঁটুর কাছে, আগেও মুছেছি রক্ত সমর্পণে আজ ঝুঁকে

এল সে, কুঁকড়ে বসলো ঘেঁষে, কোটর চুঁইয়ে রক্ত ঝরছে 

অন্ধকারের চেয়ে দগদগে সন্তানের ভাত হারা নাভি ছিঁড়ে

আষাঢ় নামছে অঝোরে…

 

ভিক্ষে

আলো নয়, মুঠো ভ’রে অন্ধকার নিয়ে বসে আছি

পায়ের কাছে; গোখরোর শীত তলপেট যেন এই অন্ধকার আমার

কয়েক জন্মের লুঠের ইতিহাস, ঠোঁটময় তৃষ্ণা কুপিয়ে কুপিয়ে আগর্ভ

জন্ম খুবলে উপড়ে জমিয়েছি অন্ধকার গাঢ় ঘুম পুড়িয়ে পুড়িয়ে নির্বাক

অন্ধকার জমিয়েছি, ক্ষয়রোগ গেঁথে গেঁথে মৃত্যুর সীমানা বরাবর জমিয়েছি

নিজেকে এইবার অঞ্জলি দিলে

পিদিমে জোছনা যদি পাই…

 

 

 

 


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন