প্রতিবেশী সাহিত্য
গি দ্য মোপাসাঁ’র গল্প
(অনুবাদ : বাণী চক্রবর্তী)
লেখক পরিচিতিঃ ফরাসী লেখক গি দ্য মোপাসাঁ ১৮৫০
সালের ৫ আগস্ট ফ্রান্সে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি ছিলেন বিখ্যাত কবি, গল্পকার এবং
ঔপন্যাসিক। আধুনিক ছোটগল্পের জনক রূপে তিনি স্বীকৃত। তাঁর লেখা বড় ও বিখ্যাত গল্প
‘বুল দ্য সুইফ’। তাঁর লেখা আরও একটি বিখ্যাত গল্প ‘দ্য নেকলেস’। এখানে ‘দ্য
নেকলেস’ গল্পের বাংলা অনুবাদ প্রকাশ করা হলো।
নেকলেস
মেয়েটিকে বিধাতা নিজে হাতে গড়েছিলেন... অপূর্ব লাবণ্যে ভরা... কিন্তু ভাগ্য তার প্রতি প্রসন্ন ছিল না। একজন সাধারণ কারিগরের ঘরে জন্ম নিয়ে জীবনে কোনো সুখ সাচ্ছন্দ্য সে উপভোগ করেনি। বিয়েও হলো শিক্ষা বিভাগের এক কনিষ্ঠ কেরানির সঙ্গে। সেখানেও সে দু:খী থাকতো... বাড়ির মলিন দেয়াল, ভাঙা চেয়ার, বিবর্ণ হয়ে যাওয়া পুরনো পর্দা সবই তাকে কষ্ট দিতো। নিজের মনেই ভাবতো, আমি ত সবকিছু পাওয়ার জন্য জন্মেছিলাম! মাঝে মাঝেই সে কল্পনা করতো অসাধারণ কারুকাজ করা আসবাবপত্র, দামী কার্পেট, ভারী সুদৃশ্য পর্দা, পেতলের বাতিদান, এন্টিক ভাষ্কর্য, সুরভিত কক্ষ থাকবে তার বাড়িতে! ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সাথে পার্টি করার হল থাকবে যেখানে, নামীদামি মানুষের সমাবেশ হবে! ছোট গোলটেবিলে মুখোমুখি ডিনার খেতে বসে তার স্বামী সুপের ঢাকনা তুলে বলবে, "আহ কী সুঘ্রাণ! এর থেকে ভালো আর কী হবে!" সেই সময় মেয়েটি কল্পনা করে সুস্বাদু দামী খাবার সুন্দর বোন চায়নার প্লেট, রুপোর চামচ! তার কাছে দামী পোশাক অথবা গয়না কিছুই ছিল না, শুধু এই ভাবনাগুলো তার ভালবাসার ছিলো। মনে মনে বিশ্বাস করতো, সবকিছু পাওয়ার এবং সবচেয়ে আকর্ষণীয় নারী হওয়ার যোগ্যতা তার ছিলো।
মেয়েটির এক ধনী বন্ধু ছিলো, পুরনো স্কুলের বন্ধু। কিন্তু সেখানে ও যেতে চাইত না, কখনো গেলে বাড়ি ফিরে দু:খ, হতাশা, ক্ষোভে ভীষণ কষ্টে সারাদিন কাঁদতে থাকতো।
একদিন সন্ধ্যায় ওর স্বামী খুব খুশি মনে একটা বড় খাম হাতে নিয়ে বাড়িতে ঢুকে বলে, "তোমার জন্য একটা জিনিস আছে।" খামটা তাকে ধরিয়ে দেয়।
দ্রুত খাম ছিঁড়তে একটা ছাপাকার্ড বেড়িয়ে আসে। যেখানে লেখা ছিলো, "এডুকেশন মিনিস্টার এবং ম্যাডাম রাম্পোনে আনন্দের সাথে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন মঁসিয়ে এবং মাদাম লোইজেলকে সোমবার, ১৮ জানুয়ারির সান্ধ্য উৎসবে। স্থান -- শিক্ষাভবন।
খুশি হওয়ার (যেমন তার স্বামী ভেবেছিলো) বদলে সে আমন্ত্রণ পত্রটি ছুঁড়ে ফেলে দেয়। বলে, “এটা নিয়ে তুমি আমাকে কী করতে বল?"
"কেন ডার্লিং... আমি ত ভেবেছিলাম তুমি খুশি হবে! কোথাও তোমার যাওয়া হয় না। অনেক কষ্ট করে এটা ম্যানেজ করেছি। মাত্র কয়েকজন ক্লার্ককে দিয়েছে। সবাই পেতে চাইছিল। গিয়ে দেখবে সবাই বড় বড় লোক।"
রাগান্বিত চোখে তাকিয়ে সে বলে, "আচ্ছা, এমন একটা অনুষ্ঠানে আমি কী পরে যাবো?" একথা স্বামীর মাথায় আসেনি, সে তুতলিয়ে বললো, "কেন যেটা পরে তুমি থিয়েটারে যাও... ভাল লাগে ত!" তারপর মুহূর্তে থেমে গেল, দেখলো তার স্ত্রীর চোখ থেকে বড় বড় ফোঁটা জল গড়িয়ে চলেছে ক্রমাগত। ব্যস্ত হয়ে বলে, "কী হয়েছে তোমার, কী হয়েছে?"
অনেক কষ্টে নিজেকে সংযত করে ভেজা গাল মুছে মেয়েটি শান্ত স্বরে বললো, "কিছু হয়নি, শুধু আমার পোশাক নেই, তাই যাবো না, এই আমন্ত্রণ পত্রটি তুমি কোনো বন্ধুকে দিয়ে দাও।"
স্বামীর মন ভেঙে গেল। তবু বলল, "এদিকে তাকাও মাতিলদে, একটা সুন্দর পোশাক কিনতে কতো টাকা লাগবে? যেটা তুমি অন্য অনুষ্ঠানেও পরতে পারবে?" অনেক ভেবে, হিসেব করে সে বলে, "চারশো ফ্রাংক ত লাগবেই।"
লোইজেলের মুখ শুকিয়ে গেল, ঐ চারশো ফ্রাংকই সে জমিয়েছিল একটা বন্দুক কেনার জন্য। বন্ধুদের সাথে শুটিং কম্পিটিশনে যাবে বলে। যাইহোক সে বলে, "ঐ টাকা আমি দেবো, একটা সুন্দর ড্রেস কিনে নাও।"
ড্রেস রেডি হলো, পার্টির দিন এগিয়ে আসতে লাগলো।
এক সন্ধ্যায় স্বামী বলে, "কী হয়েছে? দু'দিন যাবত
দেখছি মনমরা হয়ে আছো!"
"কী করি, এক টুকরো গয়নাও নেই সেদিন পরার জন্য।"
"দশ ফ্রাংকে ২/৩ টে সুন্দর গোলাপ পাওয়া যাবে...
তাই লাগিয়ে নিও"।
"না, এভাবে সবার মাঝে গরীব লাগা অস্বস্তিকর। তার
থেকে না যাওয়া ভাল"।
"আরে তোমার বড়লোক বন্ধুর কাছে থেকে কিছু নিয়ে এসো
একদিনের জন্য।"
চোখ চকচক করে ওঠে মাডামের। "ঠিক বলেছো, আমার মাথায় আসেনি"।
পরের দিন সে বন্ধুর বাড়ি গিয়ে সব জানাতে বন্ধু তার জুয়েলারি বাক্স এনে বলে পছন্দ করে নাও। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে সে পরে পরে দেখে কিন্তু কিছুই যেন সেরকম মনে ধরে না। "আর কিছু নেই কি?"
"তুমি নিজেই দেখে নাও কোনটা ভালো লাগে!"
এরমধ্যেই একটা কালো সাটিনের বাক্স দেখতে পায় মাতিলদা, সেটা খুলতেই ঝকমক করে ওঠে একটা হীরের নেকলেস। কাঁপা হাতে সেটা তুলে নিজের গলায় জড়িয়ে নিজেকে দেখে আনন্দে আত্মহারা হয়ে যায়! সংকোচের সাথে অস্বস্তি নিয়ে বলে, "তুমি কি আমাকে এটা দিতে পারবে? শুধু এটা, আর কিছু চাই না"।
"হ্যাঁ অবশ্যই দেবো"।
কৃতজ্ঞতায় সে বন্ধুকে গভীর আলিঙ্গন করে নেকলেস নিয়ে চলে যায়।
দেখতে দেখতে পার্টির দিন এসে যায়। পার্টিতে মাডাম লোইজেলকে দেখে সবার তাক লেগে যায়। সবাই জানতে চায়, কে এই মহিলা! তাকে সবচেয়ে সুন্দরী লাগছিল। এলিগেন্ট, লাবণ্যময়ী। সবার ওপরে স্মিত, সুখী একটা মুখ! সব পুরুষদের নজর ছিলো তার ওপর। সবাই জানতে চাইছিল তার নাম, পরিচয়। এমনকি মন্ত্রীমশাইও তাকে লক্ষ্য করেন। সে মহা আনন্দে নেচে যাচ্ছিল পাগলের মতো, যেন কোনো চিন্তা নেই। তার নারীহৃদয় এতো প্রশংসায় পরিপূর্ণ হয়ে গেছে, এতদিনের স্বপ্ন যেন সফল হয়েছে। মধ্যরাত পর্যন্ত তার স্বামী একটা ছোটো রুমে বসে মদ্যপান করে এবং উঠে এসে তার কাঁধে ফেরার পোশাক রাখে, যা কিনা বলরুমের পোশাকের সাথে সংঘাতপূর্ণ। মাদাম লোইজেল সে সম্পর্কে অবহিত ছিলো, তাই দ্রুত বাইরে বেড়িয়ে গেল, যখন অন্য মহিলারা দামী ফারকোট পরতে ব্যস্ত। স্বামী পেছন থেকে বলে, "দাঁড়াও ক্যাব নিচ্ছি, তোমার ঠান্ডা লেগে যাবে"।
সেটা অমান্য করে সিঁড়ি দিয়ে নেমে যায় সে। অগত্যা দুজনেই কাঁপতে কাঁপতে রাস্তায় গিয়ে দাঁড়িয়ে মরিয়া হয়ে ট্যাক্সি ডাকতে থাকে, কিন্তু বাস্তবে কোনো ক্যাব পায় না। প্যারিসের রাতের রাস্তায় তখন শুধু মালবাহী ট্রাকগুলো রয়েছে। শেষপর্যন্ত সেই মালবাহী গাড়িতেই তারা ঘরে পৌঁছায়। তখন দিনের আলো ফুটেছে। মঁসিয়ে লোইজেল দশটার সময় অফিস যাওয়ার কথা ভাবছে, কিন্তু মাদাম লোইজেলের সেটাই শেষ! কাঁধের কাপড় সরিয়ে সে শেষবারের মতো নিজের বিজয়িনীর চেহারা দেখতে চাইলো। হঠাৎই তার মুখ থেকে চিৎকার বেড়িয়ে এলো! নেকলেস ত নেই!
স্বামী পোশাক পাল্টাতে পাল্টাতে জানতে চাইলো, "কী হয়েছে?"
"মাদাম ফরেষ্টিসের নেকলেস নেই!" তার স্বর ভয়ার্ত, কম্পিত! স্বামী অবাক চোখে তাকায়... "কী আশ্চর্য, অসম্ভব! হল থেকে বেরুনোর সময় গলায় ছিলো?"
"হ্যাঁ ছিলো, আমি টাচ করেছিলাম। বোধহয় রাস্তায় পড়েছে, অথবা গাড়িতে। গাড়ির নাম্বার লক্ষ্য করেছিলে?"
"না! তুমি করেছিলে?"
"না!"
দুজনে দুজনের দিকে বোবা দৃষ্টিতে খানিক চেয়ে রইলো! তারপর পোশাক ঝেড়ে ঝেড়ে সমস্ত পকেট সমস্ত জায়গা দেখার পরে অবশেষে লোইজেল জামা পরে বাইরে বেরুলো, "আমি সমস্তটা পথ পায়ে হেঁটে খুঁজে আসি, যদি পাই!" মাদাম সান্ধ্য পোশাকেই দাঁড়িয়েছিল, বিছানায় যাবার ক্ষমতা ছিল না, চেয়ারে বসে পড়ে, মাথা পুরো নিস্ক্রিয়!
সারাদিন ঘুরে, খুঁজে, পুলিশ স্টেশনে কমপ্ল্যান লিখিয়ে খুঁজে দেয়ার পুরস্কার ঘোষণা করে, কিন্তু কোনো ফল পাওয়া যায় না। হতাশ হয়ে রাতে বাড়ি ফেরে। পরের দিনও সারাদিন ঘুরে কোনো আশার আলো দেখা যায় না। মাদাম সারাদিন অপেক্ষা করেছে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে কিন্তু স্বামী শুকনো নিরক্ত মুখে বাড়ি ফিরলে সব আশা শেষ হয়ে যায়।
এরপর স্বামী বলে, "বন্ধুকে লিখে দাও নেকলেসের হুক ছিঁড়ে গেছে, সারাতে দিয়েছি তাই ফেরত দিতে এক সপ্তাহ টাইম লাগবে"। সেভাবেই লিখে দেয় সে। মি: লোইজেল বলে, "হীরের গয়নাটা অবশ্যই রিপ্লেস করতে হবে”। এরপর গয়নার বাক্স নিয়ে ওপরে নাম লেখা জুয়েলারের দোকানে যায় তারা। কিন্তু সেখানে সেরকম কিছু পাওয়া যায় না। বিভিন্ন জুয়েলার্সের দোকানে তারা ঘোরে। পরিশেষে প্যারিস রয়ালদের জুয়েলার্সের দোকানে একটা ঐরকম হীরে ঝোলানো নেকলেস তারা দেখতে পায়। মুল্য ছিলো চল্লিশ হাজার ফ্রাংক! তাদের জন্য সেটা ছত্রিশ হাজারে দিতে রাজি হয়। লোইজেল দম্পতি অনুরোধ করে তিনদিন পর তারা নেকলেসটি নেবে, এবং এই তিনদিন যেন তারা এটা অন্য কাউকে বিক্রি না করে।
এরপর শুরু হয় টাকা জোগাড়ের পালা! লোয়জেলের বাবা পৈত্রিক সম্পত্তির ভাগ হিসেবে ছেলেকে আঠারো হাজার ফ্রাংক দিয়েছিলেন, সেটা ছাড়াও বাদ বাকি আঠারো হাজার তারা ধার করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং বহু লোকের কাছে হ্যান্ডনোট দিয়ে টাকা ধার নেয়।
অবশেষে সেই গয়না কিনে ফেরত দিতে যায়। মাদাম ফরেষ্টি বাক্স হাতে নিয়ে বলে, "তোমার আরও আগে ফেরত দেয়া উচিত ছিল... আমার দরকার হতে পারতো!"
মাদাম লোইজেল চুপ করে ভাবছিলো বন্ধু যেন বাক্স না খোলে, তাহলে কিছু বুঝে যেতে পারে।
এরপর শুরু হ'ল তার কষ্টের জীবন! ধার শোধ করার জন্য তারা অতি ছোট এবং সুবিধাবিহীন একটি ঘরে শিফট হয়ে যায়... নিজে হাতে ঝাড়ামোছা, কাপড়কাচা, বাজার করা, ডাস্টবিন ফেলা, জল টেনে আনা যাবতীয় কাজ করে টাকা বাঁচায়, সাথে তার স্বামীও অফিসের পর একটা পার্টটাইম কাজে যোগ দেয়, অনেক রাতে বাড়ি ফেরে। এভাবে দশবছর কষ্ট করার পর তারা ঋণ মুক্ত হয়।
ইতিমধ্যে এতো পরিশ্রমে মাদাম লোইজেলের বয়স্ক চেহারা হয়ে গেছে রুক্ষ, কঠোর গরীব মহিলাদের মতো।
তার চুল, নখ,হাত রুক্ষ, গলার আওয়াজ ভগ্ন! এরমধ্যেও স্বামী অফিসে গেলে জানালার কাছে বসে শূন্য চোখে রাস্তা দেখতে দেখতে সে সেদিনের কথা ভাবে! সেই প্রশংসা, সেই সৌন্দর্যের কথা! কী হতো সেদিন গয়নাটা না হারালে? "কে জানে! কে জানে! জীবন কতো অনিশ্চিত, কতটুকু লাগে জীবন নষ্ট হতে অথবা রক্ষা পেতে!"
এক রবিবার সারা সপ্তাহ পরিশ্রমের পর সে নিজেকে একটু ফ্রেশ হতে হাঁটতে বেরোলো। কিছুদূর যেতেই দেখতে পেল মাদাম ফরেস্টি একটি শিশুর সাথে হাঁটছে। এখনও সে সুন্দরী এবং আকর্ষণীয় রয়েছে! মাদাম লোইজেল নিজের আবেগ সম্পর্কে খুব সচেতন, ভাবে কথা বলবে কী বলবে না! তারপর ভাবে কেন নয়, সে ত সব মিটিয়ে দিয়েছে এখন বলা যায় কী কী হয়েছিল!
সে এগিয়ে গেল, "সুপ্রভাত জিনি!" কিন্তু বন্ধু চিনতে পারে না... ভাবে কে এই গরীব মহিলা এত আন্তরিক ভাবে সম্বোধন করছে! "কিন্তু মাডাম আমি ত আপনাকে চিনতে পারছি না... কোনো ভুল হচ্ছে বোধহয়!"
"নাহ আমি মাতিলদে লোইজেল"। বন্ধু বিস্ময়ে চেঁচিয়ে উঠলো, "হে ভগবান! একী অবস্থা তোমার! কত বদলে গেছো!"
"হ্যাঁ তোমার সাথে শেষ দেখা হওয়ার পর থেকে আমার খুব খারাপ সময় গেছে... প্রচন্ড কষ্টে দিন কাটিয়েছি। সবটাই তোমার জন্য।"
"আমার জন্য! কীভাবে! "
"মনে করে দেখ তোমার কাছে থেকে একটা ডায়মন্ড
নেকলেস ধার নিয়েছিলাম মিনিষ্ট্রির পার্টির জন্য”।
"হ্যাঁ মনে আছে"।
"আমি সেটা হারিয়ে ফেলেছিলাম"।
"কীভাবে? সেটা ত আমাকে ফেরত দিয়েছো!"
"আমি সেরকম দেখতে একটা নেকলেস কিনে তোমাকে ফেরত দিয়েছিলাম। তুমি জানো আমাদের জন্য সেটা সহজ ছিল না, আমরা অতি সাধারণ মানুষ, গত দশবছর অনেক কষ্ট করে সব ধার শোধ হয়েছে, এতেই আমি এখন খুশি!"
মাদাম ফরেষ্টি একটু থমকে গেলো।
"তুমি বলছো আমারটা রিপ্লেস করার জন্য তুমি ডায়মন্ড নেকলেস কিনে দিয়েছো?"
"হ্যাঁ, তুমি লক্ষ্য করনি? দুটো প্রায় একরকম!" বলে মাদাম লোইজেলের মুখে একটা গর্বিত এবং নিষ্পাপ মৃদু হাসি খেলে গেলো। মাদাম ফরেষ্টি গভীর আবেগে মাতিলদের দুহাত জড়িয়ে ধরে বলে,
"ওহ্ হতভাগ্য বন্ধু আমার! নেকলেসটা ত নকল
ছিলো! খুব বেশি হলে ওটার দাম পাঁচশো
ফ্রাংক হবে!"
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন