কালিমাটি অনলাইন

ত্রয়োদশ বর্ষ / সপ্তম সংখ্যা / ১৩৪

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

ত্রয়োদশ বর্ষ / সপ্তম সংখ্যা / ১৩৪

শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ধীমান চক্রবর্তী

 

কবিতার কালিমাটি ১৪৯


চেষ্টা

সমস্ত পাপের মধ্যে। এক

পুরনো চাঁদ লুকিয়ে থাকে। বিভিন্ন কোণে ভাগ হয়ে যাওয়া মানুষ। সমুদ্রের সাথে সুচ

ও সিরিঞ্জের পরিচয় করায়। ছোটবেলায় আকাশ

যেরকম ছিল, আজও

সেরকমই আছে। জীবনের  আলো আমাকে ছেড়ে চলে

গেলে। সেই আলোয়, একা

শিশু ঘুমিয়ে পড়ে।

লাবণ্য আর সূর্যাস্ত।

ঘুম থেকে। একটা দুটো

ছায়া। অনামিকায়

তুলে আনার চেষ্টা করে।

 

কান্না

জমাট আগুনের মাথায়। উড়ে উড়ে। রক্তবীজ এবং শুক্লপক্ষ গান গাইছে। কাউকে ছবি আঁকতে দেখলে সূর্যাস্ত ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠে। সরোবর ক্ষমা করে দিলে। চোখ সামান্য বৃষ্টি খেয়ে নেয়।

এই শহরে

প্রাণ আছে কিনা!

আয়না দেখলে জানা যায়। হাততালিরও একটা শেষ

দিন থাকে। হাত-কে বললাম। পৎঝরের মধ্যে যে মুখোশ

ও সূর্যাস্ত থাকে। তাকে

বাথটাব থেকে বার করে

অন্ধ করে দাও।

 

জামা

রুইতন - আলোর গান।

তার চিহ্ন। সামান্য পাল্টে গেছে। ড্রয়িংখাতা। নিজের

আঁকা সম্পর্কগুলো খুঁজছে।

কিছুই ফুরিয়ে যায় না।

ভূবনডাঙ্গা। জামায় বৃষ্টি

ও সূর্যাস্ত নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে। নিজের খিদে নিজেই গিলে খায়। ব্রায়ারপাইপের সকালবেলা

এবং নিঃশ্বাস। একা শুয়ে

ট্রামলাইন গুনছে। বাংলার মাথার খুলিতে ছেঁড়া মানচিত্র।

মৃত হাসপাতাল গাইছে।


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন