কবিতার কালিমাটি ১৪৮ |
বালিকা ও একটি শেফালিগাছ
শেফালিগাছটি কী করে হাওয়ায় সুগন্ধ স্প্রে করে!
সান্ধ্যার ছাদে একা - সে কথাই ভাবছে মেয়েটি
হুবহু চেহারা তবু দিনশেষে পাখিরা কীভাবে পাখির ভিড়ে
নিজ সঙ্গিকে
চিনে নিয়ে ঘরে ফিরে!
জানে না সে
তার খুব মনখারাপ হয় - জানে না সে, কেন তার মনখারাপ হয়!
রিমোট বাটন চেপে শেফালিগাছটি প্রতিদিন সন্ধ্যায়
একটু একটু করে মেয়েটির মনের নিয়ন্ত্রণ নেয়
সিনেমা সম্পর্কিত দৃশ্য
মাংসের দোকানের সামনে আপনার পরচুলা খুলে পড়ে গেলো
প্রিয় চিত্রনায়িকা! আপনার সেক্রেটারি মাটি থেকে তুলে
তা আপনার মাথায় না পরানো পর্যন্ত
অবাক অবাক চোখে উন্মুক্ত মেটিনি শো দেখে নিচ্ছে
সমগ্র বাজার
গাছে টাঙানো লালশাড়ি
গাছ থেকে আর একটি গাছ এগারো হাত দূরে
গাছদু’টি রোপণ মধ্যে গভীর ষড়যন্ত্রের সম্ভাবনা দেখি
বিশেষতঃ যখন এই গাছ থেকে আর ওই গাছে
একটি গ্রামীণচেক লালরঙা শাড়ি
টাঙিয়ে; শুঁকাতে দেওয়া আছে এবং সেখানে উড়ছে আর বসছে
আর চেঁচামেচি করছে ক’টি পাখি
পাখিরা কি বলাবলি করছে - ধ্রুপদী শাড়ি খুলে
কোথায় উধাও হয়ে গেছে!
ভোর ও কুয়াশার কাক
তখন আমরা পামীর মালভূমির পথে, সামান্য কথা কাটাকাটি
তারপর
আমার পর্তুগীজ গার্লফ্রেন্ড ককা-গ্লরিডা
ব্রেকআপ করে চলে গেল
‘যা কিছু হারিয়ে যায় জীবনে উল্টো হয়ে ফিরে আসে’
বলেছিল একজন তিব্বতী সাধু
তবে কী সত্যিই আজ ককা-গ্লোরিডাকে ফিরে পাচ্ছি
জলাভূমি ও বিস্তীর্ণ ধানখেতের মধ্যে
চিরায়ত শীতকাল ও বিবর্ণতার মধ্যে
ভোরবেলা - সে কী ওই কুয়াশার কাক
ওপার-এপারের বাংলা কবিতার সেতুবন্ধন, যে কবির কাঠবিড়ালি লেজ একটু একটু করে সমুদ্রের বালি জোগান দেয়, তিনি আর কেউ নন।তিনি কবিতার রাজপুত্র মাসুদার রহমান।
উত্তরমুছুন