কবিতার কালিমাটি ১৪৮ |
উড়ানের ছায়া
(ক)
উড়ন্ত পাখির জন্য এই দৃশ্য। আপাত মলিন এবং সম্ভাবনাময়। যেখানে লুকিয়ে শূন্য, আলো এবং একা নৌকা। দেরাজ, পিস্তল এবং বহু কিছু এই উড়ানের ছায়ায় আছে। লুকিয়ে নেই। হাঁটাহাঁটি দেবে বলেছে কিছু। দীর্ঘ এবং প্রতিশোধ। প্রাচীন, কুঁজো, অন্ধকার, প্রতারণা এবং সেই পুরনো রাস্তা। লিরিকের বাইরেও আলো জ্বলে। সেখান থেকেই এই সন্ধ্যা, রাত্রি এবং উদ্বন্ধনের ছবি। সুষমের অন্য গল্প।
(খ)
এই প্রকার। অথচ জল। আমি, এই আমি, উড়ন্ত। এই সবে আমার সকল রাত্রির কথা। কোলাহলের কথা। ঠাকুমার মাদুর। গতিময়, হুইস্ললময়। তাহার কষ্টার্জিত দুপুরের কথা। ফেরার কথা। সিঁড়ির কথা। শূন্য দশকের যথা শব্দ বুনন। খোঁজ। এক গল্প বহু গল্পের তাঁত বোনে। অতঃপর চরাচরের অন্ধকার। তাহার স্তন, তাহার আর উদাসীন জানুর শিল্প। রক্তের নরম। আরও বহুকিছু। এই জলে। অভিশাপ দিই। এই জন্ম এমন! উপেক্ষা সর্বাঙ্গে আহ্বান করি। ঘুলঘুলি দেখি, লাল টালি। সাদা দরজা। প্রয়োজনে?
(গ)
তৃণ বোঝে সেইসব। ঐ আন্দোলন। ছায়া। প্রকৃতই সামান্য নহে। অসামান্য? কেবল জলের, মনে হয়। ভুল হয়? নতুবা ভাবি, সে কেবল নতুন। শীতের, উষ্ণতার, ওমের। অথবা অনিকেতের। তুলসিমঞ্চের। কে যে কোথায় ভালো থাকে! ঝুঁকে পড়ে, নিচু হয়। শোক যাতায়াত করে। ধারাপাতে, অশ্রুতে। নিরবধি। বোধ করি, সাম্রাজ্য এবং বৃক্ষের বিরোধ সত্য। সত্য দৃঢ় মিথ্যার উপশমে। বৃষ্টি হয়। কালোকোলো উপশমগুলি, বিন্দুগুলি ধরে রাখে শিষ। অসীম, এমত বিশ্বাসে।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন