ভ্রমণিকা-২
মহাদেবের জটা
“কতটা হাঁটতে হবে
রে…”
“এই ধর ম্যাপে দেখাচ্ছে আড়াই মাইল, তারপরে আরও যতটা যেতে চাও…”
আমি মনে মনে আড়াইকে এক দশমিক ছয় দিয়ে গুণ করলাম। চার। মানে চার কিলোমিটার। বললাম, “তা পারব। রোজ সন্ধেবেলায় তিন-সাড়েতিন কিলোমিটার হাঁটি। আচ্ছা শোন, চড়াই কতটা ভাঙতে হবে?”
“অতটা লেখা নেই, মনে হয় বেশি নয়। তবে যদি গ্লেসিয়ারের পায়ের পাতা ভালো করে দেখতে চাও তাহলে খানিকটা উঠতে হবে।”
টো অফ দ্য গ্লেসিয়ার – মানে যেখানে বরফের স্তর জলধারায় পরিণত হয়ে নদী বা ঝরনা হচ্ছে। জুতো পরতে পরতে বললাম, “চ যাই, নিশ্চয় উঠব।”
আমার শ্যালিকার মেয়ে এদেশে বড় হয়েছে, সেই গাড়ি ভাড়া করেছে। আমার মেয়েকে নিয়ে আমরা তিনজন। গাড়ি বাজারের দিকে নিয়ে ঘুরছে দেখে বললাম, “আবার কী কিনবি?”
“দেখই না।”
দোকানটা একতলা হলেও বিরাট। মূলত মাছ ধরার জিনিসপত্র সাজানো রয়েছে থরে থরে। মাছ ধরার সখ যাদের আছে তাদের জন্য আলাস্কা আদর্শ জায়গা। নদী-নালা-সরোবর-সাগর সব হাতের কাছে। এখানের নদী থেকে ধরা স্যামন মাছ, যাকে এরা ওয়াইলড স্যামন বলে, তার বাজার দর আকাশ-ছোঁয়া। মাছ ধরার সরঞ্জাম ছাড়াও দোকানে আরও বহু জিনিস – চুইংগাম থেকে রাইফেল। দেয়ালে টাঙানো বন্দুকগুলো দেখে এত খুশির সকালেও আমার মন খারাপ হয়ে গেল। গরমকালে এখানে শিকার করার অনুমতি দেওয়া হয়। এখানকার জঙ্গলে অজস্র হরিণ, বাইসন, ভাল্লুক। দেয়ালে টাঙানো একেকটা রাইফেলে যে কত প্রাণীর মৃত্যু-পরোয়ানা লেখা আছে তার হিসেব নেই। হ্যাঁ, প্রকৃতিতে খাদ্য শৃঙ্খল (ফুড চেইন) বলে একটা ব্যাপার আছে ঠিকই। এক প্রাণী অন্য প্রাণী শিকার করে খেয়ে জীবন ধারণ করে। তবে স্রেফ আনন্দ করার জন্য বা উত্তেজনার তাপ পোহানোর জন্য অবলীলায় নিরীহ পশুপাখি হত্যার পৈশাচিক খেলা মানুষ ছাড়া আর কোন জীবের মধ্যে দেখা যায় না।
“কী কিনবি?”
“গরমকাল এসেছে তো, ভাল্লুকরা জাগছে। একটা ভাল্লুক তাড়ানোর পিচকারি হাতে থাকা ভালো।”
ভাল্লুক তাড়ানোর স্প্রে বা পিচকারি! জিনিসটা কেমন দেখি তো! আমিও পাশে গিয়ে দাঁড়ালাম। দেখতে আমাদের চেনা মশা বা আরশোলা মারার স্প্রে যেমন তেমনই। কৌটোর মাথায় চাপ দিলে কিছু একটা ওষুধ বেরিয়ে ভাল্লুক তাড়াবে। হাতে নিয়ে দেখলাম আরে এ তো ‘পেপার স্প্রে’। ভেতরে গোলমরিচের গুড়ো আছে, কৌটোর মাথা টিপলে ফসফস করে বেরোবে। এ জিনিস তো আমাদের দেশেও পাওয়া যায় – অবশ্য ভালুক নয়, মানুষ তাড়াবার জন্য। আমার কিন্তু একটা খটকা লাগলো। এদেশে ওমলেটের ওপর গোলমরিচ ছড়িয়ে দেখেছি, স্বাদ বিশেষ পালটায় না। এদের গোলমরিচে না আছে ঝাল না আছে তেমন গন্ধ। ভাবলাম দোকানিকে বলি – ভারতীয় শুকনো লঙ্কার গুঁড়ো দিলে এর থেকে অনেক গুণ শক্তিশালী অস্ত্র হবে। এক্স-এক্স-এল সাইজের ভালুকও কাছে ঘেঁষবে না। যাইহোক, বেশ কটা ডলার খরচা করে একখানা কৌটো কেনা হলো। বলা যায় না যদি ভালুকের সামনে পড়ে যাই। এ যাত্রায় অবশ্য ভালুক সামনে আসেনি, তবে এবারের আলাস্কা ভ্রমণে নিরাপদ দূরত্ব থেকে দু-দুবার বুনো কালো ভালুক দেখেছি। সে কথা পরে হবে। আপাতত হাতে একটা অস্ত্র এসে যাওয়াতে নিজেদের বেশ অভিযাত্রী অভিযাত্রী মনে হচ্ছিল।
গাড়িতে মাইল দশেক গিয়ে ট্রেইল মানে হাঁটা পথের শুরুতে পৌঁছতে হবে। জঙ্গলের ভেতর দিয়ে গাড়ি যাবার পাকারাস্তা। একধারে ঘন বন আর অন্য দিকে একটা নদী। নদীটি অগভীর, তেমন চওড়াও নয়। স্বচ্ছ জল কালো নুড়ি পাথরের ওপর নিয়ে শব্দ করে বয়ে যাচ্ছে। বোঝাই যায় এ নদীর উৎস কাছেই কোথাও হবে।
“এই থাম থাম…” গাড়ি থামলো। পথের পাশেই শান্তভাবে দাঁড়িয়ে আছে একটি ‘মুস’। মুস এদেশের এক জাতীয় বড় সাইজের হরিণ। মুস ছাড়া এই দেশে অন্য ধরনের হরিণ যেমন ‘এল্ক’, রেইনডিয়ার (বল্গাহরিণ)ও দেখা যায়। মুসের সিং খুব বাহারে হয় কিন্তু এ নিশ্চয় হরিণী। এ সিং-বিহীন। এই সময় লোকে যা করে তাই করলাম। চক চক করে তিনজনের ফোনে কত যে ছবি উঠল তার ঠিক নেই। এই মুস হরিণীটি কি জানে তার ছবি ইন্টারনেট বেয়ে হাজার জনের ফেসবুক বা ইন্সটার পাতায় চলে যাচ্ছে! সে জানার তার দরকার নেই কিন্তু যেটা তার জানা উচিত তা হলো এরকম রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা বিপজ্জনক হতে পারে।
আমি এই মুস হরিণীটিকে মনে মনে বলছিলাম, ওরা বোকা তুই রাস্তার ধারে এভাবে কেন দাঁড়িয়ে আছিস? এক্ষুণি জঙ্গলের ভেতরে পালা। মানুষের সামনে থাকবি না, মানুষকে একটুও বিশ্বাস করবি না। এইমাত্র দেখে এলাম দোকানে সারি সারি রাইফেল সাজানো রয়েছে। যা, আর দেরি করিস নে।
হাঁটাপথের শুরুটা
একেবারে সাধারণ। গ্লেসিয়ারের চরণ দর্শন করার অভিযানে যাচ্ছি বলে মনে হলো না। পাথুরে
জমি, এদিক-ওদিকে কটা গাছ। এখানকার গাছ বেশিরভাগই চিরসবুজ, পাতা ঝরে না। দূরে অবশ্য
সাদা মাথা পাহাড়ের উপরিভাগ নজরে পড়ে। মাঝে দেখলাম একটা কাঠের মজবুত ধরনের চালা ঘর।
ক্লান্ত হয়ে পড়লে বা তুষারপাত হলে এখানে আশ্রয় নেওয়া যেতে পারে। আঁকাবাঁকা পাক দেওয়া
রাস্তা, কোথাও তা দুদিকে ভাগ হয়ে গেছে। তবে ‘টো অফ গ্লেসিয়ার’ দেখতে হলে কোন বাঁকটা
নিতে হবে তা পরিষ্কার লেখা আছে রাস্তার ধারের নির্দেশিকায়। হালকা চড়াই ভেঙে যত যাচ্ছি
দৃশ্য পালটে যাচ্ছে। একটু উঁচুতে উঠতেই দেখলাম চোখের সামনে বিস্তীর্ণ শুভ্র তুষার-ক্ষেত্র।
একটা গোটা পাহাড়ের গা প্রায় সম্পূর্ণ বরফে ঢাকা। চোখের পলক আটকে যাওয়া দৃশ্য।
অবশ্য এরকম দৃশ্য দেখতে এই সুদূর আলাস্কায় আসতে হবে তার কোনো মানে নেই। আমাদের ঘরের কাছেই হিমালয়, সেখানে হাজার হাজার তুষার-ক্ষেত্র আর গ্লেসিয়ার আছে। এই তো বছর দুয়েক আগে লাডাখে বরফে ঢাকা বহু পাহাড়, প্রান্তর দেখেছি। তবে একটা তফাৎ বুঝলাম। হিমালয় অনেক উঁচু বলে সেখানে অক্সিজেনের অভাব আছে। মাথা ধরে থাকে, একটু হাঁটলেই হাঁপ ধরে। এখানে ওসবের বালাই নেই। আর দু-নম্বর আমাদের দেশে ট্যুরিস্টদের ভীড় জায়গায় জায়গায় বড় বেশি। এত নির্জনে যেখানে আকাশের নিচে আমরা তিনজন ছাড়া আর কোনো ট্যুরিস্টের ভীড় নেই, কোনো কোলাহল, কোনো সেল্ফি নেওয়ার হুল্লোড় নেই সেখানে চোখের সামনে একেবারে কাছে এরকম একটি বরফে ঢাকা পাহাড় অন্য রকমের অনুভূতি নিয়ে আসে।
এই উচ্চতা থেকে আমরা শুধু তুষার-ক্ষেত্রটি দেখতে পাচ্ছিলাম। এটি এই অঞ্চলের একটি বিখ্যাত তুষার-ক্ষেত্র, নাম- হারডিং আইসফিল্ড। এখানে বছরে গড়পড়তা সত্তর ফুট তুষারপাত হয়। মানে প্রতি বছর ছয় কি সাততলা বাড়ির মত উঁচু বরফের স্তর জমা হচ্ছে! এটা দেখে ভাবছিলাম এই এত বরফ জমলে তো ধস নামা স্বাভাবিক, ধস নামা মানে হুড়মুড় করে সব নিচে পড়া, তাতে গ্লেসিয়ার বা নদী কী করে হতে পারে? এই প্রশ্নটা নিশ্চয় অনেকেই করে তাই এরা এখানে একটা বোর্ডে ছবি দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে তুষার-ক্ষেত্র থেকে কীভাবে গ্লেসিয়ার বার হয়ে অতি ধীর পায়ে নিচে নামে। এই তুষার-ক্ষেত্রটি থেকে সংখ্যায় চল্লিশটি মতো গ্লেসিয়ার নেমেছে। চারিদিকে তাকালে তার অনেকগুলো চোখে পড়ে।
গ্লেসিয়ার বা হিমবাহ আসলে বরফের নদী। কঠিন বরফের হওয়াতে এর আকৃতি নদীর মত নয়। ‘আপন বেগে পাগলপারা’ না হলেও বরফের নদী কিন্তু চলমান। এর গতি মোটামুটি ঘণ্টায় এক বা আধ ইঞ্চি মতো। পাহাড়ের কঠিন শিলায় বরফের স্তর এক অদ্ভুত উপায় পথ কেটে নিজের চলার ব্যবস্থা করে নেয়।
আমরা চারদিক দেখতে দেখতে হাঁটছিলাম। আর দু-একটা বাঁক পেরোতেই একটা গ্লেসিয়ার বেশ কাছে থেকে দেখা গেল। স্পষ্ট বোঝা যায় যে ওপরের তুষার-সমুদ্র থেকে এটি পথ কেটে নিচে নামছে। পথ কাটার ব্যাপারটা এরকম: খুব চাপে পড়লে যতই ঠাণ্ডা থাক-না-কেন, বরফ গলে জল হতে থাকে। এবার ওই জল ক্রমে পাহাড়ের কঠিন শিলাস্তর ভেদ করে খানিকটা ঢুকে পড়ে। চুয়ানো জলের সংস্পর্শে পাহাড়ি মাটি নরম হয় এবং ক্ষয়ে যেতে থাকে। এই ক্ষয়ে যাওয়া খাতটিই গ্লেসিয়ারের রাস্তা। রাস্তা একটা পেলেই যে বরফের মতো কঠিন বস্তু বাধ্য ভালোমানুষের মতো চুপচাপ নেমে আসবে তা নয়। এর সঙ্গে আর একটা ব্যাপার হয় – অত্যধিক চাপে অনেককাল থাকলে কঠিন বরফ নরম চটচটে আলকাতরার মত হয়ে যায়। একে বিজ্ঞানের ভাষায় ‘ক্রীপ’ বলে। নরম বরফের ওপর ভর করে কঠিন বরফের স্তর শম্বুক-গতিতে নিচে নামতে থাকে।
চারিদিক দেখতে দেখতে, কনকনে ঠাণ্ডা বাতাসের ঝাপটা খেতে খেতে, বোর্ডগুলো পড়ে কিঞ্চিত জ্ঞানার্জন করতে করতে আমাদের গন্তব্য স্থলে এসে দাঁড়ালাম। জায়গাটি ভারি নির্জন। বাতাসের অতিমৃদু সিরসির শব্দ ছাড়া কেমন যেন একটা পবিত্র নিস্তব্ধতা ছেয়ে রয়েছে। পাখিরাও বোধ হয় এখানে ডাকাডাকি করতে ভুলে যায়। মাটিতে হরিণের পায়ের চিহ্ন অনেক – সেই মুসটা কি আজ গ্লেসিয়ার দেখতে এসেছিল!
সামনেই দেখতে পাচ্ছিলাম তুষার-ক্ষেত্র থেকে বেরিয়ে আসা একটি গ্লেসিয়ার বা হিমবাহ বা বরফের নদী। এরপরে যাওয়া যায় না, রাস্তা নেই। রঙ্গলি রঙলিয়ট চা-বাগানের মতো। এক সন্ন্যাসী ভালো চা -পাতার সন্ধানে ঘুরে বেরাচ্ছিলেন। এই চা-বাগানে এসে তিনি সন্তুষ্ট হয়ে বলেছিলেন “এই পর্যন্ত, আর নয়।” সামনে একটা দড়ি বাঁধা আছে, ওটা পেরোনো মানা। কারণ হামেশাই বরফের টুকরো, সে ‘টুকরো’ কয়েক ছটাক থেকে কয়েক টনও হতে পারে, গ্লেসিয়ারের গা থেকে খসে পড়ে।
পাহাড়ের অনেকটা ঢাল বেয়ে গ্লেসিয়ারটি এক জায়গায় এসে খানিকটা সংকীর্ণ হয়ে এসেছে। যাকে বলা হচ্ছে – টো ওফ গ্লেসিয়ার বা গ্লেসিয়ারের পা। বেশ বোঝা যায় ওর পরেই অনেকগুলো ঝরনা কালো নুড়িপাথরের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে, ধারাগুলো মিলেমিশে স্ফীত হচ্ছে, আর একটু পরেই তা পূর্ণাঙ্গ নদীর আকার ধারণ করতে চলেছে।
চোখের সামনে যা দেখছি তা যেন ভূগোল বই থেকে উঠে আসা একটা পাতা – নদীর উৎপত্তি বোঝানো হয়েছে। মনে হলো এরকম একটা জায়গা এ জীবনে সশরীরে দেখে যেতে পারা অশেষ ভাগ্যের ব্যাপার!!
চুপ করে দাঁড়িয়ে চারিদিক দেখছিলাম। মনে হচ্ছিল এই প্রাকৃতিক দৃশ্যের সঙ্গে বিজ্ঞান- দর্শন-সাহিত্য-পৌরাণিক কল্পনা সব জট পাকিয়ে একটা চরাচর জোড়া বিস্ময় চিহ্ন তৈরি করেছে। এই যে চাপ পড়ে বরফ এতো ঠাণ্ডাতেও গলে জল হচ্ছে এ ব্যাপারটা কিন্তু অদ্ভুত। এ জিনিস অন্য কোন কঠিন বস্তুতে হয় না। বরফ এদিক দিয়ে একটি আশ্চর্য ব্যতিক্রম! আর চাপের প্রভাবে বরফের নরম আলকাতরার মতো হয়ে যাওয়াও (ক্রীপ) খুব একটা সাধারণ গোছের ব্যাপার নয়। যদি এই ব্যাতিক্রম না থাকত তাহলে কী হতো? বরফ থেকে নদী জন্মই নিত না! তাহলে সিন্ধু সভ্যতার মতো নদীমাতৃক প্রাচীন সভ্যতা গড়ে উঠত কী করে! কেমন যেন মনে হলো কোন এক অদৃশ্য অজানা অকল্পনীয় বুদ্ধিসম্পন্ন সত্তা এই গোটা ব্যবস্থাটিকে নিপুণ হাতে নির্মাণ করেছেন। আপনা থেকে এত সব হয়েছে তা মানতে মন রাজি হয় না।
মেঘ ঘনিয়েছে আকাশে। পাহাড়ের উপরিভাগ মেঘ-কুয়াশায় জড়িয়ে ঝাপসা লাগছে। যেন তুষার চর্চিত পর্বতের মাথায় মহাদেবের জটা। ওখানে নিশ্চয় ঘন তুষারপাত শুরু হয়ে গেছে। ওরা বলল, “চল এবার যাওয়া যাক, বৃষ্টি বা বরফ পড়লে ফিরতে মুশকিল হবে।”
ঠিক কথা। যেতে হবে। কিন্তু ঠিক সেই মুহূর্ত্তে অনেক দূর থেকে অনেক সময়ের ওপার থেকে কে যেন আমায় বলল, “যেও না, একটু দাঁড়াও।”
কে বলল? ওহ, তুই। একটি কিশোর ছেলে। ছেলেটি আমার মধ্যেই বাস করে। কিশোর বয়সের আমি। বললাম, “আচ্ছা, দাঁড়াচ্ছি, কী বলছিস?”
কলকাতার একটা ছোট্ট ঘরে ষাট পাওয়ারের পুরনো যুগের ইলেক্ট্রিক বাতি জ্বলছে। ছেলেটি তাড়াতাড়ি করে বইএর তাক থেকে তার ইস্কুলের বাংলা পাঠ্যবইটি বার করল। তারপর আচার্য জগদীশচন্দ্র বসুর “ভাগীরথীর উৎস সন্ধানে” নিবন্ধটির লাইনে আঙুল দিয়ে দুলে দুলে পড়তে শুরু করল “নদীকে জিজ্ঞাসা করিতাম, ‘তুমি কোথা হইতে আসিয়াছ? নদী উত্তর করিত মহাদেবের জটা হইতে…”
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন