কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / প্রথম সংখ্যা / ১২১

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / প্রথম সংখ্যা / ১২১

সোমবার, ১ জুলাই, ২০২৪

প্রণব চক্রবর্তী

 

সমকালীন ছোটগল্প


অনার-কিলিং

 

টিমটিম আলো, তবু দূর থেকে দেখা যাচ্ছিলো। অন্ধকার ঘন হয়ে আসা এই মাঠবাথানে আলোর একটা পাতলা ফালি। বিকীরণ অনেকটাই। ঘুরতে ঘুরতে আজ গ্রামের এদিকটায় চলে এলেও ফুরফুরে হাওয়ায় ফেরার তাগিদ পাচ্ছিলাম না। আলোর ফালিটা দেখে ইচ্ছে হলো, যাই, একবার দেখেই আসি আলোর উৎসে কী আছে! হতে পারে কোনো গ্রাম্য চা-দোকান যার সামনেটা দেখতে পাচ্ছি না, কিম্বা অন্য কোনও আয়োজন। যাই থাকুক আমি যাব ও দেখব। ঘুরতেই তো বেড়িয়েছি। ফেরার তাড়াও তেমন নেই। যাদের বাড়ি অতিথি হয়ে এসেছি, রাত ন'টার মধ্যে খাওয়া শেষ করে ঘুমের ঘরে চলে যায় সব। আমি আর রাত মুখোমুখি রোজই তো অনেক কথা হয়। আজ না-হয় ব্যতিক্রম কিছু হলোই।

সামনে একটা ঘর দেখা যাচ্ছে। বিচুলী ছাওয়া মাটির ঘর। খুবই চুপ পায়ে এগোচ্ছি, যাতে কোনভাবেই আমার নীরব অনুক্রমণ, কোনও সাড়া না পৌঁছে দেয় ঘরের ভেতর।  ঘরের সামনের দিকে অন্ধকার, আলোটা তবে ঘরের ভেতরের। পেছনের কোনও ফাঁক দিয়ে বাইরে ছুটেছে। আলো যদি ভেতরের হয়, তবে ভেতরই দেখব। গোপনে কেমন আবিষ্কারগ্রস্ত হয়ে গেছি। আলো-হন্টেড, আলো-উৎসের অভিমুখে এক ব্যক্তি-অভিযান। প্রায় যতোটা এগোলে ঘরের ভেতরটা দৃশ্যগোচর হয়, এসে গেছি। আলোর রেখা ধরে ধরে এগোচ্ছি বিড়াল পায়ে। ভয় আছে। যদি সাপ ধরে দুপায়ে জাঁকিয়ে, বাইরের কাউকে দেখে যদি মানুষ ধরে দুহাতে সাপটে, যদি আচমকা লাঠির বারি মাথা ফেটে যায়-- যাই হোক, জানার নেশায় এখন বুঁদ। আলোর রেখা বেয়ে বেয়ে যেখানে পৌঁছোলাম তাকে জানলা বলা না গেলেও বড় ঘুলঘুলি বলতেই হবে। তাতেও ঝুলছে এক দরমার ঝাঁপ। আর সেই ঝাঁপটাই পুরনো হয়ে একপাশে খোদল হয়েছে। আলোটা তাই এই খোদলের পথেই বেরিয়ে আসায় এতটা রুগ্ন তথাপি আলো হয়েই আছে। কিছুটা নিশ্চিন্ত হলাম এই কথা ভেবে যে, এই খোদলের কৃপাতেই ভেতরকে আমি দেখলেও ভেতর আমাকে দেখতে পাবে না। ব্যাস, নো মচমচ, নো খচখচ, স্থির হয়ে এগিয়ে চলো ভাই, সম্মুখে সফলতা আছেই--।

খোদলে আলো টিপ করে রাখলুম চোখ। প্রথমে সন্তর্পণে একচোখ, পরিমাপ করে দেখলাম দুচোখই লটকানো যায়। জয় আলো, ভরসা করেই দুচোখ মারতেই চোখ ছানাবড়া। একি দেখছি ঘরের ভীতর! লন্ঠনের আলোয় বুকচিতিয়ে দাঁড়ানো তন্তুহীন এক নগ্ন মহিলা। কুচকুচে কালো। হাতে চকচক করছে গাছ কাটার হাত-দা। রক্ত লেগে আছে তখনও টাটকা। আর মহিলার বাঁহাতে শক্ত করে কিছু ধরা আছে, নীচে শায়িত রক্তাক্ত ব্যাটাছেলের নগ্ন দেহ, লিঙ্গস্থান ভেসে যাচ্ছে রক্তে রক্তে। একটু ভালো করে দেখেই বোঝা গেলো ব্যাটাছেলেটির লিঙ্গটি কর্তিত হয়েছে। অর্থাৎ মহিলার বাঁহাতে তবে শক্ত করে ধরা শায়িত পুরুষটির ছিন্নলিঙ্গ! এবং নড়াচড়াহীন সারাগায়ে রক্তের ধারা দেখে বোঝাই যাচ্ছে মৃত না-হলেও প্রায়মৃত অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে।

এ দৃশ্যের গোপন অবলোকনে বা গোদাবাঙলায় ফুচি মেরে দেখায়, আমার অবস্থা ঝরঝর। পুরোপুরি মুতে না ফেললেও অন্তর্বাস যে কিছুটা সিক্ত হয়েছে টের পেলাম। আরও বিপদে পড়লাম পালানোর কোনও উপায় না দেখে। মহিলার যা ক্ষিপ্ত ও রক্তস্বাদে তীব্র নগ্নতা, এখন যে কোনও রকম প্রতিকূলতায় তার হাতের দা ঝলসে উঠবে রক্তাক্ত উল্লাসে। সুতরাং ছোটবেলার স্ট্যাচু খেলার অভ্যাস মনে পড়লো। দম আটকে স্থির হয়ে থাকা। এবার দেখলাম, মহিলা দুহাঁটু মাটিতে গেড়ে বসে, নীচের বাকশক্তিহীন যন্ত্রণাবিদ্ধ শায়িত পুরুষ শরীরটাকে একটু কাৎ করে ঘাড় বরাবর পাঁঠাকাটা এক কোপ বসিয়ে দিতেই মুণ্ডুটা শরীর থেকে প্রায় ৮০ শতাংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলো। মহিলা এবার উঠে বেশ হিসহিস করতে করতেই বলে যাচ্ছে-- খানকীর ছেলি, একা পেয়ি চোদাতে এয়েছিলি, ওই ধোন তোর বাপের পোঙায় ঢুকায়ে দেবো। বেহুদ্দা মদ্দা, বেগ চেপেছে, ঘরে তোর মাগীরে যাইয়ে চোদাতে পারলি নে, ছেনালের মতো গন্দ শুঁকি শুঁকি এহানে এয়েছে মইরতে। ভেবেচে মেয়েছেলেরে একা পায়লেই তারে ধইরে চুদি দেয়া যায়।-- দিয়িছি আজ, কায়দা কইরে কাপড় খুইলে গুয়োর ব্যাটার জন্মের মতো চোদানের শখ একেবারে মেটায়ে দিয়েছি-- কথা বলতে বলতেই মহিলা ঘরের এককোণ থেকে একটা কোদাল বার করে নিয়ে মাটির ঘরের মেঝেতেই একটা দিক কোপাতে শুরু করলো। আপ্রাণ শক্তি দিয়ে সেই রক্তমাখামাখি ন্যাংটো মহিলা, মাটি কোপাতে কোপাতে একটা দিকে লম্বা একটা গর্ত খুঁড়ে ফেললো। বোঝা যাচ্ছে তার মাথায় দ্রুত এই মরাটাকে লুকোনোর জন্য মাটি চাপা দেবার বুদ্ধি খেলে গিয়েছে। পালানোর কোনও ঝুঁকি না নিয়ে আমিও শেষটা দেখবার বাসনাকে অবদমিত করতে পারলাম না।

ধীরে ধীরে গর্ত হলো, নিজের হাতেই সেই রক্তাক্ত মৃতদেহটাকে টেনে নিয়ে সে হাত দিয়ে, পা দিয়ে লাথিয়ে দেহটাকে ফেললো গর্তে। তারপর আবার কোদাল দিয়ে মাটিগুলো ফেলে সেই গর্তটাকে বুজিয়েও দিলো। কী শক্তি লাগিয়ে কাজ করছে মহিলা, উদোম এবং উদ্দাম। আর আমি দাঁড়িয়ে আছি তার একহাত দূরের মাটির দেয়ালের এপিঠে। পরীক্ষা দিয়ে চলেছি আমার স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে থাকবার ধৈর্যের। মাটি চাপা দেয়া হলে, ঘরের এককোণে রাখা মাটির একটা গামলায় রাখা জল টেনে নিয়ে এসে ঘরের মধ্যেখানে রেখে একটা ত্যানা দিয়ে সেই মাটিচাপা জায়গাটা ভালো করে লেপে ঘরের মেঝে বানিয়ে ফেললো আবার। এবার শুরু হলো ঘর থেকে দা ও নিজের শরীর থেকে রক্ত মুছে ফেলার কসরৎ। প্রথমেই গামলার জল মাটির মেঝেতে কিছুটা ছড়িয়ে দিয়ে ত্যানা দিয়ে ধীরে ধীরে মুছতে লাগলো আর ত্যানা চিপে সেই গামলাতেই ফেলতে লাগলো। মাটির মেঝেটা আলোতে ভেজা লাগলেও পরিষ্কারই মনে হলো। এবার গামলায় দা-টা ধুয়ে ফেলে সরিয়ে রাখলো। তারপর ছেঁড়া চাতাইটা তুলে গুটিয়ে গামলার উপর নিয়ে, দর্মার দরজাটা ফাঁক করে অন্ধকারেই বাইরে বেরোলো সে। আমি কিছুটা নিরাপদ বোধ করলাম এই কারণে যে, হাত-দা মহিলা ঘরেই রেখে গেছে। দরজা দিয়ে এদিকে এলেও আমার মরবার ভয় নেই, মহিলাকে ছিটকে ফেলে আমি পালিয়ে যেতে পারবো। যাই হোক, যেহেতু জায়গাটা অন্ধকার এবং আশেপাশে তেমন কেউ থাকে বলেও মনে হয়নি, সেই নিঃস্তব্ধতায় হঠাৎই জলভাঙার আওয়াজ কানে ভেসে এলো। তার মানে পাশে কোন জলাশয় মানে খালটাল বা পুকুরের মতো কিছু আছে। দেখা যাক মহিলা ঘরে ফেরে কিনা!

মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই দেখলাম মাদুর বাইরে রেখে জলের গামলাটা নিয়ে ভিজে সপসপে মহিলা ঘরে ঢুকে গামলাটা যে কোণায় থাকে, সেখানেই রেখে এলো। তারপর ছেঁড়া একটা কাপড়ের টুকরো টেনে নিয়ে নিজেকে মুছে নিলো। না, এখন কোনো রক্তের দাগ আর দেখা যাচ্ছে না। পুরো নগ্ন হয়েই নির্দ্বিধায় সব কাজ করে যাচ্ছেন মহিলা। এবার ঘরের কোণে পড়ে থাকা ছেঁড়াফাড়া শাড়িটা তুলে নিয়ে দেখলো রক্তটক্ত লেগেছে  কিনা, বোধহয় ছড়িয়ে যাওয়া রক্তের দাগ কিছু লেগে আছে দেখে, সেটা হাতে আবারও আমার অদেখা সেই জলের উৎসে গিয়ে সেটাকে ভালো করে ধুয়ে নিয়ে এসে ঘরেরই এক দড়িতে টাঙিয়ে দিলো। আরও একটু বেশি ছেঁড়া কাপড় নিয়ে শরীরে জড়িয়ে একটা পিঁড়ি পেতে বসলো। তারপর একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকে সেই মাটি চাপা দিয়ে লুকিয়ে ফেলা মাটিলেপা মেঝের দিকে। চোখদুটোয় এখনও এত ধার, পাথরের ছুরির মত সেই স্থির দৃষ্টি। আর বাইরে দাঁড়িয়ে আমার মাথায় খেলা করছে অন্য ভাবনা—

বাইরের ঝুম অন্ধকারে টিমটিমে লন্ঠনের আলোয় দরোজা ভেজানো এই ঘর, ঘরের মানুষী, তার ক্রোধ নির্বাপণের পরের মুহূর্তে এই নৈঃশব্দ। ঘরের মধ্যে মাটি চাপা দেওয়া সদ্য নিজের হাতে কুপিয়ে খুন করা এক টাটকা লাশ, বাইরের শব্দহীন শান্ত জলাশয়, আর চারপাশে ধু ধু করা ফসলহীন মাঠ-- দূর থেকে শিয়ালের ডাক ভেসে আসতেই, মহিলা কিভাবে এ ঘরে থাকবে, সে ভাবনা আমাকে পেয়ে বসে। কি করে একা থাকবে মহিলাটি! এরকম একটা ভাবনা নিয়েই আপাতত নিজেকে এখান থেকে দূরে নিয়ে যাওয়ায় তৎপর হয়ে উঠি। দু-এক মুহূর্ত নিজেকে নিজের কাছে ফিরিয়ে নিয়ে এসে, যেভাবে চোর পায়ে এই আলোর রেখার উৎস সন্ধানে ঝাঁপ-ফেলা জানলার পেছনে এসে দাঁড়িয়েছিলাম, তেমনই চোর পায়ে নিজেকে তুলে নিয়ে নিঃশব্দে ফিরে চললাম আল পেরিয়ে মাঠ পেরিয়ে দূরে অই গ্রামপথের দিকে। অনেকটা এসে গেছি, হঠাৎই দূর থেকে এবার কানে আসে প্রথমে এক নারীকণ্ঠে আর্ত-চীৎকার "বাঁচাও, বাঁচাও" এবং তার সাথেই অনেক মানুষের গলায় আগুন, আগুন... ! পেছন ঘুরে তাকিয়ে দেখি, আঁধারের যেদিক থেকে এইমাত্র আমি ফিরছি সেদিকেই দূরে লকলকে শিখায় দাউদাউ জ্বলছে আগুন। কি করে ছেড়ে যাব এ দহনপর্ব! যে পথে এগোচ্ছিলাম সে পথেই বেশ কিছুটা ফিরে এসে নিশ্চিত হলাম মহিলার সেই ঘরটাই এবার আর আলো নয়, আগুনের উৎস। বুঝতে অসুবিধে হলো না, মহিলা সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েই নৈঃশব্দের বাইরে এসে দাঁড়িয়েছেন। ওই ঘরে এক সুস্থ মানুষীর একা রাত্রি এবং রাতের পর রাত কাটিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। ঘর পুড়ুক, ঘর বেঁধে নেয়া যাবে, এখানে কিম্বা পাশে কোথাও, তবু নিজের হাতেই বসত ঘরের মেঝেতে এক শব পুঁতে রেখে প্রত্যহ যাপন, পাগল ছাড়া সম্ভব নয়। মহিলা সুস্থ মনের মানুষ। সুস্থ মানুষ বলেই তার মনের ওপর চেপে আসা পাথর, নিঙড়ে ফেলার বুদ্ধিগ্রাহ্য সিদ্ধান্ত তিনি নিতে পেরেছেন। আমি এও নিশ্চিত যে, এ ঘরে আগুন মহিলা নিজেই লাগিয়েছেন। অজান্তেই কখন তাকে প্রণাম জানিয়ে ফেলি।

আত্মসম্মান বোধসম্পন্ন এ নারী যেন বাংলার হৃদয় নিংড়ে উঠে আসা। ঘরের ওই শান্ততায় পিঁড়ি পেতে বসা মহিলার স্থির ও দীঘল দৃষ্টির মধ্যে তার সিদ্ধান্ত গ্রহণের পরবর্তী রসায়ন আমার ভাবনার অতীত ছিলো। আমার ভাবতে ভালো লাগছে বা এটাই ভাবতে চাইছি, একটা মৃতদেহের ত্রাস থেকে মুক্তি পাবার তাগিদে এর থেকে কার্যকরী সিদ্ধান্ত আর কিছু হতেই পারে না। আমি শহুরে, কিছুটা শিক্ষিত হয়েও, গ্রাম্য এক মহিলার উপস্থিত বুদ্ধির পরিচয় পেয়ে গ্রামজীবন সম্পর্কে ধারণাটাই যেন বদলে যেতে থাকলো।

যে পারিপার্শ্বিককে সেই সন্ধ্যার অন্ধকারে মানুষহীন নির্জন ভেবে এসেছিলাম, অনেক মানুষের কোলাহলে সে ভুলও ভেঙ্গে গিয়ে দেখতে পাচ্ছি লকলকে আগুনের শিখায় অনেক মানুষ লাঠি হাতে কেউ চাল ভাঙছে ঘরের, ভাঙছে দেয়াল, কেউ বালতি থেকে হয়তো ছেটাতে চাইছে জল। আগুন দুর্বিনীত। সবকিছু পোড়া নিয়ে ঘরের মেঝেতেই পড়ে থাকে বাঁশ, ছাই, মাটিচাপা লাশও! আর ওদিকে এগিয়ে কি হবে! সময়ও নেই হাতে। যাদের অতিথি আমি, তারা বসে থাকবে খাওয়া-ঘুম ফেলে। কারণ ঘড়ির কাঁটা নটা পেরিয়ে গেছে বেশ কিছু আগে। সকাল হওয়ার প্রতীক্ষা নিয়ে ফিরে গেলাম আমারও অস্থায়ী ঠিকানার দিকে।                                           

 

        


2 কমেন্টস্:

  1. গল্প পড়লাম। শিরোনাম বারবার। আবার গল্পটা। বর্ষা নেমেছে বোধহয় বাইরে। অথচ আগুনের উত্তাপ টের পাচ্ছি সমস্ত শরীরে। অন্ধকার, মার্জার প্রতিম হেঁটে যাওয়া এবং সেই রক্তমাখা আলো। সিক্ত এবং দীঘল চোখ। তার। শুনি স্বগতোক্তি। কি এক কষ্টে আকুল হয়ে উঠি। অত:পর সেই আগুন। কাকে দাহ করছে ঐ আগ্রাসী শিখা! প্রণাম করি সেই নগ্নিকাকে। এমনভাবেও তবে অনার কিলিং হয়! আমি কৃতজ্ঞতা জানাই এই কলমকে। আলো আসুক। এভাবে অথবা যে কোন উপায়ে।
    শুধু একটা কথা। শেষের দুটি প্যারাগ্রাফ অতিরিক্ত হয়ে গেল না তো!
    ভালো থেকো।

    প্রশান্ত গুহ মজুমদার

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. পড়ব আবার। অত্যন্ত বিচক্ষণ অভিমত। সংলাপ বিষয়ে স্বস্তি পেলাম। শেষ প্যারা বা একেবারে শেষাংশ দেখে নেব। প্রশান্তদা, এই অভিভাবকত্বটুকু হারাতে হলেও কষ্ট পাবো ! সুস্থ থাকুন সবাই!
      লিখিয়ে

      মুছুন