কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২২

নিমাই জানা

 

কবিতার কালিমাটি ১২২


বাবা ও আমার কিছু অ্যানাফেজ ঈশ্বরের চতুর্থ লিঙ্গ

আমি মৃত আয়নায় পবিত্র মানুষদের সদবিম্ব দেখে আঁৎকে উঠি বাবার অ্যানাফেজ পোশাক দেখে, চতুর্থ বন্ধনীর উট পাখিদের নিয়ে আমাদের সংক্রমণ তন্ত্র পড়িয়ে দিচ্ছে কেউ, আমরা শুধু রক্ত জমাট নিয়ে প্রতিদিন রাতেই বিছানার চারপাশে এক একটা ময়ূরের পঞ্চম লিঙ্গ আবিষ্কার করে ফেলি, বিষুবচিহ্ন শরীরের স্পর্শ নিয়ে একা একা শিউলি সামন্ত কতবার শূন্য বিভাজ্যতার হাসি হাসতে হাসতে সংসার ছেড়ে যাচ্ছে দিগম্বর পুরুষের সাথে

সকলেই পবিত্র পুরুষের মতো দাঁড়িয়ে আছে নীলাভ বাঁশির ভেতর অমৃত ধনরত্ন নিয়ে , ধান বীজ লুকিয়ে থাকে চাঁদের আলোর রক্তস্নাত ছায়াটিকে নিয়ে

অষ্টাবক্র মধ্য দুপুরে এসে অসংখ্য সম্প্রদান কারকের  রসায়ন শরীরের উপর থাকা কৃষক পুরুষের অনাবাদি জমিতে কিছু যৌগিক ফলের অভিশাপ রেখে যাচ্ছেন, পরজন্মের হিমোগ্লোবিন মাখা রথচক্রটি একা একা কৃষ্ণের মূর্তি ভেঙে ফেলছেন হস্তিনাপুরের অন্তঃপুরে

নৃসিংহ চিহ্নের সব শুকতারাগুলো সুপুরুষের শরীর নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে বারবার বিলীয়মান রং হয়ে গেছে,

কোন এক নাবিক মধ্যপ্রহরে এসে শুক্র চিহ্নটিকে ভরে রাখে নিজের অযোগবাহের কাছে

আমরা শুধু এক অ্যাসিটিক এসিডের ঠোঁট নিয়েই কঙ্কালসার পঞ্চম বন্ধনীর উপর কিছু যৌগিক স্ত্রীলিঙ্গ রাখলাম অতল গর্ভগৃহের বংশগতি রক্ষায়

পিচ্ছিল হয়ে যাওয়ার পর আমি নিষিদ্ধ জাহাজ থেকে ১৩টি পালক ৪৯টি রক্তকণিকা নিয়ে প্রতিটি মরচে জানালার কাছে মিলিয়ে দিচ্ছি ব্রহ্মমুহূর্ত দেখব বলে,

ঈশ্বরী প্রতিদিন ঘোড়ার পাঁজরের ভেতরে লাল টকটকে পদ্ম ফুলের চাষাবাদ করছে বলে কালিদহের একটি সাদা রঙের পুরুষ স্থলপদ্ম পেটের কাছে দ্বিখণ্ডিত পৃথিবীর আদিম ভগ্নাংশ লুকিয়ে রাখত

 

অন্তর্বাসহীন মেসোপটেমিয়া ও আস্তিক্য পুরুষের গর্ভাশয়

অন্তর্বাসহীন একটি খেয়াঘাটের ওপর পশ্চিম বাড় নেমে আসে শূন্য হয়ে যাওয়া আত্মিক সম্পর্ক ফেলে মৃত্যুকে কখনো কখনো তরোয়ালের মতো স্ফটিক স্তম্ভ বলে মনে হয়

আমার অসংখ্য মুদ্রাদোষ আর কিছু আকাশমনি গাছের স্তম্ভমূল নিয়ে ঋণাত্মক মেসোপটেমিয়া দেখার জন্য আমি চির অপেক্ষায় থাকি একটি নিহিত ফল দোকানের পাশে, সেখানে একটি আধি দৈবিক কৃষ্ণাঙ্গ নারী নেমে আসে, আমিও তার নৌকায় চতুর্ভুজ বাহুগুলো রেখে দিচ্ছি শুকনো কাঠের জ্বালানি ভেবে

মৃত্যু শরীরের মতো জায়মান আমাদের পর্যায় কালের তৃতীয় লিঙ্গের অসুখেরা বর্ণহীন করে যাচ্ছে পুজোর স্বস্তিক উপাচার সমগ্রকে

লাল পথের কাছে এসে অন্তর্বাস বিক্রেতা অদ্রিজা নারীটি বারবার অবিভাজিত হয়ে যায়,

আমি শুধু ঘুমের ঘোরে সেই ইন্দ্রপ্রস্থ পুরুষ মানুষটির কথা ভাবি যে ১১৫ দিন কুরুক্ষেত্র বিছানার উপর নিজের শিরদাঁড়াটিকে বারবার ভেঙে ভেঙে খেয়েছে স্যালিসাইক্লিক ও ভিটামিন ডি থ্রি চামচ ও মাইয়োকোবালামিন তরুক্ষীর দুধ ফোঁটা মিশিয়ে, আঙ্গুলেই মথুরাপুরুষ খেলা করছে

হলুদ পাখির মতো আর কোন নির্জনতার উপসর্গ নেই সাতবেটিয়ার মোড়ের মাথায় শুধু নির্জনতার পরিচ্ছদ পরে থাকা খাদক সাপকে আড়াল করে সবাই

তারপর, তারপর আমাদের শরীরের সব জ্বর শেষ হয়ে গেলে কোন এক কীর্তনীয়া কোমর বন্ধনীর স্নায়ুতন্ত্র গঠিত এক জটিল রোগে ভোগার পর একা একাই শ্রীখোল নিয়ে নেমে যায় বিষ্ণুপুরের পাতাল গর্ভের ভেতর

মিথিলার ১১জন আস্তিক্য পুরুষ অর্ধবৃত্ত পর্দা ছিঁড়ে খাচ্ছেন সন্মার্গ শরীর নিয়ে

 

বিহারীচক ও নীল আমনের আপতন কোণ

আমার কোন কোন পরকীয়া একলব্যের মতো বিংশতিতম গোলাপ ফুল নিয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনছে কর্কটক্রান্তি রেখার উপর দাঁড়িয়ে

বানপ্রস্থ থেকে ফিরে আসা এন্টিহিস্টামিনিক ত্রিশূল খণ্ডকের মাথায় ব্রহ্মাস্ত্র নিয়ে আদিম যৌগ খন্ডে বসে আছি অপলক সমর্পণ চিহ্নের হাতটি প্রসারিত করে, এসো কৃষ্ণ, এসো কৃষ্ণ আমাকে কোন এক প্রাচীন অভয়ারণ্য নিয়ে চলো

ধ্বংসাবশেষ হীন বিহারীচকের মতো আপতন কোন আর কিছু ট্যানজেন্ট রোদের কাছে বারবার আমার অভিশাপগ্রস্ত দুটো চোখে অর্জুনের শাঁখের খন্ড বেজে ওঠে, গলে যাচ্ছে শিরদাঁড়া, গলে যাচ্ছে নাসারন্ধ্র, গলে যাচ্ছে মাংসল ঘিলু আর পশ্চাৎ মস্তিষ্ক,

খণ্ডিত ঈশ্বর মাঝে মাঝে আমার দুটো হাতের উপর কিছু বাদাম ও শর্করা ফুলেদের জননতন্ত্র রেখে মিলিয়ে যায় সর্পিল দেহের ভেতর, আমি নংতৎ পুরুষের মতো ভৌতিক দেহে মিলিয়ে যেতে চেয়েছিলাম চতুর্থাংশ পিরিয়ডিক্যালে

আমরা তখন আমন ধানের মতো সহবাস করছি

কোন বিস্ময়সূচক চিহ্নের গর্ভপাত দেখা যায়নি ময়ূরীর তৈলাক্ত বীর্য খেয়ে নেওয়ার চূড়ান্ত মুহূর্ত অবধি

এখানে জানালাকে আপতন কোণ দিয়ে ভাগ করে আকাশকে যৌনচিহ্ন ভেবে লুকিয়ে রেখেছিল চতুর্থ সম্পাদ্য খাতার অবৈধ বিরজাসুন্দরীরা, মাঝে মাঝে ইন্দ্রিয় শিথিলতার ওষুধ খেয়ে নিচ্ছে কালো চাদর মোড়া বেদানা রঙের পুরুষ ফুলের ছায়ামানুষ,

সকলেই ঈশ্বরের দিকে মাথা রেখে চুম্বকত্ব হারিয়ে ফেলেছিল সেফালিক্সিন খাওয়ার পর যাদের গতিশক্তি নিম ফলের মতো, ঈশ্বরের সর্বাঙ্গ তৈরি করে ফেলেছে মৃৎশিল্পীর গোপন কক্ষে বসে থাকা নর্তকী

মাঝে মাঝে ঈশ্বরের কাছে এসে আমার রামধনু রঙের পরিচ্ছদ পাল্টে বিদুর হয়ে যায়

আমার প্রিয় নারীটি অভয়ারণ্য থেকে বেরিয়ে মসৃণ সাপের স্বপ্ন দেখে অধাতব হয়ে গেল, আমি শুধু জ্যামিতিক কেন্দ্র বিন্দুতে তরল পিথাগোরাস বিষ ঢেলে চলি কৃষ্ণনগরের নারীদের জন্য

 

 


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন