কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২২

শিবাংশু দে

 

সুনীল গাঙ্গুলি ভেবেছে সারারাত




দশ বছর আগে। তখন থাকতুম ভুবনেশ্বরে। পুজোর ঠিক আগে যাচ্ছিলুম বনারস। বেলা হয়েছে। কোডার্মা পেরিয়ে গাড়ি তখন জঙ্গলের ভিতর ঢুকে গেছে। পাগলের মতো ছুটছে এক্সপ্রেস গাড়ি। চারদিকে বর্ষা পেরিয়ে আসা দামাল সবুজ অরণ্যে শরতের রোদ পড়ে হলদে-সবুজ প্রাণ উচাটন। একটা ফোন এলো। কলকাতা থেকে এক নবীন বন্ধু ফোন করছিলেন। বললেন, 'পারিজাত' থেকে ফিরছি। সুনীলদা আর নেই।

সেই মুহূর্তে ঠিক কী মনে হলো, ভুলে গেছি। মনে পড়ছিলো বছর খানেক তাঁর সঙ্গে হায়দরাবাদে কমলকুমারকে নিয়ে খুনসুটি, ছদ্ম বিতণ্ডা। তিনি কখনই আমার প্রিয়তম লেখক ছিলেন না। কিন্তু তাও তো ঠিক কসম খেয়ে বলা যায়  না! আমি তাঁর অনুগত পাঠক ছিলুম না। যা ছিলুম, সেটা হলো ওস্তাদ মিস্ত্রির আনাড়ি হেল্পারের মতো তাঁর লেখা দেখে শিখছি। তাঁর লেখা পড়ে বাংলা লিখতে শিখেছি লম্বা সময় ধরে। তাঁর কবিতা নিয়ে এই মুহূর্তে কিছু  বলবো না। প্রসঙ্গ, তাঁর গদ্য। বিশেষত ফিকশন। 'প্রিয়' লেখক না হলেও, বাংলা লেখার গাইড তো ছিলেনই। 'গুরু'? হয়তো বলা যায়।

প্রিয় লেখককে নিয়ে মুগ্ধতা খুব স্বাভাবিক। যেমন প্রিয় নায়ক বা প্রিয় খেলোয়াড়। এই 'প্রেয়তা' আসলে কাঁচের দেওয়াল, চোখের কাছে স্পষ্ট, বাধাহীন, স্পর্শসম্ভব। কিন্তু ঘটনাটা সেভাবে ঘটে না। চোখ ছুটে চলে, মনটাও; কিন্তু ছোঁয়া যায় না। কবি বা লেখকরা যে চরিত্র বা অলীকজগতকে তাঁদের সৃষ্টির মধ্যে দিয়ে আমাদের কাছে নিয়ে আসেন, তাঁরা নিজেরা কিন্তু সেই জগতের অধিবাসী ন'ন। ধরা যাক, সেই কিংবদন্তি সময়ের শীর্ষেন্দু। সদ্য কলেজে গিয়েছি তখন। প্রতি সপ্তাহে 'যাও পাখি' ছিলো আমাদের বন্ধুদের আকাঙ্ক্ষার ঘর। আমি হয়তো তার  আগে 'পারাপার' বা 'ঘুণপোকা' পড়ে ফেলেছি, অনেকেই তখনো তা পড়েনি। 'যাও পাখি' আসছে একটা প্রজন্মের ভালোবাসার গীতগোবিন্দম। আবার বিচ্ছেদের মাথুরকীর্তনের মতো অমোঘ অভিঘাত নিয়ে। শীর্ষেন্দু পরবর্তীকালের ‘আশ্চর্যভ্রমণ' ছাড়া আর কোনও গল্প-উপন্যাস উত্তমপুরুষে লেখেননি। ফলে তিনি নায়ক বা মূলচরিত্র ন'ন। তিনি কৃত্তিবাস ওঝার মতো একটা কথকতা করে যাচ্ছেন। কিছু চরিত্র, বেশিটাই চেনা, আবার অনেকটা অচেনা স্বভাবের কোণ নিয়ে তাঁর অননুকরণীয় বাংলা গদ্য। পাঠক একেকবার একেকটা চরিত্রের সঙ্গে নিজেকে মিলিয়ে নিচ্ছে। বহরু, সোমেন, রিখিয়া, নিশ্চুপ কুকুরটি বা নিষ্প্রাণ আসাহি পেনট্যাক্সের মৌন লেন্স। একটা শাদা কাগজে প্রিয় সম্বোধনটুকু শুধু লেখা রয়ে গেলো। চিঠিটা আর লেখা হলো না। আমার এক বন্ধু, সেই বয়সে এতোটা পড়ে শ্বসিত আক্ষেপে বলে উঠলো, আর পারছি না। সেকালে ফিকশন পাঠককে এভাবেই নাড়িয়ে যেতো।

লেখক যখন আঙুল রাখেন পাঠকের নাড়িতে, তখন  তিনি পাঠক ন'ন। তিনি শীতল সতর্ক এক ডাক্তার। নিদান খুঁজে বেড়াচ্ছেন মানুষের ভালোবাসা-আনন্দ-বেদনার পাশে শুয়ে থাকা অসম্পূর্ণ আকাঙ্ক্ষার শরীরটিকে কিছু শুশ্রূষা এনে  দিতে। কিছু উপশম, কোনও আশ্বাস, কিয়ৎ পূর্ণতার প্রতিশ্রুতি, পাঠক তো লেখকের কাছে এটুকুই চায়। রক্তমাংসের লেখকটি যখন সামনে আসেন, তখন তিনি সুঠাম, দীঘল শরীরের এক প্রত্যয়ী মানুষ। যিনি হতে পারতেন ময়ূরাক্ষী ব্যারেজের একজন ইঞ্জিনিয়র অথবা ওষুধ কোমপানির সফল বিক্রয় অধিকারী। কিছু আতিশয্যও আছে তাঁর। সদব্রাহ্মণ ছাড়া কারোর হাতের রান্না খান না। এক ধর্মসাম্রাজ্যের সামন্তপ্রধান ঐশীগুরুকে তাঁর সব সৃষ্টি উৎসর্গ করে যান। বাংলাসাহিত্যে তার আগে কখনও এরকম সৃষ্টিছাড়া নিরেট ধর্মীয় আনুগত্যের কোনও নিদর্শন কেউ স্থাপন করেননি। প্রথম দর্শনে মনে হতে পারে, পাতি ছাপোষা বাঙালি পেটরোগা মধ্যবিত্ত মানুষদের মতো প্রেডিক্টেবল। যাঁরা পঞ্চাশ বছর বয়স হলে কোনও প্রেসিডেন্ট মহারাজের খোঁজ করেন। এবার তো একটা দীক্ষা নিতে হবে। দিন ফুরালো, হে সংসারী। এমন লোক 'যাও পাখি', 'মানবজমিন', 'দূরবীন' লেখেন। সাধারণ পাঠকের অবিশ্বাস্য লাগে। আসল অস্তিত্ত্ব কোনটা? ব্যক্তি লেখক, না তাঁর লেখা?

তর্কে ছিন্নভিন্ন করতে চাই তাঁকে। চায়ের দোকানের আড্ডায় কিশোর আমিকে দেখিয়ে বলেন, আমার এই ভাইটি এতো মন দিয়ে আমার লেখা পড়ে, অবাক হয়ে যাই। তবে আমার গুরুপ্রসঙ্গ নিয়ে আমি কিছু বলবো না, একেবারে।

কিন্তু আজ তো আমি তাঁর কথা নিয়ে লিখছি না। তিনি এই লেখায় আসছেন শুধু একটি প্রেক্ষাপট হয়ে। একটা বিশেষ প্রজন্মের প্রধান সাহিত্যজীবীদের অন্যতম প্রতিভূ হিসেবে। যাতে, যাঁকে নিয়ে এই মূহূর্তে লেখার কথা ভাবছি, তাঁর  প্রতিবিম্বটি সমকালীন প্রসঙ্গবিন্দুর ধরাছোঁয়ার মধ্যে আসতে পারে। লিখছি তো অন্যজনের কথা। একটি ব্যবসায়িক সংবাদপ্রতিষ্ঠানে তাঁর পাশের চেয়ার টেবিলটিতে বসে যে অপর বাঙালি নিরন্তর, নিশ্ছিদ্র নিষ্ঠায় সহস্র সহস্র পৃষ্ঠা বাংলা উপাখ্যান লিখে রেখে গেছেন। দু'জনে মিলে বাংলা গদ্যের একটা সময়কে শাসন করেছেন অবিসম্বাদী প্রতাপে। মিল বলতে দুজনেই মিতবাক, সুভদ্র, কেতাবি বাঙালি 'ভদ্রলোক'। অমিল কিন্তু অনেক। তাতে কীই বা এসে যায়। বৃক্ষ তোমার নাম কি? ফলেন পরিচীয়তে।

সুনীল কিন্তু শুধু একজন লেখক ন'ন। তিনি রবীন্দ্রউত্তর বাংলাসাহিত্যের, প্রথম, সম্ভবত একমাত্র বহুমুখী উৎপাদনশীল ভারি শিল্প। এ পর্যন্ত তাঁর সম্বন্ধে যা কিছু লেখা আমি পড়েছি বা আলোচনা শুনেছি, কোনটা দিয়েই তাঁর সামগ্রিক রূপটি ধরা যায় না। তাঁকে বাংলাসাহিত্যের অমিতাভ বচ্চন বলা যায় বা ওয়ারেন বাফেট। নিজেকে 'নিছক পেশাদারি' আখ্যা দিয়ে একজন প্রধান বাংলা লেখক প্রথম গেম চেঞ্জিং-এর চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন। নাম, সমরেশ বসু। সুনীলের ধরনটা ওরকম ছিলো না। নিজের 'সাহিত্য-আদর্শ' নিয়ে তিনি কদাপি কোনও রকম উচ্চকিত ধ্যানধারণার বিপণন করতেন না। তা সত্ত্বেও  সত্তর দশক থেকেই সুনীলের 'সাহিত্য' সমরেশের 'সাহিত্য'কে চ্যালেঞ্জ করতে শুরু করেছিলো। বাণিজ্যিক সাফল্যের বিচারে বা জনমনোহরণের নিরিখে সুনীল সমরেশকে বেশ খানিকটা দূরে ফেলে দিয়েছিলেন। অন্তহীন লেখার তাগিদে উৎসারিত মন্থিত বর্জ্য রচনার মাপেও তিনি হয়তো প্রথম স্থানে থাকবেন। কিন্তু যতো নগণ্য গদ্য-পদ্যই হোক না কেন, তিনি রচনায় নিজের ব্র্যান্ড চিহ্নটি অনায়াসে মুদ্রিত করে দিতে পারতেন। অনেকেই তা পারেন না।

তাঁর সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয় 'আত্মপ্রকাশ' পড়ার সূত্রে। সুনীলের একটা প্রধান লক্ষণ উত্তমপুরুষে ন্যারেটিভ তৈরি করা, গদ্য-পদ্য উভয়তঃ। যেটা শীর্ষেন্দুর ক্ষেত্র নয়। তাই যেসব উপন্যাসে সুনীল কথকমাত্র, যেমন 'একা এবং কয়েকজন, 'সেই সময়', 'প্রথম আলো, 'পূর্ব-পশ্চিম' ইত্যাদি, সেখানে তিনি সম্পূর্ণভাবে পশ্চিমের মাস্টারদের নভেল নির্মাণের কৌশলটি প্রয়োগ করছেন। উদ্দেশ্য, পাঠকদের গল্প, গল্প এবং গল্পের অতল সমুদ্রে ডুবিয়ে রেখে পড়ার রস উপভোগ করানো। পাঠকদের নিজেদের চিন্তার অবসর, বিশ্লেষণের খরতা, নিজস্ব পরিপ্রেক্ষিত তৈরি করার পরিসর, তিনি কিছুই দিতে চাইছেন না। পাঠক নেশাগ্রস্তের মতো পড়ে যাবে, মুগ্ধ হবে। দীর্ঘপরিসরে হয়তো মোহগ্রস্তও হয়ে পড়বে। কিন্তু অন্যপক্ষে যখনই তিনি উত্তমপুরুষ, তাঁর লেখক-ব্যক্তিত্বটি সম্পূর্ণ বদলে যাচ্ছে। সম্পূর্ণ অন্য অবতারে তিনি আবির্ভূত হচ্ছেন ঐ রচনাটিতে। খুব ক্লিশে, অ্যাংগ্রি ইয়ংম্যান? কিন্তু সযত্নরচিত, কৌশলী বন্ধন তার। যাবতীয় মধ্যবিত্ত ছাঁচের বাইরে গিয়ে 'লন্ডভন্ড' খেলার হিসেবি কথাপাঠ। সাধারণ বাংলা পাঠক সপ্রশ্রয়ে, হয়তো সস্নেহে তাঁকে এই রূপটিতে গ্রহণ করেছিলো। ফলতঃ দেখি অরিজিন্যাল 'রাগী যুবক' মলয় রায়চৌধুরিকে পাঠক বাংলা মূলস্রোতে স্থান দিলো না। 'আত্মপ্রকাশ' তাই সুনীল'কে বোঝার জন্য একটি জরুরি বই। আমার কিশোরবয়সে এই বই পড়া, পরবর্তীকালে সুনীলের গতিপ্রকৃতির নেভিগেশন বুঝতে খুব সাহায্য করেছিলো। শীর্ষেন্দু যেমন 'সোমেন' বা 'দীপ' ন'ন, সুনীলও 'নীলু' বা 'সুনীল' ন'ন। কিন্তু সঙ্ঘারামের পাঠক সে রকমটা ভাবতেই ভালবাসে।

একটু অধিক দীক্ষিত পাঠক আরেক পথে সুনীলকে খোঁজে, যার একটি নির্দিষ্ট অক্ষরেখা রয়েছে। সেটি হলো 'আত্মপ্রকাশ', 'সুদূর ঝর্ণার জলে' এবং 'অর্ধেক জীবনে'এর সরলরৈখিক প্রতিপাদ্য। কিন্তু সুনীল অতো সহজে ধরা দেবার মানুষ ছিলেন না। তাঁর পদ্য, গদ্য, বর্ণনাপদ্ধতি, উপাখ্যান, প্রতীকসম্মিলন, রসবোধ,  নাটকীয়তা, সব কিছুর মধ্যে আমরা একটা অনাবিল, স্বচ্ছল, সহজতা দেখতে পাই। এটাই ছিলো তাঁর ক্র্যাফটের সিদ্ধি। পাঠককে লুকিয়ে শটকে শিখিয়ে দেবার বিরল ক্ষমতা। ফলে সংখ্যাগুরু পাঠকসমাজ নিজের অজান্তেই লেখার কোন পর্যায় থেকে সতর্ক 'পাঠক' থেকে মুগ্ধ 'ভক্ত' হয়ে পড়ছে, তার সীমারেখাটুকু ঠাহর করা যায় না। এটা সুনীলের বৃহত্তম বাণিজ্যিক সাফল্য, সাহিত্যিক সিদ্ধি কি না জানি না।

সুনীল নীরা'র ন'ন, মার্গারিটেরও ন'ন, স্বাতীর তো ন'নই। এঁরা সবাই তাঁর চালচিত্রের পিছনে ব্যাকস্টেজ স্ট্রোভের আলো। পাঠক যখন যেমনভাবে তাঁকে চিনতে চায় বা বুঝতে চায়, পিছনের আলোর রং, তার গাঢ়তা নিজেদের বদলে ফেলে, যাতে সুনীলের প্রতিবিম্বিত মহিমাটি আরো উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। স্পটলাইটের সমস্ত স্রোত যেন তাঁর শরীরেই কেন্দ্রিত থাকে। তিনিও হয়তো সেটাই চাইতেন, যেহেতু তাঁর অনুগত পাঠকসমাজও তা অত্যন্ত অধিক মাত্রায় চেয়ে থাকে। বাংলা লেখক হিসেবে সুনীলের বন্ধহীন জনপ্রিয়তা, তাঁর রচনার সুচতুর বিপণন, গণমাধ্যমে তাঁর ভাবমূর্তির কুশল কুমারটুলি, সব মিলিয়ে আজও তাঁর চারধারে ঘিরে আছে অস্পষ্ট মায়াবী ধোঁয়ার আবরণ। তন্নিষ্ঠ পাঠক, সতর্ক পাঠক, বিশ্লেষক পাঠকের মোহমুদ্গর, এখনও তেমনভাবে তাঁর নসিব হয়নি। যা হয়েছে, তা ঈর্ষাপর, নিন্দক প্রতিঘাতী আক্রমণ। সেগুলো কালের বিচারে হয়তো টিকবে না। আসলে সুনীলের কিছু গদ্য নতুন করে পাঠ করা দরকার। প্রকৃত প্রস্তাবে 'সুনীল'কে পড়ার যে ধারাটি তাঁর জীবৎকালে বলবৎ ছিলো, সেটা কিছু পুনর্বিবেচনা দাবি করে। তিনি দেবেশ রায় ন'ন। সতীনাথ ভাদুড়ী বা অমিয়ভূষণ মজুমদারও ন'ন। এমন কি শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়ও ন'ন। কিন্তু তাঁকে বাতিল করা যায় না। সুনীলের নতুনপাঠ শুরু করার সময় বোধহয় এসে গেছে। একটা প্রজন্মের প্রধান লেখককে মেঘলা মুগ্ধতা ও আসক্ত আবিলতার ঊর্ধ্বে উঠে বিশ্লেষণ প্রয়োজন। যাঁরা তাঁর গল্পকথনের ক্ষমতাকে অস্বীকার করতে চান, তাঁর অতিপ্রজতাকে হেয় করতে চান, নিন্দারবের প্রতি তাঁর নির্লিপ্তিকে ঈর্ষা করতে চান, তাঁরা তাই করুন। কিন্তু তিনি যে বাংলা গদ্যকে নতুন মাত্রা দিয়েছিলেন, সেটা আর অস্বীকার করা যায় না। সবজান্তা সমালোচকদের প্ররোচনা তুচ্ছ করে তিনি 'সাধারণ' পাঠককে স্পর্শ করতে পেরেছিলেন, সেটাও কেউ অস্বীকার করতে পারে না। তাঁকে আরও একবার  'নিজের' করে নেওয়ার খেলা আবার শুরু করা যায়। তাঁর খেলা এখনও ফুরোয়নি। চলছে।

এমাসেই তাঁর চলে যাওয়ার দশ বছর পূর্ণ হবে। ভাবা যায় না!


2 কমেন্টস্:

  1. ভাল লাগলো l তাঁকে খুব কাছে দেখার সৌভাগ্য আমার ও হয়েছিল- তাঁর স্বরচিত একটি কবিতাপাঠ- যেখানে মেয়েটি দেহপসারিনী, গ্রামে নিজের বাড়ীতে বেড়াতে আসে গোপনে - ইত্যাদি যখন পড়ছেন , আশপাশে সকল মহিলার চোখে জল, পুরুষরাও কম যান না l
    --
    আপনার লেখায় বিমল কর এর অনুপস্থিতি - তাঁকে নিয়ে লিখবার অনুরোধ রইলো l

    উত্তরমুছুন
  2. লেখক আমায় চিনতে পারবেন আশা করি/ - অবশ্য সেটা অপ্রাসঙ্গিক l

    উত্তরমুছুন