কবিতার কালিমাটি ১২২ |
জলছবি ছায়াঘর
(১)
স্নানের একটা
ফুটফুটে
ফুটে একথালা
চাঁদ
ধুয়ে জ্যোৎস্নার
কোলে
মেঘের পালক
ফেলে পলকে পলকে।
নাড়িকাটা জল জলের গর্ভ
ঝিরি দেওয়া
বুক ফরাসে
থই থই রাতের
সন্ধি
ঘষে আলাদিন আলা
কড়িবরগার দিনে দিলরুবা
এই এসে দাঁড়ালো
ডানাশব্দের কিছু অব্যয়।
বোবা গানপাখি ছায়াদের ঘর
ঘরে ঘরে হাওয়া
হাওয়া হাওয়া পাতাঘর
প্রজাপতি ফেটে
সুনসান আঙুলে
আলোর বন্দর লেগে…
(২)
অস্তের মুভিতে
এখন মৌন
আমরা ঘনঘোর
নিচ্ছি
একটু আলোপোষা
একটু শ্রাবণ
একঘর নিঃশ্বাস বেয়ে।
একেকটা দিন
এমন
মৃত্যুর পায়ে
লীলাবতী
আলতাছাপ ঘুরে
ঘুরে
জলছড়া বিলোচ্ছে
হাতের সাঁকোতে
গলে
মোমের শৈশব।
দেওয়াল জুড়ে
সাঁতারভাষা
পাতাপলাশের
রঙ
ওড়না দিয়ে মুছে
কেউ উলু দিচ্ছে।
আলপথ ধরে সকালের
জলছবি ভেসে
যায়
শুধু যায়
ফিরতে পারে না।
(৩)
তারপর একটানা
বাহানায়
একটা না একটা
না না করে
দশ দিগন্ত তারায়
নবান্নের ফিসফিস।
গড়িয়ে ঢালের
দিকে
রয়ে সয়ে খরচ
চলার স্বপ্ন
ত্রিভুজ আঁকা।
আজ খালিচোখের
চৌমোহনা
আর একটু ছোট
পয়দলের ঘাট
দলে দলে উঠছে
তুমি উঠতেই
নেমে গেলো পৃথিবী।
নক্ষত্রের পায়ে
ছবিঘরের পূরবী
সবটাই একার
একা থাকার মুহূর্তে…
অপূর্ব লেখা...খুব ভালো লেখা পড়লাম...
উত্তরমুছুন