কালিমাটির ঝুরোগল্প ১১২ |
ভূতপেত্নী
সুন্দর বৃষ্টি। সারাদিন ধরে। সারাদিন ধরে ভিজল আমাদের গাছভর্তি বাড়িটা। বিকেলে বৃষ্টি কমতে দেখলাম, নিম বকুল গাছে পাখিরা আসতে লেগেছে। টুপটাপ টুপটাপ বর্ষার দানার মতো তাদের বডিগুলো সেট হতে লাগল পাতার ওপর। কখনো বা গাছের মেটেডালে। আজ বড় মিঠে তাদের রব। বুঝলাম, বর্ষা গিলে ব্যাটারা বিশাল সুর জমিয়েছে গলায়।
এরই মাঝে আমার কাছে পড়তে বসে গেছে খাসি। খাসি - আমার প্রিয় খাসি। ছোট এক মেয়ে। গায়ে মোটে মাংস নেই বলে আমি তাকে ডাকি খাসি। খাসি রেগে পাল্টা ডাকে, তুমি তাহলে আমার ‘মাসিখাসি’। রোগা হলে কী হবে, এ মেয়ের আশ্চর্য মেধা। আমাকে বোঝায় spring-এর মানে, “ও মাসিখাসি, সে হল অল্প শীত অল্প গরম। সে ভারী আরাম। তাই না মাসিখাসি?” অবাক হই তার ঋতু পরিবর্তনের বোধ দেখে !
আজও প্রধান ঋতু পড়াচ্ছিলাম। monsoon লিখেই চমকে বাইরে দেখল খাসি। “ও মাসিখাসি, বৃষ্টি পড়ছে যে! আজ তাহলে Monsoon!” অন্যদিকে খাতায় চোখ রেখে confused হতে লাগল বারবার। বর্ষার নির্দিষ্ট মাসের সাথে তো আজকের বর্ষার মিল নেই! তাহলে?
একবার বাইরে, একবার খাতায় - চোখটাকে just টাট্টু ঘোড়ার মতো দৌড় করাল খাসি। তো একসময় চোখ নিবদ্ধ হল বাইরে - ঝিম হয়ে আসা বৃষ্টিতে। দুবার পিটির পিটির পাতা ফেলল চোখের। সে মুহূর্তে খাসিরানির পাতলা শরীরটা যেন বর্ষা ভেজা একটি পাতা! যে কোনো মুহূর্তে উড়বে বাগানে। এ আমার খাসির Monsoon রে!
বই
বন্ধ করি? আর কি পড়তে পারি?
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন