কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

বুধবার, ১ মে, ২০১৯

বলাকা সেন




গোধূলির পরে


অনীহা ছুঁয়েছে ওই হাওয়ার আঁচল
চুপ গাছের পাতায় সন্ধ্যা ঘরে ফেরে
মাথায় চিরুনি পড়েনি, গালের কাছে
ধুলোর জখম স্পষ্ট, কেঁদেছ বুঝিবা
কেন বলো নি, বিকেলে ফুল চাই শাদা
আমি পেড়ে দিতাম রাতের অপেক্ষায়
না থেকে, এগিয়ে দিতাম কুঁজোর মিষ্টি জল
তাতে অপরূপ তোমার ছায়ায় মিশে
আমার একান্ত কায়া

যত্নের কেমন ডানা আছে ইচ্ছে
তুমি না বলেও, কথা বলি সরু রাস্তা ধরে
নিরিবিলি তুমি আমি
পাখিরা চঞ্চল হয়ে দেখে
কেমন আলোর মাঝে সন্ধ্যা মিশে
অন্ধকার নাম্নী মেয়ে হেঁটে যায় সব অনীহা, অগ্রাহ্য করে...



বৃষ্টিদিন


আমাদের সমবেত গান হারিয়েছে সুর
এ ঘরে, ওপারে, কারা গেঁথেছে ইস্পাত ছায়া
নড়ে না হাঁটে না, সরিয়ে দেয় না বিষাদের বোল

তুমি কী ডেকেছ তাকে, দিয়েছিল কেউ সাড়া?
বেঁচে আছে মুখ, মন বেয়াদপ

তুলে আনে শিকল পাঁজর কঙ্কাল কাটা আঙুল
গত রাতে আর যতো মৃত মানুষের মুখ
নিয়ে কেন আসো স্মৃতির রন্ধনশালায়
বিস্মৃতি ফিরাও কেন যে আমায়, আমার অসুখ

তোমার না ফেরা অসহায় এ বৃষ্টি, শহরে
বেদনার ইন্ধনের মতো জ্বলে, শুধু অসময় ঝরে...


স্মৃতিছবি


মৃদু হাওয়া কি বলার অপেক্ষা রেখেছ
তোমার শীতল হাতের পরশে ফুল ঝরে,
না পেয়ে অরূঢ় পায়রার ডানা ফিরে পায় ছায়া
তোমার অমোঘ আসা যাওয়া ঘিরে
ফিরে ফিরে আসো পর্দা সরিয়ে বিরতি--
চোখ বুজে আসে খেয়ালের সুতো নটে
খুলে যায় আহোশ কেমন যেন, অচেনা আরতি
প্রিয় ধূপে ফিরে পাই ভাঙাচোরা বাইস্কোপ পিন
রঙে রঙে গড়ানো আডোবা ধূসরিমা স্মৃতিছবি।





0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন