কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

বুধবার, ১ মে, ২০১৯

তাপসকিরণ রায়




আর এক বসন্ত

ঠমক নাচের মধ্যে মেয়েটা হাসির মুদ্রা দিচ্ছিল
কান্নায় তাকে কিন্তু গ্লিসারিন লাগাতে হয়নি
আমি সুখ চিতিয়ে খাচ্ছি
তোমার বিরহ থেকে স্থিতিস্থাপকতা উঠে আসতে আসতে
আর এক বসন্ত এলো, ঠিক তোমার মত মেপে নিলাম সবকিছু
পূর্ণত এক নারী আদলে ঢেলে দিলাম সব কিছু
ডুব জলের পিপাসা না মেটাতে পারার খেদে।
শীতের ওমে
কুকুরটাকে দেখছি--শীতের ওমে সেও আঁচ খুঁজে ফিরছে  
প্রভুর চাদর শুঁকে সেও তার  চারপাশটা ওম খুঁজে নিচ্ছে
ধর্মগুলি একই রকম বেঁচে থাকতে পারে
একটা মাঘমাসী শিকারি লাইনের পাশে রেল লাইন কেটে ট্রেন বেরিয়ে যাচ্ছে।


ঝাঁপ

খেতে হয়, না হলে শরীর মরে যায়
ভালবাসতে হবে নতুবা একদিন প্রেম মরে যাবে
মনে পড়ে একদিন ভুখা পেটে শুয়োরের মাংস খেয়ে ছিলাম
মনের মাঝে একটা ঝাঁপ মনে হয়, ঝাঁপ দেওয়া লুটোপুটি খাওয়া একটা দৃশ্য  
তুমি থেমে গিয়েছিলে, ধর্ষণের গায়ে নখের সনাক্ত চিহ্ন থাকে
তবুও খুঁজে দেখি না আমরা ধর্ষণের মাঝে একটা ঝাঁপ বেঁচে থাকে।
ঘর
শরীর ধর্ম থেকে মন তৈরি হচ্ছে--কিংবা মনের ধর্মে শরীর চলছে?
সমস্ত কিছু এক মত নয়, মস্তিষ্ক বলয়ে চলছে প্রাণ ধর্মের অটো কলকব্জা
ঠিকঠাক আঁটা আছে। লোহা তালের ঘর্ষণের শব্দ হয়
নরম এক তাল বস্তুতে মন রাখা থাকে, তাই তাকে তালগোল পাকিয়ে
তাকে দিয়ে যথেচ্ছা পাখি বানাই, একটা ঘর ফুলফল পাখি ও তোমাকে সাজাই।
পরিপাটি
পরিপাটি ভেঙে যেতে যেতে  
কত না আয়োজন
তোমাকেই নিতে হয় বারবার
তার উদ্দন্ড তালার চাবিতে রাখা আছে গুপ্তস্থান
অযথা ফসলের ঘাস জন্মায়
পতিত জমি চাষের একটি কৃষক
তার নাঙল ফালায় ধরেছিল বৈধতা
সে জমির ফসল আগলাতে আগলাতে
রাত ভোর হয়ে যেত
এখন আর কোনও লেনদেন নেই
খোলা মাচান পেতে তুমি ঘুমিয়ে থাকো  


ছাদ

ভিটামিন ডির উৎস তোমার যে যে স্থানে লাগে না
রোদ্দুরের বড় প্রয়োজন
দেহকে পোশাকের মতো টাঙিয়ে রাখতে গিয়ে
একটা ছাদ উঁকি মারে।
তোমার ব্রা-প্যান্টি উড়ে গেল বাতাসে
একজন সে জানে না কে তুমি !
তবু তার ঘ্রাণে তুমি ছিলে--
সে পুরুষ একটি নারীর আঁচ জেনে নেয়।


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন