জয়গাথা
গা ছমছমে ভুষন্ডির মাঠ
উত্তর দক্ষিণ পূব পশ্চিম
চার দিক থেকে চার দেবতা এসে
দৃর্বৃত্তদের দমন করে গেছেন।
যে কটা তবুও লুকিয়ে বেঁচেছে
মাথা নত করে তারা মরুভূমিতে
মুখ থুবড়ে পড়ে আছে।
তাদের শিরদাঁড়ায় আর জোর নেই,
কোনো ক্রমে নিজ অস্তিত্ব
জুকুভাইকে জানান দিয়ে যায়।
তারপর শরীর ঘষটে ঘষটে
পৃথিবীর বাদবাকি মানুষদের
দু হাত তুলে চারবেলা আশীর্বাদ করে
আর দেবতাদের জয়গাথা সোচ্চারে গায়।
শববাহক
শববাহকের দলে তুমিও কি ছিলে না কি গো?
তোমার এমন উচ্ছ্বসিত কপাল
হাওয়ায় ফুলে ওঠা কাপড়ের ঢাল
তোমার ওই মধুভান্ড
ঘৃতবাটা অঙ্গলেপন?
মধ্যরাতের তাথৈ নাচ!
তোমার ওই আশ্চর্য পান্থশালা
পরোপকারের অগ্নিজ্বালা
বরং রেশমী চুড়ি নিয়ে যাও
হাতের অলংকার করো
ও হাতটি যেন ফস্কে না যায়
কলমে শোভিত কর ও পুণ্য পাদপদ্মযুগল।
রাজ্যপাট
রাজ্যপাট সব উঠে গেছে
ফাঁকা মাঠে বসে আছি
যে পাখিটা প্রাণ দিয়ে
একটু খুশি এনেছিলো
তাকে সবাই ধরপাকড়
করে ঘাড় মটকে দিল
এবার সে আহত হয়ে
ফিরে তাদেরও ধরপাকড়
করা শুরু করে দিল
দেখতে দেখতে সবাই
অভিমানে সরে গেল।
এবার ভিটেয় চরা ঘুঘুরা
ফিরে এসে বলে, মাঠ ফাঁকা!
সব ওই পাখিটার দোষ!
এখন বল ত' কে বেশি চালাক
ওই পাখিটা না কি ঘুঘুগুলো?
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন