কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

অমৃতা মজুমদার

সেই সব কথার পর

কেমন আছো সাজানো রাত
কেমন আছে দলে যাওয়া ফুলের পাপড়ি গুলো
ওরা ঘৃণাক পেয়েছিলো না কি লজ্জা?
এখনও কাণায় কাণায় থমকে থাকা স্বচ্ছ বিন্দুগুলো
ব্যথা পায় আগের মতো
আজ একটা অন্য গানের রাত
গিটারের তারটা ছুঁয়ে ফেললি অনায়াসে
সত্যি করে বল
নতুন কিছু পেলি কিনা?
তুই ভীষণ অনিয়ম 
একটানা ভিড়
একটানা নৈশব্দ
আলো আঁধারি ঝাপসা সত্যির গুঞ্জন
থমকে আছে গরম মোমের স্রোত
এবার স্থির হয়ে যাবে চিরকালের মতো
নিভে আসা শিখার পাশ দিয়ে কপালের কাটা দাগটা দুলছে
সরল দোলগতি
এখনও বাঁচিয়ে রেখেছে সম্ভাবনাগুলো
ঠিক কি পেতে পারে অন্যপথে হেঁটে যাওয়ার প্রতিরুদ্ধ পথগুলো
প্রতীক্ষা নাকি তৃষ্ণা?


প্রতীক্ষায় আছি 
             
(১)

ঘাড় বেয়ে নেমে আসছে ইচ্ছার স্রোত
স্রোত বেয়ে নেমে আসছে মোহুয়ার দোল
মাতালের তাল
এখন কিছুটা স্বস্তি আছে চোখের পাতায়
রাতের সন্তান-সন্ততিরা ভালোবাসা পেয়েছে কম
ঠিক কবে যে কোথায় আলো জ্বালাবার কথা থাকে
লিখে রেখেছিল ওরা
রুলটানা খাতার শেষ লাইনে
নাকি তারও পরে আর এক লাইন
সেদিনের পর দাবার ছকে নিয়ন্ত্রিত ভুল
অঙ্কের পাতা লাল ছাপ দেওয়া চীনা শুভ অক্ষর
আমি চাইনিজ জানি না
কয়েক মুহূর্ত তুমুল নীল, শিমুল পেঁজা তুলো
চুলের কাঁটায় পাথরগুলো ছুঁয়ে ফেলেই বুঝেছিলাম
এমন করেই হঠাৎ কিছু বিঁধেছিল বুকের ভিতর
সেদিন থেকে আমি কেবল ব্যথা ভালোবাসি
এখন জলের গায়ে পানকৌরি
এখন সময়ের গায়ে দ্বিধা


 (২)

কলমটা থমকে গেছে কিছুকাল
দৃষ্টি আকর্ষণ করার নামে বদনাম হয়েছে যে ফুলটা
সে এখন ফুলদানীতে থাকে
কাব্যের গোলাপি রঙটা বরাবর মেয়েলি মনে হতো না
এখন হয়
যোগ বিয়োগের পরে কোনও সমাধান থাকবে না
থাকবে সম্ভাবনা
অথবা একটা ভৌগলিক দুর্ঘটনার পর
অসমীকরণের দিক নির্দেশ শুধুই শেষের দিকে নিয়ে যাবে
শুকনো পাতার ঘষা খেয়ে উড়ে যাওয়ার পথে
আমি নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট গুহায় পৌঁছে দেখেছি
কোনও আদিম অক্ষরের অপেক্ষা
থাকেনি ভালোবাসার আলপিনের গা বেয়ে নেমে আসা ক্ষমা
অন্ধকারের ভিতর হাতড়িয়ে পেয়েছিলাম অবজ্ঞার ইতিহাস
ঠিক সেদিন থেকেই গল্প লিখছি
আর একটা মিথ্যের
নিজের জন্যে


(৩)

সেই একদিন ছিল
আলো ছিল
কালো ছিল
থরথরে হিম ছিল আগুনের হাতে
বসে যাওয়া বালিসের আশেপাশে ছাপ খুঁজে চলা
গতকালে আজ ছিল
আজ যদি কাল হয়ে যায়
আরও ঘন পুরু রাত চাই
তার নীচে চির তরলিত তুমি
বাষ্পীয় নীল রঙে নখের আঁচর
তারপর সাদা বক আঁকা সারি সারি
আপগা স্রোতের গায়ে
রমণীয় আলো ছিল
কালো ছিল
তারা জল হয়ে নামে মখমলে
তারা জল হয়ে যায়
ফাটা খোলের ভেতর অস্পৃশ্য উত্তাপ প্রসব
শরীরের জমকালো সাপগুলো বিষ ঢালে কোলে
আগলিয়ে বসে আছে শিরদাঁড়া
কুসুমিত বাগানের প্রজাপতি ভ্রমরের খেলা


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন