কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

তমাল রায়

ক্যাট ফাইট অথবা কৌণিক অস্তিত্ব


একটা চোখের থেকে নেমে আসা জলের দূরত্ব সমকৌণিক। বা তার চেয়ে কিছু কম। ফোলা মুখে তা বেশি হবার সম্ভাবনাই। তবু দাগ। নিদাঘ।  শুকিয়ে যাওয়ার আগে তা পাখিজন্ম পেতেই  পারত। পেল কিনা জানতে পরের অনুচ্ছেদে যাই। 
অন্ধকার ঘর। প্রায় অন্ধকার। বেড়াল আর বেড়ালনি থাকলে যা হয় হতে পারে, কিছু মিউ মিউ। কিছু নিঃশব্দ চলন। কিছু ঝাপটা ঝাপটির শব্দ। তারপর জোর ম্যাও ম্যাও। আর দরজা খুলে গেলে দৌড়। এখানে লক্ষণীয় কে কার পেছনে দৌড়চ্ছে। আর পাশের বাড়ির বারান্দায় সিগারেট খাচ্ছিস খা। জল ছেটাস কেন। ব্যস সব পন্ড! তবে কিছু পর আবার জোর ম্যাও ম্যাও। শব্দ বাড়ছে ক্রমশ... 

আকাশে একটাই পাখি। সামনে একটাই রাস্তা। দূরে মোড়ের মাথায় ফুচকা বেচছে একটাই লোকরিক্সা থেকে নেমে একটাই দাদু খুঁড়িয়ে এগিয়ে আসছেন। রিক্সাওয়ালা ও একজন ও রিক্সাপুলার, আর একটু পিছিয়ে যাও পিলিজ... দাদু রিক্সায় বসে খুচরো গুনছেন। আর একটু পিছোও, সামান্য... বাতাস বইছে না। আকাশ কালো। হাতে ব্যাগ। ব্যাগে বাজার। বেড়াল সম্মন্ধে দাদু নৈর্ব্যক্তিক। দাদু বেড়াল ছিলেন?  ছিলেন না? কি জানি!
 
কান্না একটি দু’ অক্ষর বিশিষ্ট শব্দ। তাই কি?  ভেতরে তো অতল দুঃখ সাগর। নিঃশব্দ!  হঠাৎ দুঃখ সশব্দএবার কান্নার ডিসকোর্স লেখার মতো উপাদান ঘাঁটতে  অভিধান ঘাঁটাই স্বাভাবিক। আরও স্বাভাবিক উইকি ঘাঁটা। নিদেনপক্ষে ব্রেন কোট বা গুড রিড, পাইয়াও পাইয়া যাইতে পারো তেমন যুৎসই কোট। আলো আর জলের সম্পর্ক আসলে প্রতিসরণ জানেগান হয়তো কোথাও সাবমার্জড... একটা নোটেশন আর জলের ফারাক কই?  

বেড়াল ও বেড়ালনি আবার প্রবল গর্জনে। ইতিহাস বলবে এ গল্প আবহমান... আসলে এটি পক্ষ আর বিপক্ষকে চিরে একটা আচমকা থ্রু বাড়ানোর খোঁচা গল্প যা আসলে কখনও গোল এনে দেয়। যেমন জিন্না আর পাকিস্তান! যেমন নেহরু আর হিন্দুস্থান! এসব আসলে প্রেম কাঁহানীয়াঅথবা রাষ্ট্র যেভাবে জন্মায় তারই প্রস্তাবনা। যেমম এখন তন্বীর সাথে অর্জুন। আর দরজা খুলে ওরা বেরিয়ে আসছে, আর তারপর?

একটা গাছ নিরন্তর বেড়ে উঠছে... একটা স্তব্ধতা একাই ভেঙে খান খান হচ্ছে... একটা রাত এখন দিনের সাথে মিশবে বলে গালে হাত দিয়ে প্রতীক্ষায়... একটা বেড়াল অথবা দুটো বেড়াল, একটা হয়েই রাস্তা পেরিয়ে গেল... একটা গাড়ি অচানক থমকে গেল... একটা ড্রাইভার গাড়ির উইন্ডস্ক্রীনে ক্রশ আঁকল... অর্জুন অথবা তন্বী পরের দরজাটা খুঁজছে... একটা ক্যাঁচ আওয়াজ... ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোরে বাজছে একটাই গান, ‘পিয়া তেরা ক্যায়সা অভিমান/ আপনে নয়ন সে নীর বহায়ে/ আপনি যমুনা খুদ আপহি বানায়ে...

আপাতত প্রতীক্ষা কৌণিক দূরত্ব অথবা সেই সব লড়াই টড়াইকে সাথে নিয়েই একটা লাল টুকটুকে ভোরের...


একটা রাত হেঁটে চলে যাচ্ছে সকালের দিকে, একাই...

0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন