আঁতুরঘর
বনভূমির পথে পথে
শুকনো পাতার সংসারে
বাসা বাঁধে পিপড়েরা
আত্মগোপন
ঘরের ভেতর ঘর
সুগন্ধি ফুলের নির্যাস
তোলা থাকে পারফিউমের বোতলে
সুগন্ধি ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিলেও
দুর্গন্ধ কি মেটে?
রক্তিম
পাখির পালক
পেলবতার রক্তিম পালক
জমে থাকে পাথরের খাঁজে
পুরনো কিছু শ্যাওলায়
আষ্টেপৃষ্ঠে
জীবন ও মৃত্যুর মাঝামাঝি
দুর্ভেদ্য প্রাচীর তবুও
কিছু সুর ঘুমের মতোন
লেগে থাকে মননে
এভাবেই থেমে যায় না জীবন
মৃত্যুর পরে বিখ্যাত হয়
অনামী কবিরা
এক দশকের কবি আর এক দশকে
ঋতুমতী
রওনা দিলাম পুরনো রাস্তায়
খাপ খাওয়ানো জীবনে
এখন ও খাপ খাওয়াতে হয়
বেঁচে থাকার প্রতি মুহূর্তে
একটা আপোষ
সেই বালিকা থেকে শুরু
যেদিন প্রথম ঋতুমতী হওয়া
প্রথম স্রোত নেমেছিল
ধারায় ধারায়
সেদিন থেকে একা একা বাইরে যাওয়া বন্ধ
মাঠে ঘাটে যখন তখন বেরোনো বন্ধ।
ছেলেদের সঙ্গে খেলা বন্ধ
মায়ের কান্না দেখে বুঝতে
পেরেছিলাম জীবনের পটভূমিতে
এক নতুন অধ্যায়।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন