কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

বুধবার, ৯ মার্চ, ২০১৬

বাপী গায়েন

পরিত্রাণহীন জলের শব্দ 

শান্ত খুনীতার মাথার ভেতর পরিত্রাণহীন জলের শব্দ
শান্ত খুনী তাকে সামলাতে হয় এজন্ম সেজন্ম পরজন্ম ও তার পাপ পূণ্য সত্য মিথ্যা সমাজ সংস্কৃতি আদিমৃত্তিকা নদীমাতৃক কুমির ইত্যাদি
তাকে পোষ মানাতে হয় আঁচলের এপাশ ওপাশ মাংস পাথর অতিরিক্ত শিশু রাক্ষস
যে হাতে থামাতে হয় তাকে সেই মায়ামন্ত্র হাত সেই অসম্ভব বাকরুদ্ধতা যার ব্যাখ্যা ইচ্ছে করে মুছে দেওয়া হয়েছে সমস্ত কাল্পনিক চরিত্র ও তার শেকড়ের অন্ধকার থেকে
যাকে প্রায়শই প্রতিবেশীর হারানো বাছুর ভেবে ভুল হয় এরকম একটুকরো মাঠের এখনও সবুজ অংশ
যাকে আর চোখ বন্ধ করেও উপেক্ষা করা যাচ্ছে না এরকম ঠান্ডা চোখের পাথর
এরকম অতৃপ্ত মাছের জল
যার মাথার ভেতর ঢুকে গেছে
যার ঘুমের অপভ্রংশ ভেঙে বেড়িয়ে আসছে নির্জন জন্তুর দাপাদাপি
সেই বিদগ্ধ জন্মভাষা আর কতদূর সাফল্য এনে দিতে পারে দেবী - তোমার আপাদমস্তকে?
বড় জোর - স্মৃতি সহায়ক একটি বিলম্বিত অধ্যায়। 

শীত প্রকাশের পর

আরো একটি বাতিলযোগ্য দিনের ভেতর দেখা হলো আমাদের
অথচ শীতপ্রকাশ, তোমার বরফ কেন গলতে শুরু করেছে এতদিন পর 
আজ সারাদিন পাথর ভাঙার গান আমাকে অস্হির করেছে
সারাদিন সন্দেহ মাথার মধ্যে নিয়ে আমার সামনে বসেছিলাম দুঃখজনক আমি
তবে কি এখনও খরচ হইনি?
খুচরো বাজছে রক্তে মাংসে অধিকৃত শ্বাসে?
সন্দেহ হয়, জন্মজাত মৃত্যুটিও
অবিশ্বাসী, অন্য কারো হাতে।



পাহাড় গলছে, উত্তরে হাওয়া সত্ত্বেও

একটা আইসক্রিমের পাহাড়। পাহাড়ের মাথায় চেরি ঘুমিয়ে আছে।
একটা উলের বল। বল না। কারণ নিজেই দৌড়াচ্ছে। ভেড়া।
পাহাড় গলছে, উত্তুরে হাওয়া সত্ত্বেও। ভেড়া গোল গোল দৌড়াচ্ছে পাহাড়কে নিকটবর্তী রেখে।
যাতে চেরির রং ফেটে সত্যিটা ছড়িয়ে না যায়।


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন