প্রতিবেশী
সাহিত্য
কার্লোস মানসালের
কবিতা
(অনুবাদ
: জয়া চৌধুরী)
কবি পরিচিতি
এই প্রজন্মের এক
গুরুত্বপূর্ণ কবি কার্লোস মানসাল। ১৯৬১ সালে স্পেনের
ভ্যালেন্সিয়াতে জন্ম। ৮০ আর ৯০ দশকে লিরিক্যাল কবিতা নিয়ে স্পেন-এ যাঁরা পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছেন, তাঁদের মধ্যে তিনি অগ্রগণ্য। ‘মেতালেস পেসাদ’ বা ‘একঘেয়ে ধাতু’ কাব্যগ্রন্থ
প্রকাশের পরে তাঁর কাব্যপ্রতিভা শীর্ষে পৌঁছায়। ২০০৩ সালে ‘আন্তোনিও মাচাদো’ পুরস্কার’ ও ২০০৪ সালে ‘লোয়ে ষষ্ঠ আন্তর্জাতিক কবিতা পুরস্কার’ পেয়েছেন তাঁর কাব্যগ্রন্থ ‘ফুয়েরা দে মি’ বা ‘আমাকে অতিক্রম করে’-র জন্য। ২০০৫ সালে তাঁর প্রকাশিত প্রথম উপন্যাস ‘লোস রেইনোস দে কাসুয়ালিদাদ’ বা ‘হঠাৎ পাওয়া রাজত্ব’ ‘এল মুন্দো’ পত্রিকার তরফে সে বছরের শ্রেষ্ঠ উপন্যাস রূপে স্বীকৃতি পায়।
যাবার অধিকার
আমাদের নমনে আমরা গিলে ফেলি
আমাদের অধিকারে আমরা বেড়ে উঠি,
আমরা বেঁচে থাকি কম্পাসে,
হাঁটার নড়বড়ে সঙ্কীর্ণতায়,
এই যাত্রাপথের ব্যতিক্রমের সৌন্দর্য,
আমাদের বোঝার
ঔদার্য দেয়।
মূলগত বেদুইন,
কত মানুষ
আমাদের এক দিক হতে অন্য দিকে
পথ অতিরিক্ত পার হয়ে যায়
পৃথিবীর জাহাজে
লুকোনো যাত্রীসব
অতিথিরা
আশ্রয়হীন,
জীবনের কাছে ঋণী, গোপন প্রেমের কাছে
ঋণগ্রস্ত, আমাদের যা শেখায়
জীবনগামী সকল মুহূর্ত
আমাদের আত্মা থেকে বলপ্রয়োগে পৃথককারী।
ঈশ্বরে আশাহত তবু বিশ্বাসমান,
আমার গোপন কাজকর্ম,
বেচারী,
কোথাকার প্রভু তিনি,
অনিঃশেষ খুঁজে বেড়ানো,
শিল্পের জন্য শিল্প করে
বেঁচে থাকা।
পথিককে এক গ্লাস ঠান্ডা জল,
ভবঘুরের এক টুকরো রুটি,
তীর্থযাত্রীকে এক চিমটে লবণ,
ঋতুর পরিযায়ী হেঁটে যাই,
জাহাজের সম্মুখভাগে,
ক্রমশ পেরিয়ে যাব সব।
সাহিত্যের সান্ত্বনা
শরীর ও মনের জল দিয়ে,
শহর বয়ে যায় কি জানি কোন্ দিকে।
বেঁচে থাকার সান্ত্বনা দেয় কেবল শিল্প,
মানুষের ভেতর যা রয়ে যায়, মানুষ ছাড়াই।
"কেবল শিল্প,
উত্তরমুছুনমানুষের ভেতর যা রয়ে যায়, মানুষ ছাড়াই।" সত্যি কথা।