কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

বুধবার, ৯ মার্চ, ২০১৬

পিয়াল রায়

আহুতি  
কাল রাত্রি বারোটার পর আর চাঁদ ছিল না আকাশে অপেক্ষাকৃত কম চেনাজানা লোকজন উঁকি দিয়ে বুঝতে চাইছিল চাঁদের সাম্প্রতিকতম নগ্নতা বাঁ দিকের পাঁজরে বারবার ধাক্কা খাচ্ছিল ঘেমে ওঠা মুখ লুকিয়ে রাখার আপ্রাণ চেষ্টায় চাপচাপ অন্ধকার সেলাই করছিল ওরা একটার পর একটা ছবি, আসলে গল্প ফুটে উঠছিল ছাপাখানার অশুভ বিপনে বাস্তবের সাথে তার মিল নাভির উচ্চতায় থাকা হলদে  ভাষার মতো যা কখনো টাটকা হওয়ার ভুল ভুলেও করে না আবহাওয়া অনুযায়ী চাঁদ তার লাল ঢেকে রাখে অথবা খুলে দেয় কদাচিৎ কেউ খুলে ফেলা চাঁদ দেখে ফেললেই রক্তপায়ী শূকর অন্যমনস্ক ফুল ঝরে যায় বন্দিশ ধরতে না পেরে বৃদ্ধ পাহারা সারারাত ক্ষীণ চোখে আলো নিয়ে বসে থাকে তবু পাগলাটে হাওয়ার ফোঁস হ্যারিকেন আলোর বৃত্তে ঢুকতে পারে না রাগে দুঃখে মাত্রাতিরিক্ত নীল হয়ে ওঠে অপমান কালো সিঁড়িগুলো অবৈধ দাগ চেটে চলে যায় যেতে যেতে আত্মশুদ্ধি বিনষ্ট করার তাগিদে আঙুল জ্বালিয়ে আহুতি দিয়ে যায় ধোঁয়া ওঠা তীব্র রক্তের চাপ



স্বাধীনতা
কারা যেন ধীরে ধীরে ঈশ্বরের সমকক্ষ হয়ে উঠছে দুঃখী সময়ের  ব্যাজার মুখগুলোর পেশিতে পাকিয়ে উঠছে কালো ঝড় কস্মিনকালেও এদের জন্য কোনো  প্রেমিকা চাঁদ জ্বালিয়ে বসে থাকেনি কোথাও কারো জিভে ফুটে ওঠেনি পলাশী আহ্বান কয়েকটা মানুষ ডুব সন্তরণে ধরে ফেলেছিল অপরিচিত হাত অপরিচিত হাতে অপরিচিত ভারতবর্ষ চুপিচুপি অল্পবয়সী আয়ু ঘিরে আত্মশুদ্ধি প্রেম নয়, নক্ষত্র নয় ওরা হেঁটে যায় নাগিনীনিঃশ্বাসে প্রত্যাখ্যান ওদের জাগিয়ে রাখে রহস্যময় ইঙ্গিতে নীল কালো সাদার চৌরাস্তা ওরা হাঁটে শরীর পেঁচিয়ে জেগে থাকে স্বাধীনতা 










https://ssl.gstatic.com/ui/v1/icons/mail/images/cleardot.gif





0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন