কবিতার কালিমাটি ১০৮ |
মারির দিন
ন ন্তর
-৬ নিজের সাথে কথা বলে বলে ক্লান্তি এলে স্তব্ধতা মুখস্ত করি আর বার বার নিজের সাথে কথা বলে বলে ক্লান্তি এলে
স্তব্ধতা
মুখস্ত করি আর বারবার
ঘরে তুলি বর্ধিত নির্জনতা ব্যর্থ কৃষকের মত।
অথচ প্রচারিত স্ক্রিনে দেখা গেলো
হাতে গোনা ক'টা দিনে -
যাবতীয় দূষণ সরায়ে
স্থলে জলে মিলেছে পুরাতন সখ্যতা।
সব ইঙ্গিতে থেমে আছে হিসেব
স্থির জরা পার করে যেতে হবে
আনাহারী দিনে-
তবু কোথাও এ অন্ধকারের ভিতর
আস্থার প্রদীপ ঘিরে তৈরি হচ্ছে প্রত্যয়
বিদ্বেষ আর আততায়ী চোখে
পুরে দিতে হবে সব অনুরাগ এবং তারপর
দেখো বিশুদ্ধ দৃশ্যের ভিতর আমাদের পৃথিবী
অধিকারী হুকুমের নয়, যেন এক
শিল্পীর খেয়াল।
মন্বন্তর
দুর্বোধ্য
স্বপ্নের ভিতর পিজ আর চেরির ডালে বাজে বৃষ্টি, তার মন্দাকান্তা
ছন্দে ভিজে যেতে থাকে মোনোটনাস নির্জনতা। কিংবা আসংখ্য আচেনা মুখের সাথে ঘুরে আসে
দুপুরের রোদ।বিদ্যমান বিপন্ন প্রহর গুনে নিয়ে কোথাও আকাশ নীল হলে তখন বাজে আমাদের
জেগে উঠার ভুল এলার্ম। আর আমরা প্রতিদিন খুলে রাখি আলাদা স্বপ্নের পোশাক। আয়নায়
মৃত মুখ জমিয়ে ফাগুনের গল্পে গুঁজে দেই বিভ্রান্তির চব্বিশটি চুম্বন। প্রতিবেশি
দরোজার রঙ সময়ের আসা যাওয়ায় কেবল বদলে যেতে থাকে বাদামি থেকে গাঢ় অন্ধকারে। অলৌকিক
মুখ ও তার আলোর মর্মার্থ ছুঁয়ে কোথাও ফুটে থাকে সূর্যমুখী। আর পুনরপি রাত নামে
আমাদের ঘরে। তাই অযথা ভেঙ্গে দেয়া যায় এমন নির্জনতা নিয়ে আমরা আজকাল ঘুমের দেয়ালে
গ্রাফিটির বিশাল চোখ এঁকে রাখি।
লকডাউন শেষে
এখন আর তেমন লকডাউন নেই
মুখোশেরা ঘোরে অসঙ্কোচে।
অনুকুল ভাগ্যের ন'টা / পাঁচটা এখনো
যাদের টিকে আছে
তারা দেখে -
বাদ বাকি শোচনীয় হাত ওভার ব্রীজে,
রাস্তায় নেমে আসে স্রোত অগণন।
ভিড় করে দাঁড়িয়ে থাকে কাতর ভঙ্গিমা।
এসব গল্প অজানা দিনের কারো কারো, শহুরে
-
অচেনা যাদের গ্রামের গন্ধ , ঘামের
মাঝি বা নদী
তাদের অভিসন্ধির কাছে হেরে বসে আছে
লজ্জাহীন বিবিধ আগুন।
। অথচ প্রচারিত স্ক্রিনে দেখা গেলো হাতে গোনা ক’টা
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন