কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

শুক্রবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০২১

অভিজিৎ দাসকর্মকার

 

কবিতার কালিমাটি ১০৮


আদুরে উঁকিতে

                     

এবার শরীর খুলছে। সাদাকালো বয়সের কথাগুলো নির্ভরশীল রাতের গভীর আওতায় ময়লা ময়লা রং-এ জমছে। তারপর শব্দের বুননে শব্দ চাপান দেয়া হবে।

ফসল খুলবে। ভুল কষ্টগুলো আদর পাবে। আবহাওয়া কিন্তু দপ্তরের চৌকাঠে বেকসুর দাঁড়িয়ে। এরপরও রাজপথের সমান্তরাল মোড়ে নৈঃশব্দ্য উত্তীর্ণ হওয়া শব্দ। জোনাকির শ্বসন। শরীরের তাপমাত্রায় বসে বয়স বাড়ছে। অর্থহীন

হচ্ছে।

এখনও চারিদিকে সারি সারি ভয় এবং সরু সরু সংসারে বাকলমোচন হয়। অথচ, এরপরও আস্ফালনের পথে গড়িয়ে পড়ে কবির অহংকার। এখনো

হলুদ রঙের ভিতর পরিচিত স্ফুটনাংক খোলা মুহূর্ত।

বুকে খরস্রোতা ক্যালেন্ডারের  আলাদা আলাদা ৭টি দুপুর ও সন্ধ্যা চিল্কার জলে কোমর জড়িয়ে ধরে আর কবিত্বের পাশে শুয়ে থাকে আদুরে আঁচলের ফাঁকে উঁকি দেয়া না-পসন্দ আরাম, দেখো উঁকিতে কালো তিল জড়ানো কাহিনী রাস্তার উপর বসে এখন মাথুর পড়ছে, কবি সঙ্গ দিলেন করতাল আর ঝাপতালে বেজে উঠলো অবশ হওয়া সেই কবেকার ইচ্ছেগুলো, অথচ বিছানার কোণে ঘুরতে লাগলো সিক্রিশন আর কবিতা...

 

বেসামাল রোদ

 

...এরপর আবারও গেলাম, বোতাম খোলার অতলে

কণিকারা বিপদমুক্ত প্রেম হাতে জীর্ণ দাঁড়িয়ে ___

 

আবারও আষ্টেপৃষ্টে ধরছে সুবোধ রাতযাপনের নিঃসঙ্গতা, সারা কোমরে কপালরশ্মির কারুগতি;

 

জানি না জলদি কিসের? তবুও

বল! শব্দটি তোকে জানতে শেখায়-

আমি তোর সম্পূর্ণতায় স্নান করতে চাই।

 

সঠিক সন্ধ্যা না, ঠিক দুপুরে বেসামাল রোদ---

 

জানিসই না___

আমার সমস্ত বদঅভ্যেস ধরে রেখেছি প্রতিটি ভোরের ৫:৩৪ মিনিটে

সিগারেট আর_____

 

স্নানঘরে নিঃশব্দে মাথা ধুই

 

খাতার রাফকোণে সমান্তরালভাবে বিনিময় করছি যুক্ত এবং বিযুক্ত

কিস্তির পর কিস্তি দিয়ে চলেছি, অথচ

খিস্তির পর খিস্তি অনুযায়ী হিসাব কষে চলেছে গলার স্বর, অস্পষ্ট তবুও স্নানঘরে নিঃশব্দে মাথা ধুই, পিছনে লুকিয়ে থাকে ডিজিটাল ঢ্যামনামোগুলো

 

আমি হাসছি__

মহিষাসুর হাসছে ডিডি-ওয়ানে

সিগারেটের পিছনগুলো করুণভাবে তাকিয়ে, মাছিরাও কলের মুখ থেকে ইতিহাসের শবদেহে মিছিল করে চলেছে,

রোজ সকালে রোদ আর খবরের কাগজ ঝাঁপিয়ে পড়ে উঠোন দুয়ারে, তারপরও

অর্থময়তা নিয়ে পরিত্যক্ত চামড়া, এবং সুস্বাদু হারামিপনা নিয়ে আপাতত মুলতুবি করছি ক্যালকুলেশন, তবে জরি-বসিয়ে রাখলাম কাণা গলিগুলোতে, একদিন

ভণ্ডুল করবো অজানা সব কাঠের গোড়ালি, আর

শস্য হয়ে যাবো পিঁপড়েদের পিঠে পিঠে...

                                                                 

 


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন