কবিতার কালিমাটি ১৩৫ |
কথা
দরজায় হলুদ ফুলের সমারোহ
কতোকাল পাইনি সোনালী ফসলের ঘ্রাণ
নস্যাৎ জীবন আঁকি দুচোখের পাতায়
তড়িতাহত হৃদয়
হাতড়াই বারবার
অচেতন কথার মাঝে আজও জন্ম নেয় স্বপ্নভূবন
কবিতার বয়ানে লিখে রাখি সান্ধ্য আকাশ
অন্ধকার নামে
হামাগুড়ি দিয়ে ফিরে আসে নিশুতি রাত
ঢিপঢিপ বুক
কাজের মেয়েটি নেই
এতোদিন ঘরের কোণে আস্তানা ছিলো তার
আজ নেই
জলের পিপাসা বাড়ে
ঝড়ে ওড়ে ঊষার আঁচল
ঠোঁটের কথাগুলো ঝেড়ে ফেলি
কথা নেই কথা নেই
তবু কেন কথা থাকে তাকে ফিরে পাওয়ার?
মন
ছাদে রজনীগন্ধার সুবাস
তোমার হাতে হাত রাখি
সারাদিন কাজের মাঝে তোমার মুখটা দেখা হয় না সেভাবে
মনের গভীরে জমে ওঠে কথা
হৃদয় ভাঙে
কথাগুলো তোমাকে বলা হয় না কোনোমতে
তোমার গানে আজকাল কান্নার সুর
বাঁশি বাজে না
মন কথা বলে না
ফোটে না গোলাপ। রজনীগন্ধা নুয়ে পড়ে টবে
তুমি জল দাও আমি জল দিই
মরে যায় গাছ
মন খারাপের দিন ধীরে ধীরে মেঘলা হয়ে আসে
তোমাকে কাছে টানি
নিঃশব্দতা দুচোখ জুড়ে
পাখি ডাকে। জুঁই শাখে ফেলে আসি মন ভালো লাগার ওষুধ
তোমাকে আগলে রাখি
তোমার বুকে হাত রাখি
দীর্ঘশ্বাস
আঁধারে অসংখ্য ছায়া আমার দিকে হাত বাড়ায়
আমি উঠে বসি
সকালের রোদে ধুলোঝড়
দুহাতে রাখি রডোডেনড্রোন। তোমার নির্যাস
তুমি ঘরে
আমি বাইরে
আমি ঘরে তুমি বাইরে
তোমার আঁচলে রঙিন পৃথিবী। একমুঠো রোদ
কথা সাজাই
তোমাকে আগলে রাখি আমৃত্যু আমার বুকের ভেতর
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন