কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

সোমবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০২৪

বিমান মৈত্র

 

কালিমাটির ঝুরোগল্প ১২৫


বৈধতার কাদম্বিনী  

তারারা চুপ হয়ে যাওরার নির্দেশনা থেকে তরুকার হাঁটা শুরু। কথা আর অক্ষরের দলাপাকানো জামদানি থেকে যে জটিল ভুল বোঝাবুঝির প্রসবকালীন যন্ত্রণা সেটা অনুক্ত এবং তরুকার মধ্যে অতএব একটি অবসম্ভাবী দেয়াল। শুধু দুটি নদীর উপর দুরকম বাতাসের শৈলী, নানান ধরনের অচেনার সচেতন হৃৎপিণ্ডের ওঠানামা, তারা মাঝে মাঝেই নিশিরাতে উথালপাথাল, একটি বেসামাল অবিমৃষ্যকারিতা যেন ক্রমশ খোলসহীন। সম্পর্কের টানাপোড়েনে নাজেহাল তরুকা ঠায় দাঁড়িয়ে শূন্যসেতুর উপর। নীচে বর্ষার জলে আরও  যুবতী হয়ে ওঠা হাতছানি নদীটির। তার উদোল তপোবনে সাঁতারুকুলের নিষিদ্ধ আকর্ষণের যেন নীল। একি ছায়া-উপচ্ছায়ার তীব্র খেলা! পিতা স্বর্গ পিতা ধর্ম পিতাই পরম উপাস্য। উপাস শরীরের জন্য কতদূর সিঁড়ি নামিবার? কতদূর অন্ধকারে খাদান থেকে ঝুরিভরা আলোর দীপক? সে কি তাই অতঃপর নাছোড় ডুবুরি সেই খাদে? শিশুকালে ভরসার লোমশ বুকে মাথা গুঁজে গল্প শোনার দিনগুলো সন্ধের পর তার একান্ত আপন। পুরুষ-সক্ষমতার সেই ঘ্রাণতাড়না আজ তার কৈশোর পেরিয়ে যৌবনের জোয়ার। সে তো অনস্বীকার্য। তবে এখন উপায়। বাতাসের ফিসফিস কানে। ফিনকি অস্তাহত খয়েরী পিকের। এই শুক্রাণু বর্ণের কপালের টিপ আমি। ঐ তো নদীতেই ভাসমান সে এক আপামর নদী। তার যাওয়া অপঘাত স্বপ্নের মাত্র উল্লাস।

এই ভালো হে নিঠুর সম্পর্কের সাজানো থাকেরা। থরে থরে সংবিধানের স্তুপীকৃত শিকর বাকর। ঝুরিবট থেকে নেমে আসা বিকার ত্রিফলা। অনুক্তর তপ্তবালুচর পিতৃকাঠামো দুর্বিপাকের শিকার। দোষ ও পাপের সংজ্ঞার নির্ধারক কে? অনুক্তর এইসময়ের প্রয়াস আলোবাতাসের। দরজার সম্মুখে বন্ধ দরজার আর্তহাস্য। কথা সব শব্দহীন। আতঙ্কের চারমাথায় এক মূর্তি। তার শিরস্ত্রাণে অবিরাম জলবিন্দুতে পড়ন্ত বেলার দীর্ঘশ্বাস। তার যাওয়া অপঘাত স্বপ্নের মাত্র উল্লাস। তার ঘর ধাওয়া পাখি বেদনার। বিকারগ্রস্থ মস্তিস্ক কোথাও কোথাও বড় যুক্তিবাদী। তবে যাওয়া যাক।

তরুকার অআকখ দর্শন কাঙ্ক্ষা এখনও কি প্রাসঙ্গিক?


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন