কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

সোমবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০২৪

ফার্নান্দো আন্তোনিও নোগিরা পেসোয়ার কবিতা

 

প্রতিবেশী সাহিত্য

 

ফার্নান্দো আন্তোনিও নোগিরা পেসোয়ার কবিতা            

(অনুবাদ : বাণী চক্রবর্তী 

 


কবি পরিচিতি : পর্তুগালের কবি ফার্নান্দো আন্তোনিও নোগিরা পেসোয়ার ১৮৮৮ সালে লিসবনে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৩৫ সালে মারা যান। তিনি কমার্সিয়াল অনুবাদক ও রিভিউয়ার ছিলেন। প্রথমে ইংরেজি ভাষায় লেখা শুরু করেন, পরবর্তীতে পর্তুগিজ ভাষায় লেখেন। তিনি সামাজিক মেলামেশা ও সাহিত্য জগৎ এড়িয়ে চলতেন, তা সত্বেও তাঁর কবিতা পাঠকের মনে বিশেষ ছাপ ফেলেছে এবং  পুরস্কৃত হয়েছেন। তিনি পর্তুগালের শ্রেষ্ঠ কবিদের মধ্যে বিবেচিত হ'ন। কখনো ডাক্তার, কখনো ইঞ্জিনিয়ার, কখনো মেষপালকের ছদ্মনামেও আলাদা আলাদা ধরনের কবিতা লিখেছেন।

 

 

I know, I alone (শূন্যতার গান)

 

জানি, আমি একা,

এ অনুভব কতটা কষ্ট দেয়!

হৃদয়ে কোনো বিশ্বাস নেই…

কোনো সঙ্গীত নেই…

নেই কোনো নিয়ম অথবা চিন্তা!

শুধু আমি, শুধুমাত্র আমি!

 

এ মুহূর্তে…

কারও কথা বলতে পারবো না,

কারণ অনুভূতি আকাশের মতো বিস্তৃত!

চোখ বুজে দেখি…

সেখানে  যে কেউ  নেই!

 

Love is essential (অমৃত সমান)

 

ভালবাসা জরুরি!

শারীরিক মিলন -তাতক্ষণিক

এটা হতে পারে সমান

 

 

অথবা আলাদা।

 

মানুষ ত’ পশু নয়…

তাদের শরীর বুদ্ধিমান,

যদিও কখনো কখনো

অসুস্থ হয়ে পড়ে!

 

Your Eyes go sad (বিষণ্ণ সংলাপ)

 

তোমার চোখ বিষণ্ণতায় ভরা

কী বলছি শুনতে পাচ্ছো না!

চোখে তন্দ্রা! মুছে যাওয়া  হাল্কা স্বপ্ন।

আমি বলেই চলেছি…

তুমি শুনছো না।

 

 

আমি বলি, কী বলেছি এতক্ষণ!

তোমার অনাগ্রহ, বিষাদ,

এর আগেও প্রায়ই দেখেছি…

মনে হয় কখনোই শোন না,

এমনি করেই দূরে চলে গেছ

এমনি করেই!

 

হঠাৎ একটা শূন্য চাহনিতে

আমার দিকে তাকালে—-

ঠোঁটের কোণে এক চিলতে হাসি

তবুও না মাপা দূরত্ব!

আমি বলতে থাকি,

তুমি শুনতে থাক নিজের অন্তর্মন!

সুন্দর মৃদু হাসিটিও

ধীরে ধীরে মিলিয়ে যায়!

 

যে পর্যন্ত না অলস দুপুরের

নষ্ট সময় পেড়িয়ে যায়–

স্তব্ধতায় দ্রুত আত্মোপলব্ধি হয়,

তোমার হাসি অপ্রয়োজনীয়!

 

I have a terrible cold (এস্পিরিন চাই)

 

সাংঘাতিক সর্দি লেগেছে আমার,

সবাই জানে এটা কী ভয়ানক!

বিশ্ব-ব্রহ্মান্ডের সমস্ত নিয়মের

পরিবর্তন প্রয়োজন!

 

জীবনের বিপরীতে আমাদের রাখা,

শুধু দর্শনের অস্তিত্বের মতো নি:শ্বাস

ভরে দেওয়া  নাক ও মুখে!

 

আজ সারাদিন নষ্ট হয়ে গেছে

নাকের জলে চোখের জলে।

মাথা বিশ্রীভাবে ব্যথা করছে,

কী খারাপ অবস্থা এক সাধারণ কবির!

 

আজ বাস্তবিকই আমি এক নবোদিত কবি!

পুরনো দিনে কী ছিলাম, কী ইচ্ছে ছিলো

সবই এখন স্মরণাতীত!

 

চিরবিদায় দাও হে পরীদের রাণী,

তোমার ডানাদুটোয় সূর্যালোকের উষ্ণতা,

এবং এটাই যে আমার বিচরণ ভূমি!

 

আকাশের নিচে  ঘুমানো ছাড়া,

কখনোই ভালো ছিলাম না,

এখন নিজের বিছানায় ঘুমাবো…

আমি সত্যিই অসুস্থ… শারীরিকভাবে!

ভীষণভাবে একটা এস্পিরিন চাইছি!

 

 


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন