কবিতা |
ভাদ্রের লোক
(১)
একটা
বই থেকে আর একটা বইয়ে যাওয়ার আর ইচ্ছে নেই তার। মাঝে বন্ধু কমেছে। সেতুর দু’ধার
ধরে ঝুলে নেই একটিও শত্রু। নিজেকে হিংসা হয়, ক্যালেন্ডারের পাতা পিছিয়ে দিলে। শুধু যে দিনটায়
পারবে না সেদিনও করতে হবে। মাঠে না নেমে চোয়ালে চাপ দিলেই, সব সময় পাবে না কিছু।
ব্যথা আরও বাড়বে না আগামী দিনে। যেটুকু বাড়বে, সবটাই না পারা দিন গুলিতে কী কী
করেছ, তার প্রত্নতাত্তিক ছায়া।
লেখার
মত গর্ব ও গর্বের মত লেখার ভিতর অনেক ফারাক। পৃথিবীতে একটিও মানুষ পাবে না তুমি,
যার তোমার লেখা পড়ে গর্ব হবে। আসলে গর্ববোধটুকু যারা পাবে, তারা কিন্তু এখনও ক খ
শিখে ঘুমিয়ে আছে। তুমি জাগাবে কীভাবে তাদের! মালের ছিটায়, বিরিয়ানির গন্ধে তারা
জাগলেও, পুরনো উইধরা ভাবনায় জাগবে না। জাগাতে হলে, সেন্ট মেরে, নতুন বইয়ের দিকে
যাও, নতুন বইটায় কী লিখবে ভাবতে শুরু করে দাও। নতুন বইটার নাম অতিক্রম পালিয়ে গেলে
হবে না আর। অতিক্রম পালায় নি, ও আছে। প্রতিদিন কিছু না কিছু ওকেই পেরিয়ে যাচ্ছে।
তুমি কোন সাধু না। সাধু বললেও, লোকে বলে তুমি মাতাল, তুমি খারাপ, তুমি পাপী। যদিও
মাতাল, এবং খারাপ কথা টুকু না মানলেও, আমি বলব তুমি পাপী। তুমি আমাকে পেয়েও
ব্যবহার কর নি। আমি তো আসি না সে কারণেই এখন অনেকদিন।
(২)
গভীরতা
একদমই আর নেই কোথাও। প্রতিদিন লিখতে বসার যে ইচ্ছে ছিল, সেটা ঘুচেছে, ছবিটা আঁকার
পর। পয়সা আসার পর তো আর ধিরাম চেনো না তুমি! তুমি কেন লিখবে আজ, লিখে তো একটিও
মুড়ির বাটি হয় না, তন্দুরি হয় না। তা করতে
গেলে যেটা লাগে সেটা তোমার ভিতরে নেই। তোমার ভিতরে যেটা আছে, তুমি তা নিয়ে শুধু
থাকবে না। যা যা নেই, সব কিছুকেই উস্কিয়ে দাও, কপ্পুর দাও জলে, মাটির কলসীর গায়ে
হস্ত বিকশিত করে, বৃক্ষ দূত দেখে নাও ...
সব শালা একসাথে মিলে যেদিন তোমায় মেরেছে, সেদিন কিন্তু তোমারই ক্ষমতা কম। ক্ষমতা
সেদিনই বেশি হবে তোমার, যেদিন তুমি আবার
এখনের মত লিখবে, আগের মত লিখতে কেউই কিন্তু পারে না!
(৩)
আমার
একটিও লেখা কারোর মনে না থাকাই ভালো। মানুষ বাবা মাকে ভুলে যায়, আর লেখা!
শুয়োরের
হাতে ডোমের মৃত্যু দেখবে বলেই তো এখনও বেঁচে আছো...
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন