কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

রবিবার, ২২ মার্চ, ২০২০

তৌহীদা ইয়াকুব



কবিতা 



নদী ও জীবন

মানচিত্রের রেখায় নদীর শরীর দেখি।
এ শহরে লা তেত, তোমার শহর বুঝি
লা সেইন পেঁচিয়ে রাখে? আমি সব ঘুরে এসে
বুঝেছি, এ নদীও শাসন করে হাত
পোষ্য হয় মৌসুমি প্রয়োজনে।

অথচ নদীর মত শান্ত টলমল
বোধ রপ্ত করেনি জীবন।
বস্তুত সমারূ বৃত্তের ভিতর
নিয়ত পায়ে কাঁটা নিয়ে হাঁটা।

শুধু মন খারাপের দিনে -
আমাদের অন্তর্গত অসংখ্য অমিল
গুনে রাখি।


বিগত কথারা

উদাস দিগন্তে ছড়ানো-ছিটানো অনুভব
রঙের, ধোয়ার, প্রতিবিম্বের
দুর্নিবার কোন তাগিদ নেই
সারমেয় জীবনের নিঃসাড় ভগ্নাংশ
পড়ে আছে।

কত যে দহন ধরেছে দু'চোখ
অন্তর্গত উপলব্ধি সেও দশ মিনিটের বায়োস্কোপ!

আজ এবং আর সারা জীবন সোনাঝুরি
আলোর কাছে রেখে যাব আমাদের না ফেরার কৈফিয়ত।

দ্বিধাহীন তুমি
দূরে বসে ভেঙ্গে ভেঙ্গে খাও
নান্দনিক ঘোর।

বিগত কথারা
গ্রহ-উপগ্রহের মত চক্রাকারে ঘুরতে থাকে।


খেলা

একটা খেলা ছিল কৌতুকে
ধাঁধায় বেঁধে দেয়া।
দুটো ষ্টেশন,
যেটাতে নামবে অন্যটা ধোঁয়ায় উড়ে যাবে।

হারানোর ভয়ে, ভয়ের সন্ত্রাসে
বোধশূণ্য ও দিকভ্রান্ত পথিক
দীর্ঘ শ্রান্তিতে তাকে দিতে পারো
নিভৃত ছায়াটুকু, যত্নের।
পারো ভালবাসতেও


-জটিল জীবন

উড়বার প্রতিশ্রুতি ভাসিয়ে নিয়ে
এপার ওপার ভুখন্ডের দৃশ্যপট পালটে দেয়।

এক অপেক্ষায় বরষা
এক অপেক্ষায় শীত
অপেক্ষা আর উপেক্ষায়
কেটে যায় বাকী মৌসুম।

হাজারো বিরহের অনুপূর্বিক
জাগতিক উন্নাসিকতা
পৃথিবীর উত্তর মেরুতে জমতে থাকে।

পরাভুত মুহূর্ত দাঁড়ায় বিপরিতে
আমি তার বিলীন পরিভ্রমণ,
-জটিল জীবনের অনন্য ধাঁ ধাঁ  
আর তাই -
আমাদের রাত্রি জাগার গল্পগুলোও আলাদা।


 


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন