শক্তিরূপেণ সংস্থিতা
কাল, স্বাধীনতা দিবস। সরকারী ছুটির দিন। সিটিএস ইউনিটেকের সমস্ত টিমগুলোরই তাই দেরী হচ্ছে আজ। ওভারসীজ ক্লায়েন্টদের যত আবদার এখন।
নন্দিন্ একবার হাতঘড়িটার দিকে তাকায়। রাত ১১টা ৪২। শাটলের গাড়িটাও আজ থাকবে না।
মেসেজ এলো বোধহয়! নাহ্, বাড়ি থেকেই করেছে কেউ। রঞ্জন তো আর ওকে মেসেজ করবে না! বিকজ দে হ্যাভ ব্রোকন আপ – পিস এ্যান্ড পিরিয়ড...
কাল, স্বাধীনতা দিবস। সরকারী ছুটির দিন। সিটিএস ইউনিটেকের সমস্ত টিমগুলোরই তাই দেরী হচ্ছে আজ। ওভারসীজ ক্লায়েন্টদের যত আবদার এখন।
নন্দিন্ একবার হাতঘড়িটার দিকে তাকায়। রাত ১১টা ৪২। শাটলের গাড়িটাও আজ থাকবে না।
মেসেজ এলো বোধহয়! নাহ্, বাড়ি থেকেই করেছে কেউ। রঞ্জন তো আর ওকে মেসেজ করবে না! বিকজ দে হ্যাভ ব্রোকন আপ – পিস এ্যান্ড পিরিয়ড...
আলতো হেসে নন্দিন্ লেখে, ‘আসচি মা, আর ৫ মিনিটে বেরুবো’।
রাত ১২টা ৭। চকচকে এ্যাসফল্ট। মায়াবী ভেপার ল্যাম্প। গোলাপী বাহন তার। নন্দিন্ স্পীড বাড়ায়। পাশ দিয়ে একটা কালো মোটরবাইক চলে গেলো। রঞ্জন?
একটা কালো ভ্যান। রাস্তাটা আটকিয়ে তেরচাভাবে দাঁড় করিয়ে রেখেছে। ২টো লোক। কালো গেঞ্জী, হাতে মদের বোতল। নন্দিন্ স্পীড কমাতে বাধ্য হয়।
‘রাস্তাটা ছাড়ুন!’ ভালোভাবেই বলেছিলো কথাটা। বিশ্রী হেসে প্রথম লোকটা তার গায়ে হাত দেয়। নন্দিন্ হাতটা জোর করে সরিয়ে দেবার চেষ্টা করে। হাতটা এখন লোকটার মুঠোয়। টিশার্টের কলার ধরে নন্দিনকে নামিয়ে আনে একজন।
রাত ১২টা ১৭। নন্দিন্ অবস্থাটা মেপে নেয় কেবল। হাতদুটো চেপে রেখেছে প্রথম লোকটা। নন্দিনের ডান পা’টা শূন্যে ওঠে। দ্বিতীয় লোকটার চোয়ালে সপাটে নতুন বুটের লাথি। প্রথম লোকটার হাত আলগা হয়ে যায়। ডান কনুইটা তার থুতনিতে। দুটো ঘুষি, একটা রগের গোড়ায়। লোকদুটো পালায়। নন্দিন্ স্কুটিটাকে দাঁড় করায়। আবার সেই কালো মোটরবাইক! হেলমেট খুলে রঞ্জন নেমে আসে।
-‘তুই! তুই ঠিক আছিস?’
-‘তুই, এই সময়ে? বাড়ি যা রে, রাত হয়েছে অনেক। কাকিমা চিন্তা করবেন’। অতিরিক্ত ঠান্ডা গলায় একটা সাদামাটা জবাব।
-‘কিন্তু এই দু-দুটো গুন্ডাকে...’
-‘তাইকোন্ডো শিখছি এখন। শনিবারে শনিবারে আর তো ভাট বকতে হয় না তোর সঙ্গে!’
-‘তাইকোন্ডো শিখছি এখন। শনিবারে শনিবারে আর তো ভাট বকতে হয় না তোর সঙ্গে!’
-‘নন্দিন্, প্লীজ!’
-‘সাবধানে বাড়ি ফিরিস!’
হাওয়া ছুটছে খুব। হেলমেট পড়তেও ইচ্ছে করে না আর। তবু পড়তে হয়।
কাচের আড়ালে কৃষ্ণকলির চোখ। কৃষ্ণকলির চোখ ভিজতে নেই। নন্দিন্ আবার স্পীড বাড়ায়। পুজোর আর মাত্র ৪৫ দিন বাকি।
হাওয়া ছুটছে খুব। হেলমেট পড়তেও ইচ্ছে করে না আর। তবু পড়তে হয়।
কাচের আড়ালে কৃষ্ণকলির চোখ। কৃষ্ণকলির চোখ ভিজতে নেই। নন্দিন্ আবার স্পীড বাড়ায়। পুজোর আর মাত্র ৪৫ দিন বাকি।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন