কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

তাপসকিরণ রায়




দৃশ্যত 

দৃশ্যত স্বপ্ন সত্যি হয় না
ম্যাজিক ওয়ান্ড ধরে থাকে চোখের দৃশ্যান্তর--
আবার সত্যিগুলি কালপ্রবাহে কিভাবে পাল্টে যাচ্ছে দেখো!
দেখো ভালোবাসা কত ক্ষণস্থায়ী--
রুপালি প্রেমের পর্দায় তোমার দেহলতা 
ও প্রসাধন সামগ্রী জমে উঠছে,
বাইরের আলোকে তোমায় কেউ চিনতে পারলো না।
সেই নাইটকুইন আজ ক্ষতবিক্ষত দেহে স্টেজের পর্দার 
ফাঁক গলিয়ে বেরিয়ে এলো।
তোমার ক্যামেরা অনেক কিছু ধরতে পারছে না--
সাজসজ্জার ভেতরের দৃশ্যাবলি 
কতটা না নিরালায় থেকে যায়!
আবার তোমার চোখ ভরে নিচ্ছে অতীত--
সেই প্রেমিকার যেটুকু ডায়লগ মুখস্থ ছিল 
তারপর সে স্থির হয়ে গেল-- 
তুমি দেখছ, শুধু মাত্র একটা স্ট্যাচু দাঁড়িয়ে আছে।

এক মুঠো চাঁদ

সূর্য তখন তার শেষপটে লাল আলো ছড়াচ্ছিল।
এ দিকে ইচ্ছের লাল আপেল দুটো নিয়ে
লোফালুফি খেলতে খেলতে
সন্ধ্যে পার হয়ে গেলো।
চুপিচুপি আকাশের চাঁদ তখন
আমার জানলা গলিতে ঘরে ঢুকে আসে।
চরিত্রহীনতার লক্ষণগুলি শরীরের মধ্যে
কেমন খুঁটে খুঁটে যাচ্ছে দেখো !
এক মুঠো চাঁদ ধরে আমি চুমু কাটতে পারি
এই সব ব্যভিচার ও ধর্ষকাম এড়িয়ে
চুপিচুপি চাঁদও যে কি ভাবে কলঙ্কিত হয়ে গেলো!
আমিও ধপধপে জ্যোৎস্নার বিছানার
মৈথুন দৃশ্যগুলির কামনা এঁকে নিচ্ছি।
এক জ্যোৎস্নারানীকে শুইয়ে রাখি ঠিক আমার পাশটিতে
তারপর সমস্ত প্রেম ঢেলে দিয়ে আমি বিসর্জিত হই।

জীবন

জীবনকে ছড়িয়ে দিতে কে না চায়!
সমাজ বদ্ধতায় তুমি স্তব্ধ হয়ে আছো
অন্তঃস্থ কোথাও তো তুমি বারবার ভেঙে যাচ্ছ--
গড়িয়ে যাচ্ছে বিছানার স্বপ্ন।
অনুবাদ করতে গিয়েও দেহতত্ত্ব উঠে আসে,
যেখানে ভাষার বাঁধন নেই।
আমি হেরে যেতেই পারি--
নতুবা তোমার ঠোঁট আমার অবৈধতার সাক্ষী হয়ে থাক,
কিছু গন্ধ জানি তা আদরের, তবু আমি আতুর হই তোমাতে
ভালবাসার ফুল ছিঁড়ে দিচ্ছি।
অথবা বুঝি সেখানেই ভালবাসা, যেখানে নারী ও পুরুষের বাস--
আগুন জ্বলে উঠছে যেখানে ঘৃত ও অরণীর সান্নিধ্য,
জঙ্গল পুড়ে খাক তো হতেই পারে।

0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন